বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ফারজানা লালারুখ বলেছেন, বন্ড মার্কেটকে আমরা ডেভেলপমেন্ট স্টেজে নিয়ে যেতে চাচ্ছি। বন্ড মার্কেট ছাড়া বৈচিত্র্যপূর্ণ পুঁজিবাজার সম্ভব নয়।

বুধবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির মাল্টিপারপাস হলে ‘বন্ড বা সুকুক ইস্যুকরণের ক্ষেত্রে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে ট্রাস্টির ভূমিকা’ শীর্ষক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ফারজানা লালারুখ বলেন, বিএসইসির মূল কাজ হলো কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণ এবং বাজারকে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করা। বন্ড মার্কেটের সুষ্ঠু পরিচালনা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে ট্রাস্টির বিশাল ভূমিকা রয়েছে।  

তিনি বলেন, বন্ড মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার গুরু দায়িত্ব রয়েছে ট্রাস্টির ওপর। সেজন্য বন্ড মার্কেটের ভালো পারফর্ম করা এবং এর ভবিষ্যৎ অগ্রগতির ক্ষেত্রে ট্রাস্টির ভূমিকা নির্ধারক বা নির্ণায়ক হিসেবে কাজ করবে। ট্রাস্টি যেন তাদের সঠিক ভূমিকা পালন করতে পারে, সেটিই আজকের সভার প্রধান লক্ষ্য।  

বিএসইসি কমিশনার বলেন, বন্ড মার্কেট ছাড়া বৈচিত্র্যপূর্ণ পুঁজিবাজার সম্ভব নয়। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজ যেমন- করপোরেট বন্ড, সুকুক ইত্যাদি বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। সরকারও এই বন্ড মার্কেটের উন্নয়নের জন্য তৎপর এবং তারা বিভিন্ন উদ্যোগ ও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।  

বিএসইসির যুগ্ম পরিচালক সৈয়দ গোলাম মওলা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি অনুযায়ী বন্ড বা সুকুক ইস্যুকরণের ক্ষেত্রে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে ট্রাস্টির ভূমিকা বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।  

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহী করতে এবং আস্থা বাড়াতে ট্রাস্টিসহ সবাইকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। বিএসইসি বন্ড মার্কেটের জন্য কাঠামোগত উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে।

সভায় ট্রাস্টির ভূমিকা পালনকারী বিভিন্ন ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও মার্চেন্ট ব্যাংক, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

ঢাকা/এনএফ/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বন ড ম র ক ট র ব এসইস র

এছাড়াও পড়ুন:

সালমান, শায়ানসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আবাসন প্রকল্পের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৮০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমান, তাঁর ছেলে আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমানসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

গতকাল বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে কমিশনের ঢাকা-১ কার্যালয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। এই মামলায় শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল- ইসলামকেও আসামি করা হয়েছে।  

প্রতারণা করে আইএফআইসি আমার বন্ড ইস্যু করে শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেড আবাসন প্রকল্পের নামে ব্যাংকের এই অর্থ সংগ্রহ ও আত্মসাৎ করা হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন– শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মশিউজ্জামান, পরিচালক তিলাত শাহরিন, আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহ আলম সারোয়ার, ব্যাংকের সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক সুধাংশু শেখর বিশ্বাস, এ আর এম নাজমুস সাকিব, কামরুন নাহার আহমেদ, সাবেক পরিচালক রাবেয়া জামালী, গোলাম মোস্তফা, মো. জাফর ইকবাল, বিএসইসির সাবেক কমিশনার রুমানা ইসলাম, মিজানুর রহমান, শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, মো. আবদুল হালিম, সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক নাজিমুল হক, সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কোম্পানি সচিব মো. মিজানুর রহমান, আইএফআইসি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ ক্রেডিট অফিসার সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, হেড অব লোন পারফরম্যান্স ম্যানেজমেন্ট শাহ মো. মঈনউদ্দিন, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ বিজনেস অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম, গীতাঙ্ক দেবদীপ দত্ত, মো. নুরুল হাসনাত, মনিতুর রহমান, হেড অব ট্রেজারি মোহাম্মদ শাহিন উদ্দিন, সাবেক ব্যবস্থাপক হোসাইন শাহ আলী, রিলেশনশিপস ম্যানেজার সরদার মো. মমিনুল ইসলাম, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিমাই কুমার সাহা, সাবেক কর্মকর্তা সিলভিয়া চৌধুরী ও আয়েশা সিদ্দিকা। 
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি প্রতিবেদন সংগ্রহ না করেই প্রস্তাবিত মর্টগেজ সম্পত্তি সরেজমিন পরিদর্শন বা মূল্য যাচাই না করেই অস্বাভাবিক অতি মূল্যায়ন করেছেন। ৮৭ কোটি টাকার জমির মূল্য ১ হাজার ২০ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে। 

ওই আবাসন প্রকল্পের তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বন্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করে আত্মসাৎ করা হয়। আইএফআইসির ব্যাংক হিসাবে ২০০ কোটি টাকার এফডিআর করে অবশিষ্ট ৮০০ কোটি টাকা বেক্সিমকো ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডসহ বেক্সিমকো গ্রুপ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের হিসাবে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে। এসবের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং অপরাধ করা হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • একাদশের শিক্ষার্থীরা পাবে ৫০০০ টাকা ভর্তি সহায়তা, আবেদনের সময় আরও ৭ দিন
  • হামি ইন্ডাস্ট্রিজের চার বছরের আর্থিক হিসাব তদন্তে কমিটি
  • সরকার পুঁজিবাজারের সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছে: আনিসুজ্জামান
  • সালমান, শায়ানসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
  • ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের তথ্য দিতে নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
  • ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
  • ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে বাংলাদেশ ব্যাংক
  • সেই বিরল খনিজই চীনের লড়াইয়ের হাতিয়ার
  • ব্যবসা শুরু করতে ব্যর্থ এসকিউ ব্রোকারের বিরুদ্ধে তদন্তে কমিটি
  • ড. আনিসুজ্জামানের সঙ্গে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের বৈঠক বুধবার