কুসিকের কাজের অনিয়ম তদন্তে দুদকের অভিযান
Published: 20th, March 2025 GMT
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে (কুসিক) একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এরই অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাসুম আলীর নেতৃত্বে সিটি করপোরেশনে অভিযান চালানো হয়।
এ সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে সর্বশেষ দুটি অর্থবছরে কার্যাদেশ পাওয়া ৩১টি দরপত্রের নথিপত্র চাওয়া হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির নাম এন এস গ্যালারি এবং প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম। তিনি কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক এমপি হাজি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের অনুসারী।
দুদকের সহকারী পরিচালক মাসুম আলী জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকা কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে এন এস গ্যালারির গত দুই অর্থবছরে ৩১টি দরপত্রের নথিপত্র চাওয়া হয়েছে। কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। অবশিষ্ট কাগজপত্র বৃহস্পতিবার সরবরাহ করার কথা ।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার ছামছুল আলম বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এন এস গ্যালারির বিষয়ে দুদককে কিছু তথ্য দেওয়া হয়েছে। বাকি তথ্য বৃহস্পতিবার দেওয়া হবে। দরপত্র প্রক্রিয়ায় অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইজিপি দরপত্রে অনিয়মের সুযোগ নেই। এর পরও যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে প্রকৌশল বিভাগ ভালো বলতে পারবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দরপত র
এছাড়াও পড়ুন:
রংপুরের ৭০ শতাংশ আলু রাখার হিমাগার নেই
প্রায় এক একর জমিতে আলু চাষ করেছেন কাজল মিয়া। খেত থেকে বেশির ভাগ আলু উত্তোলনও করেছেন। কিন্তু হিমাগারে আলুর রাখার বুকিং দিতে পারেননি। রংপুর নগরের তালুক উপাসু গ্রামের এই কৃষকের দাবি, হিমাগারগুলোতে ক্ষুদ্র চাষিরা আলু রাখার সুযোগ পাচ্ছেন না।
কাজল মিয়া প্রথম আলোকে বললেন, জমির ইজারা ও বীজ আলুর দাম বেশি হওয়ায় আলু উৎপাদনে প্রতি কেজিতে তাঁর খরচ হয়েছে প্রায় ২০ টাকা। এখন আলুর দাম ১৩ থেকে ১৪ টাকা। এ অবস্থায় আলু বিক্রি করলে লোকসানে পড়বেন। হিমাগারেও রাখতে পারছেন না। এখন আলু নিয়ে উভয়সংকটে পড়েছেন তিনি।
শুধু কাজল মিয়া নন, হিমাগারে আলু রাখা নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন রংপুরের হাজারো কৃষক। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, একসময় মুন্সিগঞ্জ আলু উৎপাদনে শীর্ষ জেলা থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রংপুরে সবচেয়ে বেশি আলু উৎপাদন হচ্ছে। দেশের মোট আলুর ১৫ শতাংশ উৎপাদন হচ্ছে রংপুরে। চলতি বছর রংপুরে যে পরিমাণ আলুর আবাদ হয়েছে, তার ৭৮ শতাংশ আলু রাখার হিমাগার নেই।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে রংপুরে ৫৩ হাজার ৩০৫ হেক্টর জমিতে ১৩ লাখ ৪ হাজার ৩১৭ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়, যা সারা দেশের জেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫৩ হাজার ৯৩০ হেক্টর জমিতে আলু উৎপাদন হয় ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৫৭৬ মেট্রিক টন। এবার ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৩ হাজার ৯৫০ হেক্টরে। কিন্তু আবাদ হয়েছে ৬৬ হাজার ২৮০ হেক্টরে। সম্ভাব্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ লাখ ৭৫ হাজার ৭২৪ মেট্রিক টন।
আরও পড়ুনহিমাগারে আলু সংরক্ষণের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে ৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ০১ মার্চ ২০২৫কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, রংপুরে আলুচাষি সংখ্যা ১ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ জন।
রংপুর কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা শাকিল আখতার প্রথম আলোকে বলেন, একটি সরকারিসহ জেলায় ৪০টি আলুর হিমাগার আছে। এসব হিমাগারে ৪ লাখ ১৬ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন আলু রাখার সুযোগ আছে। এর বাইরে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে ১২১টি অহিমায়িত আলুর মডেল ঘর করা হয়েছে। এসব অহিমায়িত ঘরে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত আলু সংরক্ষণ করা যাবে। তাঁর দাবি, সব মিলিয়ে ৩০ শতাংশ আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করা যাবে।