ময়মনসিংহে কর্মী নিহতের ঘটনায় যুবদল নেতা বহিষ্কার
Published: 19th, March 2025 GMT
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানা এলাকায় যুবদলকর্মী মেহেদী হাসান রাকিব (২৫) হত্যার ঘটনায় দক্ষিণ জেলা যুবদলের সদস্য ইয়াছিন খানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দফতর সম্পাদক মিনহাজুল আবেদিন ভুইয়া স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, দলীয় শৃংখলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা যুবদলের সদস্য ইয়াছিন খানকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ বহিষ্কার করা হয়েছে। যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
আরো পড়ুন:
প্রবাসীর স্ত্রীসহ আটক সেই শিবির নেতা বহিষ্কার
গাজীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বহিষ্কার
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, বহিষ্কৃত নেতাদের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সকল নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
গত সোমবার (১৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১০ দিকে উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নে ত্রিমোহনী পল্টন মোড় এলাকায় বিলের মাটি কাটা নিয়ে দ্বন্দ্বে মেহেদী হাসান রাকিবকে পিটিয়ে হত্যা করে ইয়াসিন খানসহ তার সঙ্গীরা। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয় সাবিদ নামে একজন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মেদেহী হাসান রাকিব নিগুয়ারি ইউনিয়নের তললী গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।
মেহেদী হাসান রাকিব হত্যার ঘটনায় তার বাবা মজিবর রহমান বাদী হয়ে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাতে পাগলা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় যুবদল নেতা ইয়াছিন খান প্রধান আসামি।
ঢাকা/মিলন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য বদল র ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
উইজডেন–এর প্রতিযোগিতায় পুরস্কারপ্রাপ্ত ময়মনসিংহের এই ছবিটির গল্প জানেন?
গত বছরের এপ্রিলের এমন সময়েই ঈদের ছুটি ছিল। তখন ময়মনসিংহের সুহিলা গ্রামে আমাদের বাড়িতে ছিলাম। সদরের কাছে হওয়ায় গ্রামটা আর আমাদের শৈশবের মতো বৃক্ষশোভিত নেই, চারদিকে বড় বড় ভবন তৈরি হয়েছে। খেলাধুলার তেমন জায়গাও নেই। তবু বাড়িতে থাকলে সামান্য সবুজের খোঁজে গ্রামের এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়াই। বড় কোনো গাছের ছায়ায় গিয়ে দাঁড়িয়ে মানুষের সঙ্গে গল্প করি। অভ্যাসবশত মুঠোফোন হাতে নিয়ে ছবিও তুলি।
ঈদের কয়েক দিন পর এমন করেই ঘুরছিলাম। এমন সময় আমার এক ভাতিজা এসে জানাল, সামনের বন্দে (আমাদের গ্রামে খোলা মাঠকে এই নামেই ডাকে) গাছ কাটা হচ্ছে। সম্ভবত পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে জমিটা খালিই পড়ে থাকত। ছোটবেলায় আমরা সেখানে ক্রিকেট খেলতাম। পরে সেখানে অনেক গাছ লাগানো হয়।
গিয়ে দেখি পাঁচ-ছয়জন কিশোর কেটে রাখা গাছের গুঁড়িতে বসে আছে। কারও হাতে ব্যাট, কারও হাতে বল। একদৃষ্টে গাছ কাটা দেখছে সবাই। সবারই মন খারাপ। যে গাছটা কাটা হচ্ছে, তার নিচেই ক্রিকেট খেলত এই কিশোরেরা। খেলার সময় গাছটাকে বানাত স্টাম্প।
আরও পড়ুনপরিবেশবিষয়ক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় সুব্রত দের তোলা যে ছবি সেরা হয়েছে১৭ ডিসেম্বর ২০২২আবদুল্লাহ আল মাহফুজ