আলু সংরক্ষণ করতে একটার পর একটা আলুভর্তি ট্রাক ভিড়ছে হিমাগারের সামনে। ট্রাকের দীর্ঘ সারি। অপেক্ষার কারণে আলু সংরক্ষণ করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। এ চিত্র দেখা গেছে ঈশ্বরদী উপজেলার একমাত্র আলু সংরক্ষণাগার আহম্মদ আলী হিমাগারের সামনে। 

সারি সারি দাঁড় করানো ট্রাকচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে– ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, নাটোর, রাজশাহীর বাঘাসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষক ও ব্যবসায়ীরা আলু সংরক্ষণ করার জন্য এখানে এসেছেন। গত ১২ মার্চ মধ্যরাত থেকে বুধবার পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে আলুবোঝাই ট্রাক জড়ো হয়েছে হিমাগারের সামনের রাস্তায়। উপজেলা সড়কের পাশেও ট্রাক, ট্রলিভর্তি আলু নিয়ে অপেক্ষায় আছেন বেশ কিছু ব্যবসায়ী। 

রাজশাহীর বাঘা থেকে আসা ব্যবসায়ী মাহাবুব আলম বলেন, ‘আগে থেকে বুকিং করা থাকলেও সিরিয়াল পেতে দেরি হচ্ছে। মধ্য রাত থেকে আলু নিয়ে হিমাগারের ফটকের সামনে আছি। ১০-১২ ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকেও সিরিয়াল পাইনি। কখন পাবো বলতে পারছি না।’

হিমাগারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুহুল ইসলাম মন্টু বলেন, এবার আলুর উৎপাদন বেশি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা ট্রাকে, ট্রলিতে করে আলু এনেছেন হিমাগারে সংরক্ষণ করার জন্য। একসঙ্গে একাধিক আলুভর্তি যানবাহন আসায় বাইরে দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হয়েছে। হিমাগারের ধারণ ক্ষমতা ৩ হাজার ৫০০ টন। আশা করছি বুকিং দেওয়া সব আলু সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প বন ব যবস য় র স মন

এছাড়াও পড়ুন:

ভিডিও বানাতে গিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক, হত্যা করলেন স্বামীকে

ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার রবিনার সঙ্গে সুরেশের দেড় বছর আগে ইনস্টাগ্রামে পরিচয় হয়। এরপর একসঙ্গে তাঁরা ভিডিও বানানো শুরু করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রবিনার সময় কাটানো আসক্তির পর্যায়ে চলে যায়। এ নিয়ে প্রায়ই স্ত্রী রবিনার সঙ্গে প্রাভিনের ঝগড়া হতো। প্রাভিন সন্দেহ করতেন, সুরেশের সঙ্গে রবিনার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।

গত ২৫ মার্চ প্রাভিন বাড়িতে ফিরে তাঁর সেই আশঙ্কার প্রমাণ পান। তিনি রবিনা ও সুরেশকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান। তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। এ ঘটনার পর থেকে প্রাভিনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এর তিন দিন পর প্রাভিনের মরদেহ পাওয়া যায় বাড়ি থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায়।

ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, মোটরসাইকেলে তিনজন ছিলেন, কিন্তু ফেরার সময় তাঁদের মধ্যে একজন অনুপস্থিত। এরপর পুলিশ তাঁদের শনাক্ত করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিনা ও সুরেশ হত্যাকাণ্ডে নিজেদের দোষ স্বীকার করেন।

সুরেশ পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই দিন রবিনা ভিডিও বানানো শেষে ভিওয়ানির প্রেমনগরে প্রাভিনের বাড়িতে যান। সুরেশ সেখানে রবিনার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। প্রাভিন বাড়িতে ফিরে অন্তরঙ্গ অবস্থায় তাঁদের দেখতে পান। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর প্রাভিনকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়।

হত্যার পর সারা দিন রবিনা স্বাভাবিক আচরণ করেন। আত্মীয়রা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, প্রাভিন কোথায় তা তিনি জানেন না। এরপর রাত নামার অপেক্ষা করেন রবিনা। রাতে সুরেশ মোটরসাইকেল নিয়ে এলে তাঁরা দুজন মিলে প্রাভিনের মরদেহ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।

২৬ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে সুরেশ ও রবিনা মোটরসাইকেলের মাঝখানে প্রাভিনের মরদেহ বসিয়ে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায় ফেলে দেন। তিন দিন পর পুলিশ সেই নালা থেকে প্রাভিনের মরদেহ উদ্ধার করে এবং তদন্ত শুরু হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ