নান্দাইল উপজেলায় বিএনপির ইফতার পার্টিকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা দাওয়া ইটপাটকেল ও ককটেল ছোড়াছুড়িতে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পরপর উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

গতকাল বুধবার বিকেলে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারমিনা সাত্তার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ আদেশ জারি করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার নান্দাইল পৌর সদরের সরকারি শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ মাঠে ইফতার পার্টির আয়োজন করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতারা। আহ্বায়ক কমিটি ঘোষিত হওয়ার পর থেকে ওই কমিটিকে অবৈধ বলে সেটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মী। একই সময়ে একই স্থানে আরেকটি ইফতার পার্টি আয়োজনের ঘোষণা দেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। ইফতার পার্টিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষই বিকেল ৪টা থেকে কলেজের কাছাকাছি নান্দাইল নতুন বাজার এলাকায় অবস্থান নেন। উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বিষয়টি জানতে পেরে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার ও নান্দাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাহিদুল ইসলাম সরকারি শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ মাঠে অবস্থান নেন। বিকেল ৫টার দিকে পদবঞ্চিত নেতাকর্মী এবং আহ্বায়ক কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে ইটপাটকেল ও কয়েকটি ককটেল ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ১০-১৫ জন আহত হয়েছেন। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মুখে উপজেলা প্রশাসন মাইকিং করে ১৪৪ ধারা জারি করলে পুলিশ তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশীষ কর্মকার জানান, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইয়াসের খান চৌধুরী ও তাঁর সমর্থকরা একটি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছিলেন। অপরদিকে পদবঞ্চিত বিএনপি নেতাকর্মীরা একই স্থানে আরেকটি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন। এতে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে সেখানে নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার ১৪৪ ধারা জারি করেন। এর পর থেকে পরিস্থিত স্বাভাবিক রয়েছে।

নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার জানান, বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ময়মনস হ ইফত র প র ট পদবঞ চ ত কর মকর ত ন ত কর ম পর স থ ত ১৪৪ ধ র ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

ইফতার পার্টি ঘিরে দু’পক্ষের উত্তেজনা, ১৪৪ ধারা জারি

নান্দাইল উপজেলায় বিএনপির ইফতার পার্টিকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা দাওয়া ইটপাটকেল ও ককটেল ছোড়াছুড়িতে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পরপর উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

গতকাল বুধবার বিকেলে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারমিনা সাত্তার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ আদেশ জারি করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার নান্দাইল পৌর সদরের সরকারি শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ মাঠে ইফতার পার্টির আয়োজন করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতারা। আহ্বায়ক কমিটি ঘোষিত হওয়ার পর থেকে ওই কমিটিকে অবৈধ বলে সেটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মী। একই সময়ে একই স্থানে আরেকটি ইফতার পার্টি আয়োজনের ঘোষণা দেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। ইফতার পার্টিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষই বিকেল ৪টা থেকে কলেজের কাছাকাছি নান্দাইল নতুন বাজার এলাকায় অবস্থান নেন। উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বিষয়টি জানতে পেরে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার ও নান্দাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাহিদুল ইসলাম সরকারি শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ মাঠে অবস্থান নেন। বিকেল ৫টার দিকে পদবঞ্চিত নেতাকর্মী এবং আহ্বায়ক কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে ইটপাটকেল ও কয়েকটি ককটেল ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ১০-১৫ জন আহত হয়েছেন। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মুখে উপজেলা প্রশাসন মাইকিং করে ১৪৪ ধারা জারি করলে পুলিশ তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশীষ কর্মকার জানান, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইয়াসের খান চৌধুরী ও তাঁর সমর্থকরা একটি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছিলেন। অপরদিকে পদবঞ্চিত বিএনপি নেতাকর্মীরা একই স্থানে আরেকটি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন। এতে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে সেখানে নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার ১৪৪ ধারা জারি করেন। এর পর থেকে পরিস্থিত স্বাভাবিক রয়েছে।

নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার জানান, বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ