বছর ঘুরতেই আসে নতুন আইফোন মডেল। সারাবিশ্বের অ্যাপলভক্তরা নতুন আইফোন নিয়ে থাকেন চরম উত্তেজনায়। হিসাব বলছে, চলতি বছরে বাজারে আসার কথা আইফোন ১৭ মডেল।
ইতোমধ্যে আইফোনের নতুন মডেল ‘১৭ এয়ার’ নিয়ে সরব হয়েছে গুঞ্জন। আগের তুলনায় স্লিক, আরও পাতলা হতে পারে আইফোনের সম্ভাব্য নতুন মডেল। থাকতে পারে পোর্ট-ফি সুবিধা।
সবার আগ্রহের কেন্দ্রে গুরুত্ব পায় দাম। আইফোন বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আইফোন ১৭ এয়ার মডেলের সম্ভাব্য দাম হতে পারে ৮৯৯ ডলার। দাম বিবেচনায় বলতে গেলে আইফোন ১৬ প্লাস মডেলের মতোই দাম হবে নতুন মডেলের। বাড়তি কর চাপানোর কারণে দেশে দেশে মডেলভেদে দামের পার্থক্য হয় সাধারণভাবে।
নতুনত্বে কী থাকবে
হালকা ওজন ও গড়নে পাতলা হতে পারে নতুন মডেল। নির্মাতা কর্তৃপক্ষ অ্যাপল বলছে, ব্যাটারি পারফরম্যান্সে কোনো দুর্বলতা রাখা হয়নি; বরং নতুন মডেলের সফটওয়্যারে অপ্টিমাইজ করা হয়েছে, যেন সফটওয়্যার তুলনামূলক কম ব্যাটারি ব্যবহার করে। ব্যাটারি সক্ষমতা ছাড়িয়ে যেতে পারে চার হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার।
নতুন আইফোন মডেলে সম্ভাব্য চিপসেট হতে পারে ‘এ১৯’ সিরিজ। র্যাম থাকছে ৮ জিবি। ডিসপ্লের দিকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ নজর। থাকবে ৬.
নতুন কী ফিচার
আইফোন ১৬ মডেলের মতো চার্জ সুবিধায় থাকবে ইউএসবি টাইপ সি পোর্ট। সিম পোর্টের ক্ষেত্রে বড় ধরনের দৃশ্যমান পরিবর্তন হতে পারে।
আইফোন ১৭ এয়ার মডেলে শুধু ই-সিম পোর্ট সুবিধা পাওয়া যাবে। বাজার গবেষকরা বলছেন, আগের মডেলের তুলনায় ‘১৭ এয়ার’ মডেলের দামে খুব বেশি তারতম্য হবে না। ঠিক কবে নাগাদ নতুন মডেল ‘১৭ এয়ার’ ভক্তদের জন্য ছাড় পাবে, তা এখনই নিশ্চিত করে জানায়নি অ্যাপল।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
এআই কি সত্যিই সফটওয়্যারের শতভাগ কোড লিখে দেবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ধীরে ধীরে সফটওয়্যার তৈরির ধরন বদলে দিচ্ছে। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের অনেকে মনে করছেন, আগামী দিনে সফটওয়্যারের কোড লেখার কাজটি এআইয়ের কারণে পুরোপুরি অটোমেটেড হয়ে যাবে। তবে এ নিয়ে মতবিরোধও রয়েছে। কেউ একে যুগান্তকারী পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ এটিকে বাড়তি প্রচারণা ছাড়া কিছু মনে করছেন না।
সম্প্রতি এক আলোচনায় এআই গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অ্যানথ্রপিকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডারিও আমোডেই দাবি করেছেন, ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ সফটওয়্যার কোডই স্বয়ংক্রিয়ভাবে লিখে দেবে এআই। এর ফলে ভবিষ্যতে সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের ভূমিকা কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের নির্মাতা লিনাস টরভাল্ডস এআই নিয়ে চলমান উন্মাদনাকে ‘৯০ শতাংশ মার্কেটিং ও ১০ শতাংশ বাস্তবতা’ বলে মন্তব্য করেছেন। প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম টিএফআইআরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এআই অবশ্যই আকর্ষণীয়, তবে আমি আপাতত এ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না।’ তাঁর মতে, সফটওয়্যার–শিল্পে সত্যিকার অর্থে কার্যকর পরিবর্তন আসতে আরও অন্তত পাঁচ বছর সময় লাগবে। যদিও তিনি স্বীকার করেছেন, ভাষাগত মডেল ও গ্রাফিক ডিজাইন সফটওয়্যার ইতিমধ্যে বাস্তব ক্ষেত্রে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
মেটার প্রধান এআই বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন জানিয়েছেন, বর্তমান জেনারেটিভ এআই ও বৃহৎ ভাষার মডেল (এলএলএম) আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে। তিনি বলেন, বর্তমান এআই প্রযুক্তির প্রধান সীমাবদ্ধতা হলো ফিজিক্যাল অ্যাওয়ারনেস, কন্টিনিউয়াস মেমোরি, যৌক্তিক বিশ্লেষণ ও জটিল পরিকল্পনার সক্ষমতার অভাব। তাঁর মতে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে নতুন ধরনের এআই প্রযুক্তি আসবে, যা আরও উন্নত ও কার্যকর হবে। ভবিষ্যতে রোবোটিকস ও স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে