জুলাই অভ্যুত্থানে আক্রান্তদের সহায়তায় ২০ লাখ ইউরো দেবে ইইউ
Published: 19th, March 2025 GMT
জুলাই অভ্যুত্থানে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তায় ২০ লাখ ইউরো দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে সহিংসতায় মারাত্মকভাবে আক্রান্ত আট হাজার ব্যক্তিকে সহায়তা দিতে একটি প্রকল্প চালু করেছে ইইউ। বুধবার (১৯ মার্চ) চালু হওয়া প্রকল্পটি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। এতে সহায়তা করবে বাংলাদেশ সরকার।
‘দ্য পাথওয়েজ টু হিলিং: এ সারভাইভার সেন্ট্রেড অ্যাপ্রোচ টু অ্যাড্রেস ভায়োলেন্স অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশনস’ প্রকল্পে ২০ লাখ ইউরো বরাদ্দ দিয়েছে ইইউ। ২০২৬ সালের আগস্টের আগপর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
জুলাই-আগস্টের সহিংসতায় যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের শারীরিক, মানসিক উন্নতি ও সুস্থতার জন্য এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের সামাজিক সংহতি জোরদার ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে এ অর্থ খরচ করা হবে। বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যত দিন এ প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবে, তত দিন এটা অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
এসব লক্ষ্য বাস্তবায়নে তাদের পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। এ ছাড়া যাঁরা শারীরিক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হবেন, তাঁদের সহায়ক উপকরণ সরবরাহ করা হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঔষধজাত পণ্য, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও কাউন্সেলিং নিশ্চিত করা হবে।
এ ছাড়া উপার্জন খাতেও বৈচিত্র্য আনতে সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতাবাস। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
গত বছরের অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র, শ্রমিক, সাংবাদিক ও তাঁদের পরিবারসহ অন্যদের এ সহায়তা দেওয়া হবে। ইইউ দূতাবাস জানিয়েছে, সরকার ও অন্যান্য অংশীজনের সহায়তায় প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও এটি অব্যাহত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রকল প
এছাড়াও পড়ুন:
ইফতার পার্টি ঘিরে দু’পক্ষের উত্তেজনা, ১৪৪ ধারা জারি
নান্দাইল উপজেলায় বিএনপির ইফতার পার্টিকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা দাওয়া ইটপাটকেল ও ককটেল ছোড়াছুড়িতে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পরপর উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
গতকাল বুধবার বিকেলে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারমিনা সাত্তার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ আদেশ জারি করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার নান্দাইল পৌর সদরের সরকারি শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ মাঠে ইফতার পার্টির আয়োজন করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতারা। আহ্বায়ক কমিটি ঘোষিত হওয়ার পর থেকে ওই কমিটিকে অবৈধ বলে সেটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মী। একই সময়ে একই স্থানে আরেকটি ইফতার পার্টি আয়োজনের ঘোষণা দেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। ইফতার পার্টিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষই বিকেল ৪টা থেকে কলেজের কাছাকাছি নান্দাইল নতুন বাজার এলাকায় অবস্থান নেন। উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বিষয়টি জানতে পেরে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার ও নান্দাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাহিদুল ইসলাম সরকারি শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ মাঠে অবস্থান নেন। বিকেল ৫টার দিকে পদবঞ্চিত নেতাকর্মী এবং আহ্বায়ক কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে ইটপাটকেল ও কয়েকটি ককটেল ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ১০-১৫ জন আহত হয়েছেন। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মুখে উপজেলা প্রশাসন মাইকিং করে ১৪৪ ধারা জারি করলে পুলিশ তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশীষ কর্মকার জানান, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইয়াসের খান চৌধুরী ও তাঁর সমর্থকরা একটি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছিলেন। অপরদিকে পদবঞ্চিত বিএনপি নেতাকর্মীরা একই স্থানে আরেকটি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন। এতে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে সেখানে নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার ১৪৪ ধারা জারি করেন। এর পর থেকে পরিস্থিত স্বাভাবিক রয়েছে।
নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার জানান, বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।