গণঅধিকার পরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংঘর্ষ
Published: 20th, March 2025 GMT
খুলনা নগরীর শান্তিধাম মোড়ে সরকারি ভবনের ক্লাব নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে জড়িয়েছে খুলনার গণঅধিকার পরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। এ সময় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত গণঅধিকারের কয়েকজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, গণপূর্ত অধিদপ্তরের মালিকানাধীন সরকারি ওই ভবনটিতে পঞ্চবিথী ক্রীড়া চক্র নামে একটি ক্লাব ছিল। জুয়া, মাদক বিক্রিসহ নানা অসামাজিক কার্যক্রমের অভিযোগ তুলে গত ২৭ জানুয়ারি সাইনবোর্ড ফেলে দিয়ে গণঅধিকারের ব্যানার টানান নেতাকর্মীরা। এর নেতৃত্বে ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক শেখ রাশিদুল ইসলাম। ঘটনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হলে রাতেই রাশেদকে অব্যাহতি দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি।
কিন্তু বহিষ্কারের পরও রাশেদ ওই ভবনে বসেই দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। সম্প্রতি সেখানে তাদের আরও কয়েকটি অঙ্গসংগঠনের সাইনবোর্ড ঝোলানো হয়। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকেই ভবনটি উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে ফেসবুকে বার্তা ছড়ান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির খুলনার নেতাকর্মীরা। রাত ১০টার দিকে তারা ভবন উদ্ধার করতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা জেলা কমিটির সদস্য সচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, ক্লাবটি গণঅধিকার পরিষদের নামে কিছু চাঁদাবাজ ও দখলদার গোষ্ঠী অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিল। ছাত্র-জনতা দখলদারদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের ভাড়াটে গুন্ডাদের ডেকে এনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। এতে অন্তত ১০ থেকে ১২ জন আহত হন। গণঅধিকার পরিষদের খুলনা মহানগর সভাপতি বেলাল হোসেনের দাবি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা বিনা উস্কানিতে গণঅধিকার নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালিয়েছে।
খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানোয়ার হোসেন মাসুম বলেন, ভবনটির পাহারায় এখন পুলিশ আছে। এটি গণপূর্তের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ন ত কর ম র
এছাড়াও পড়ুন:
ভবন নির্মাণে কাটা হলো ৯৭টি গাছ, পরিবেশকর্মীদের আপত্তি
চট্টগ্রামের বন গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএফআরআই) আগর গবেষণাগারের ভবন নির্মাণের জন্য কাটা হয়েছে ছোট-বড় অন্তত ৯৭টি গাছ। এক সপ্তাহ ধরে গাছগুলো কাটা হয়েছে। গতকাল সোমবারও চলে গাছ কাটা।
এ নিয়ে পরিবেশকর্মীরা আপত্তি তুললেও বিএফআরআই তাদের কাজ অব্যাহত রেখেছে। বিএফআরআই কর্তৃপক্ষের দাবি, গাছ কাটার অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই অনুমোদন যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
বিএফআরআই আগর গবেষণাগার করার জন্য ছয়তলার ভবন নির্মাণ করছে চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুরের বিএফআরআইয়ের অভ্যন্তরে ৫৮ শতক জায়গায়। গবেষণাগার নির্মাণের জন্য ‘সম্পূর্ণ বৃক্ষে উন্নতমানের আগর রেজিন সঞ্চয়ন প্রযুক্তি উদ্ভাবন প্রকল্প’ নেওয়া হয়। বন বিভাগের দুটি প্রতিষ্ঠানের একটি বিএফআরআই ও অপরটি বন অধিদপ্তর।
২০২১ সালের জুনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) পৌনে ৭৮ কোটি টাকার প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়। এরপর নকশা দিয়েছে স্থাপত্য অধিদপ্তর। অনুমোদন রয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তর ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের।
সরেজমিনে গতকাল বিকেলে দেখা গেছে, বিএফআরআই ফটকের পাশে টিনের ঘেরাও দিয়ে গাছ কাটার কাজ চলছিল। কাটার কাজ শেষ পর্যায়ে। একটি ট্রাকে কাটা গাছ ওঠানো হচ্ছে। শেষ প্রান্তে একটি বৈলামগাছ তখনো মাথা তুলে দাঁড়িয়ে ছিল। আরেকটি ইউক্যালিপটাসগাছের ডাল ছেঁটে গোড়া কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন শ্রমিকেরা। ঘেরাওয়ের গায়ে প্রকল্পের ছবিসংবলিত একটি ব্যানার লাগানো হয়েছে।
ভবনটি নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছে প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্ট (পিডিএল) নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ছয়তলা ভবনটি নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ কোটি ৮৫ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। ২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে ভবনের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। পুরো গবেষণা প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ২০২৭ সালের জুন মাসে।
গাছ কাটছেন এক শ্রমিক। গতকাল বিকেলে