প্রবাসীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের পর লাখ টাকা আদায়
Published: 20th, March 2025 GMT
বরগুনার পাথরঘাটায় সৌদি আরবপ্রবাসী নাজমুল জমাদ্দারকে তুলে নিয়ে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। পরে পরিবার স্থানীয় বিএনপি নেতা আবুল কালাম ওরফে গদি কালামকে ১ লাখ টাকা দিলে মুক্তি পান নাজমুল।
গতকাল বুধবার পাথরঘাটা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতিত নাজমুল জমাদ্দার আরও জানান, রোববার উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের মুচিঘাটা গ্রামে নিয়ে তাঁর ওপর এ নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনে জড়িতদের বিচার চান। প্রশাসন সহযোগিতা না করায় আত্মহত্যারও হুমকি দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে নাজমুলের মা হনুফা বেগম জানান, তাঁর ছেলে সৌদি আরব থেকে এক মাস আগে বাড়িতে এসেছেন। একটি কাজে এতদিন ঢাকা ছিলেন। রোববার বাসে পাথরঘাটার কাকচিড়া বাজারে নামলে সাত-আট যুবক মোটরসাইকেলে এসে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। পরে মুচিকাটা আবাসন কেন্দ্রে হামিদা বেগমের ঘরে আটকে রেখে বিবস্ত্র করে মারধর ও ভিডিও করে। পরে ভিডিও নাজমুলের বাবার কাছে পাঠিয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ভিডিওটি ইন্টারনেটেও ছড়িয়ে দেয় তারা।
তিনি বলেন, ‘এক পর্যায়ে কাকচিড়া বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা.
এ ব্যাপারে হামিদা বেগম জানান, তাঁর সঙ্গে নাজমুলের সম্পর্ক রয়েছে। গত রোববার নাজমুল তাঁর কাছে এলে স্থানীয়রা টের পেয়ে আটক রেখে মারধর করে। পরে নাজমুল কীভাবে ছাড়া পেয়েছেন, তা তিনি জানেন না।
টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি নেতা আবুল কালাম বলেন, ‘হামিদার সঙ্গে তাঁর ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় নাজমুলকে ধরে স্থানীয়রা মারধর করে। কবির ডাক্তারের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে নারীঘটিত ব্যাপার দেখে চল আসি। কোনো টাকাপয়সা লেনদেন হয়নি।’
পাথরঘাটা থানার ওসি মেহেদী হাসান জানান, কালাম নামে এক ব্যক্তি ফোন করে তাঁকে বিষয়টি জানান এবং নির্যাতনের ভিডিও দেন। কিন্তু কেউ লিখিত অভিযোগ না দেওয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘বৈশাখ ঘিরে আমার কোনো স্মৃতি নেই, উন্মাদনাও নেই’
পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। এ দিন বাঙালি জাতিসত্তার মানুষ অতীত ভুলে নতুনের আবাহনে মেতে ওঠে। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পালনের মধ্য দিয়ে বরণ করে নেয় নতুন বছর। ফলে সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ।
নববর্ষের উৎসবে একাত্ম হন রূপালি ভুবনের বাঙালি তারকারাও। তবে ব্যতিক্রম কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। কারণ বাঙালি হলেও পহেলা বৈশাখ নিয়ে কোনো স্মৃতিই নেই তার।
পহেলা বৈশাখ নিয়ে স্মৃতিচারণের প্রসঙ্গ উঠতেই ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত বলেন, “আমি কী বলব? এই দিন ঘিরে আমার কোনো স্মৃতি নেই, উন্মাদনাও নেই! বাংলার বাইরে বেড়ে উঠলে যা হয়। তাই পহেলা বৈশাখ আর বছরের অন্য দিনের মাঝে কোনো তফাত নেই।”
আরো পড়ুন:
অবশেষে শ্রাবন্তীর বিবাহবিচ্ছেদ
ছোট পোশাক পরলেই মা খারাপ না, এটা আমার ছেলে জানুক: প্রিয়াঙ্কা
কয়েক দিন আগে মুক্তি পেয়েছে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত অভিনীত ‘পুরাতন’ সিনেমা। এ উপলক্ষে নতুন পোশাক উপহার পেয়েছেন তিনি। তা স্মরণ করে এই অভিনেতা বলেন, “এ বছর নতুন সিনেমা উপলক্ষে নতুন জামা পেয়েছি। সিনেমাটির প্রযোজক-নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত দিয়েছেন। উনার বাড়িতে পেট ভরে বাঙালি খাবার খেয়েছি। কলকাতাতেও থাকলাম বেশ কিছু দিন।”
১৯৭৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ভারতের আসামের একটি বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ইন্দ্রনীল। কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করে পাড়ি জমান ব্রিটেনে। ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে ভারতে ফিরেন ইন্দ্রনীল।
মডেলিংয়ের মাধ্যমে শোবিজ অঙ্গনে পা রাখেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। পরবর্তীতে টিভি সিরিয়ালে অভিনয় শুরু করেন। ২০০৪ সালে হিন্দি ভাষার ‘শুকরিয়া: টিল ডেথ ডু আস অ্যাপার্ট’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন। ২০০৯ সালে ‘অংশুমানের ছবি’ সিনেমার মাধ্যমে টলিউড চলচ্চিত্রে পা রাখেন। পরবর্তীতে খল চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ খ্যাতি কুড়ান এই অভিনেতা। ২০১২ সালে বাংলাদেশের ‘চোরাবালি’ সিনেমায়ও দেখা যায় তাকে।
ঢাকা/শান্ত