মির্জা আব্বাস অসত্য বলেছেন: ইসলামী আন্দোলন
Published: 19th, March 2025 GMT
আওয়ামী লীগের সঙ্গে চক্রান্ত করে ইসলামী আন্দোলন বিএনপির পতন ঘটিয়েছে, চরমোনাই পীর সাহেব নিজেই তা বলেছেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের এমন বক্তব্য অসত্য ও মিথ্যাচার বলে দাবি করেছে ইসলামী আন্দোলন। দলটি বলেছে, এমন বক্তব্য সঠিক না হলে মির্জা আব্বাসকে ক্ষমা চাইতে হবে।
বুধবার ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চক্রান্তের রাজনীতি করে না; বরং সর্বদা দেশ-জাতি ও মানবতার পক্ষে দাঁড়িয়ে কথা বলে। বিগত ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, ইসলামী আন্দোলন তখন বিরোধী দলে ছিল। সে সময়ে ইসলামী আন্দোলন তৎকালীন বিএনপি সরকারের কার্যক্রমের বিরোধিতা করেছে।
গাজী আতাউর রহমান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস সবারই জানা। ২০০৬ সালে নবম জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপির ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার অশুভ চেষ্টার প্রতিফল হিসেবেই ১/১১-এর প্রেক্ষাপট তৈরি হয় এবং আওয়ামী ফ্যাসিজমের সূচনা হয়। এটা ইতিহাসের প্রতিষ্ঠিত সত্য। মির্জা আব্বাসের উচিত হবে এই সত্যকে স্বীকার করে শিক্ষা নেওয়া।’
ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব আমাদের অফিসে এসে যে সমঝোতা করেছেন, আমরা তা রক্ষা করে চলছি। আমরাও প্রত্যাশা করেছিলাম যে বিএনপির নেতারা সেই সমঝোতাকে সম্মান করবেন। সেখানে মির্জা আব্বাসের মতো একজন জ্যেষ্ঠ নেতা যখন এমন মিথ্যা কথা বলেন, তখন তাঁর বিবেচনাবোধ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র ন ব এনপ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
শরীয়তপুরের জাজিরায় আবারও সংঘর্ষ, মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শতাধিক ককটেল (হাতবোমা) বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
গতকাল রোববার দুপুরে জয়নগর ইউনিয়নের ছাব্বিশপারা এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এতে এক তরুণের হাতের কব্জিতে গুরুতর ক্ষত হয় এবং আরও একজন আহত হন।
জাজিরা থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জয়নগর ইউনিয়নের ছাব্বিশপারা এলাকায় তেজগাঁও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিঠুন ঢালী ও জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হালিম তালুকদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এই দুই নেতা আত্মগোপনে গেলে স্থানীয় পর্যায়ে তাদের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জসিম তালুকদার ও নুর আলম সরদার।
রোববার দুপুরে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। এ সময় নুর আলম সরদারের অনুসারীরা প্রতিপক্ষের ওপর ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে। এরপর উভয় পক্ষ ঘণ্টা-ব্যাপী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও মারামারি। পরে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সংঘর্ষের কিছু দৃশ্য স্থানীয় এক ব্যক্তির সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ হয়, যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ৪ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দেখা যায়, এক পক্ষের সমর্থকরা বালতিতে করে ককটেল নিয়ে প্রতিপক্ষের দিকে নিক্ষেপ করছেন। তাদের হাতে ছিল টেঁটা, রামদা, ছেনদা, বল্লম, ডাল-সুরকি ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র।
সম্প্রতি জাজিরার বিলাশপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় খইয়ের মতো ককটেল বিস্ফোরণ দেশজুড়ে আলোচিত হয়। গত ৫ এপ্রিল সেখানে দুই শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, যা এখনও আলোচনায় রয়েছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো ছাব্বিশপারা এলাকায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল আখন্দ বলেন, গতকাল দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কিছু হাতবোমা বিস্ফোরিত হয় বলে জানতে পেরেছি। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।