ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই চাল ব্যবসায়ীসহ তিনজনকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা
Published: 19th, March 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মূল্য তালিকা না থাকায় দুই চাল ব্যবসায়ীসহ তিনজনকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে জেলা শহরের আনন্দ বাজারে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলমের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে জেলা শহরের আনন্দ বাজারে মেসার্স লক্ষ্মণ লাল চালের আড়ত ও আবুল খায়ের চালের আড়তে অভিযান চালানো হয়। মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় এবং ক্রয়-বিক্রয়ের তথ্য সংরক্ষণ না করায় দুই চাল ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আর আনন্দ বাজারের শাকিব মাংস বিতানের মালিককে একই অভিযোগে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সহকারী খাদ্যনিয়ন্ত্রক সরোয়ার আমিন, খাদ্য পরিদর্শক রামিম পাঠান ও কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহীন উপস্থিত ছিলেন।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী তিন ব্যবসায়ীকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি অবৈধ চালকলে অভিযান চালানো হয়েছে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে অভিযানে নেমেছে টাস্কফোর্স। প্রাথমিকভাবে সতর্কতা হিসেবে অল্প জরিমানা করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে মজুত আইনে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় ব যবস য়
এছাড়াও পড়ুন:
পাবনায় তাবিজ ফারুকসহ শীর্ষ ৩ সন্ত্রাসী আটক
পাবনার আমিনুপুরে র্যাব ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে স্থানীয় তাবিজ ফারুকসহ শীর্ষ তিন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টা থেকে তিনটা পর্যন্ত আমিনুপুর থানার সাগরকান্দি ইউনিয়নের শ্যামপুর ও গোবিন্দপুরসহ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) পাবনার র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন, সুজানগর উপজেলার সাগরকান্দি ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত আলী আকবরের ছেলে ফারুক সরদার ওরফে তাবিজ ফারুক (৩৫), শ্যামপুর গ্রামের জামাল ওরফে কাঠ জামালের ছেলে আশিক হোসেন (৩০) ও সাগরকান্দি গ্রামের আখের শেখের ছেলে হাসেম শেখ (২৮)।
র্যাব-এর দাবি, এদের মধ্যে হাসেম শেখ, তাবিজ ফারুকের নেতৃত্ব দেয়া গ্যাং এবং আশিক ভিন্ন আরেকটি গ্যাং এর হয়ে কাজ করেনল তারা দুই গ্যাং মিশে ওই এলাকায় অস্ত্র ব্যবহার করে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়ভাবে তারা শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত।
র্যাব-১২ পাবনার কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান বলেন, “সাগরকান্দির অন্তত ৫ থেকে ৭টি জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তাবিজ ফারুক ও হাসেমকে গোবিন্দপুর থেকে ও আশিককে ওই এলাকার শ্যামপুরের নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়।”
তিনি বলেন, “গোয়েন্দা তথ্য ছিল, এই তিনজনসহ আরো বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে এলাকায় নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ও র্যাবের একটি যৌথ আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। তথ্যানুযায়ী ওই এলাকায় আরো সন্ত্রাসী ছিল, তিনজনকে আটক করা গেলেও, অন্যদের আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে। আটকদের কাছ থেকে কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। রাতেই তাদের আমিনপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”
এ ব্যাপারে আমিনুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আলমগীর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে ওই তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করলেও আসামিদের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে ফোন রেখে দেন ওসি।
ঢাকা/শাহীন/এস