সুনিতা উইলিয়ামসকে ভারতরত্ন দেওয়ার দাবি মমতার
Published: 19th, March 2025 GMT
ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাসার মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস বুধবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন। সুনিতাকে ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান ভারতরত্ন দেওয়ার দাবি তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনা ভারতবাসীর গর্ব। তাই সুনিতাকে ভারতরত্ন দিয়ে সম্মানিত করা হোক।’
সুনিতা মহাকাশে ৯ মাস আটকে ছিলেন। বুধবার সুনিতাসহ চার নভোচারী পৃথিবীতে ফিরে আসেন। অন্য তিনজন হলেন বুচ উইলমোর, নিক হেগ ও আলেকসান্দর গরবুনোভ।
সুনিতাদের ভালোভাবে ফেরার খবরে আনন্দ প্রকাশ করে মমতা বলেন, ‘আপনাদের সাহস, প্রত্যাবর্তন ও সর্বোপরি মানবজাতির গৌরবের জন্য শুভেচ্ছা রইল। উদ্ধারকারী দলকেও এই সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশ সময় গতকাল দিবাগত রাত ৩টা ৫৭ মিনিটে সুনিতাসহ অন্যদের বহনকারী ক্যাপসুলটি ফ্লোরিডার উপকূলবর্তী সমুদ্রে নেমে আসে। সেখানে একটি উদ্ধারকারী জাহাজ আগে থেকে মোতায়েন ছিল।
বুধবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে হাজির হন মমতা। সেখানেই তিনি সুনিতাকে ভারতরত্ন দেওয়ার দাবি জানান।
সুনিতার জন্ম গুজরাটের মেহসানা জেলার ঝুলাসন গ্রামে। বাবা দীপক পান্ড্য ছিলেন একজন চিকিৎসক। ২০২০ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে মারা যান।
সুনিতাদের সাফল্যে গুজরাটের তাঁদের গ্রামের বাড়িতে আনন্দ উৎসব চলছে। সুনিতার স্বজনেরা বলছেন, শিগগিরই ভারতে আসবেন তিনি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রমনা বটমূলে গান–কবিতা–উচ্ছ্বাসে ছায়ানটের বর্ষবরণ, বিভাজন ভাঙার প্রত্যয়
পুব আকাশে সবে লাল সূর্য উঠতে শুরু করেছে। মঞ্চে প্রস্তুত শিল্পীরা। সামনে দর্শকসারিতে ভিড় জমে গেছে। শিল্পী সুপ্রিয়া দাশ গেয়ে উঠলেন ‘ভৈরবী’ রাগালাপ। এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বরণের পালা। আজ সোমবার ভোরে রাজধানীর রমনা বটমূলে এর আয়োজন করে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট।
রাগালাপের পর ‘নূতন প্রাণ দাও, প্রাণসখা’ সম্মেলক গান শোনান ছায়ানটের শিল্পীরা। ‘তিমির দুয়ার খোলো’ একক গান পরিবেশন করেন শিল্পী দীপ্র নিশান্ত। পাখিডাকা ভোরে, সবুজের আচ্ছাদনে দর্শনার্থীরা যেন মন্ত্রমুগ্ধের মতো উপভোগ করেন এ আয়োজন।
এরপর একে একে ২৫টি রাগালাপ, গান আর আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়। সকাল সাড়ে আটটার দিকে ছায়ানটের শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হয় জাতীয় সংগীত। এ সময় কণ্ঠ মেলান উপস্থিত হাজারো দর্শক। এর মধ্য দিয়ে এবারের আয়োজন শেষ হয়।
তবে অনুষ্ঠান শেষের আগে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ভয়াবহ মানবতার বিপর্যয় এবং গণহত্যায়, বিশেষ করে শিশু হত্যার তীব্র নিন্দা জানান তাঁরা। ফিলিস্তিনিরা আপন ভূমি রক্ষায় যে সংগ্রাম করছেন, তার প্রতিও সংহতি জানানো হয়।
এবার বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মূল বার্তা ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। রমনার বটমূল, ঢাকা, ১৪ এপ্রিল