বাংলাদেশে মুজিববাদী রাজনীতির কোনো স্থান হবে না: নাহিদ
Published: 19th, March 2025 GMT
আগামীর বাংলাদেশে রাজনীতি ও নির্বাচনে মুজিববাদী রাজনীতির কোনো স্থান হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
আজ বুধবার রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে এ ইফতারের আয়োজন করে দলটি।
অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, ‘একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার মতো, দেশের মানুষকে প্রতিনিধিত্ব করার মতো রাজনৈতিক দল বা পক্ষ বাংলাদেশে রয়েছে। সুতরাং ৫ আগস্ট যে শক্তিকে বাংলাদেশের মানুষ পরাজিত করেছে, মুজিববাদ ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করেছে, আগামীতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি ও নির্বাচনে সেই মুজিববাদী রাজনীতির কোনো স্থান হবে না। দলটি নিয়ে বিচারপ্রক্রিয়া চলমান। সেই বিচারের আগে প্রশ্নই ওঠে না।’
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, সব সময় এমন এক বাংলাদেশ প্রত্যাশা, যেখানে রাজনৈতিক শক্তিগুলো তাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকবে, নীতিগত পার্থক্য, সমালোচনা থাকবে, কিন্তু সবাই একসঙ্গে বসতে পারবে, আলোচনা করতে পারব দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে।
রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভেতরে অনৈক্য তৈরি হলে সেখানে অরাজনৈতিক শক্তিগুলো সুযোগসন্ধানী হয়ে ওঠে বলে মনে করেন এনসিপির আহ্বায়ক। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি, এটা হয়েছে। আমরা মনে করি, এখন যে পরিবেশ, পরিস্থিতি রয়েছে, সেখানে রাজনৈতিক ঐক্যটা থাকবে।’
বাংলাদেশে এখনো ফ্যাসিবাদী শক্তি ও তার দোসরেরা বিভিন্ন জায়গায় রয়ে গেছে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ফ্যাসিবাদী সিস্টেমটা পাল্টাতে হবে। বাংলাদেশের নেতৃত্ব আগামী দিনে যার হাতেই যাক না কেন, একটি পরিবর্তিত ব্যবস্থা প্রয়োজন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন হ দ ইসল ম র জন ত ক
এছাড়াও পড়ুন:
সাভারে ভুয়া সন্দেহে এসআই অবরুদ্ধ, মোটরসাইকেল ভাঙচুর
ভুয়া পুলিশ সন্দেহে সাভার থানার উপপরিদর্শককে (এসআই) অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয় জনতা। এ সময় তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের রাজফুলবাড়িয়া শোভাপুর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে সাভার মডেল থানার অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে এসআইকে উদ্ধার করে।
পুলিশের কাছে আটক নাসির উদ্দিনের ছেলে নাহিদ হোসেন জানান, রাজফুলবাড়িয়া শোভাপুর মহল্লায় তাদের ১৩টি ঘর ভাড়া দেওয়া হয়েছে। কয়েক দিন পরপর পুলিশ পরিচয়ে এসে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামি বলে ভাড়াটিয়াদের কাছে টাকা দাবি করে। এর আগেও একদিন পুলিশ পরিচয়ে দু’জন লোক সাদা পোশাকে এসে এক ভাড়াটিয়াকে আটক করে ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরে ভাড়াটিয়ারা মালিকদের বিষয়টি জানান। বাড়ি ছেড়ে দিয়ে চলে যেতে চান। তখন মালিকরা বলেন, এর পর কেউ এলে খবর দিতে। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার আবার পুলিশ পরিচয়ে বাসায় কয়েকজন লোক এলে ভাড়াটিয়ারা জানান। মালিকরা পুলিশ পরিচয়ে আসা ব্যক্তিদের একটি ঘরে বসিয়ে রেখে বিষয়টি পাশের ট্যানারি ফাঁড়ির পুলিশকে জানান।
অবরুদ্ধ থাকা সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান বলেন, ‘গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা মামলার আসামি সাভারে অবস্থান করছে। পরে তথ্য অনুযায়ী গিয়ে দেখি সেখানে ওই মামলার আসামি কেউ নেই। ফিরে আসার সময় স্থানীয়রা আমাকে একটি কক্ষে আটকে রাখে। পরে ট্যানারি ফাঁড়ি ও সাভার থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে দুই গাড়ি পুলিশ গিয়ে আমাদের উদ্ধার করে। পরে কক্ষ থেকে বের হয়ে দেখি আমার মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করেছে।’
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।