তৃণমূল পর্যায়ে পুলিশের কল্যাণে ৫ নির্দেশনা প্রধান উপদেষ্টার
Published: 20th, March 2025 GMT
তৃণমূল পর্যায়ে যে পুলিশ সদস্যরা কাজ করেন, তাদের কল্যাণে কয়েকটি বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা সভায় এ নির্দেশনা দেন।
সভায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সুবিধা-অসুবিধা, প্রতিবন্ধকতা ও নানা সমস্যা সমাধানে করণীয় সম্পর্কে বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার আলোচনা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা জানান, কর্মসম্পাদনের ফলাফলের ভিত্তিতে জেলা পুলিশকে শ্রেণিভুক্ত করে যাদের কর্মদক্ষতা অপেক্ষাকৃত কম, তাদের দক্ষতা বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এ সময় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশের প্রস্তুতি ও করণীয় সম্পর্কে এখন থেকেই উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনাগুলো হলো– ঝুঁকি ভাতার প্রচলিত সিলিং তুলে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা। পুলিশের জন্য নতুন ৩৬৪টি পিকআপ এবং ১৪০টি প্রিজনভ্যান কেনার উদ্যোগ নেওয়া। পুলিশের চলমান নির্মাণ প্রকল্পের যেগুলোর কাজ ৭০ শতাংশের নিচে হয়ে আছে, সেগুলোতে অর্থ ছাড় করা। ভাড়া ভবনে অবস্থিত ৬৫টি থানার জমি অধিগ্রহণের জন্য অর্থ ছাড় করা। এসআই ও এএসআই র্যাঙ্কের মোটরসাইকেল কেনার জন্য সুদমুক্ত ঋণের বিষয়টি বিবেচনা করা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
পঞ্চগড়ে চায়ে অন্য পাতার মিশ্রণ, কারখানার মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা
পঞ্চগড়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানহীন চা উৎপাদন ও বিক্রির অভিযোগে একটি চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার জগদল এলাকায় মলি টি ফ্যাক্টরিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই জরিমানা করেন পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরানুজ্জামান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, মানসম্পন্ন চা উৎপাদনের লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর অংশ হিসেবে গতকাল বিকেলে সদর উপজেলার মলি টি ফ্যাক্টরিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। সেখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানহীন কাঁচা পাতা ব্যবহার করে চা উৎপাদন করা হয়। এসব চা পাতায় ফরেন পার্টিকেল (আগাছা) পাওয়া যায়। এ সময় কারখানা কর্তৃপক্ষ অপরাধ স্বীকার করলে মালিক মখলেছার রহমানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে কারখানার মালিককে কঠোরভাবে সতর্ক করে তাঁর কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।
চা বোর্ডের পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফ খান বলেন, অভিযান পরিচালনার সময় ওই কারখানায় শুধু চা পাতা ক্রয়ের ক্ষেত্রেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নয়, তাদের যেখানে চা উৎপাদন করা হয়, সেখানেও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ছিল। এ ছাড়া কারখানা কর্তৃপক্ষের ক্রয় করা চা পাতায় ফরেন পার্টিকেল অর্থাৎ চা পাতা ছাড়াও অন্য গাছ-গাছালির পাতা পাওয়া গেছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে সতর্ক করতে ওই কারখানাকে এর আগে অন্তত তিনবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।