গাজায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা বাংলাদেশের
Published: 19th, March 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল আবার সামরিক আগ্রাসন শুরু করায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বুধবার (১৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও উদ্বেগ জানায়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসন আবারও শুরু হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এই আগ্রাসনে নিরীহ বেসামরিক লোক—বিশেষ করে শিশু ও নারীদের—ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে এবং ইতোমধ্যেই সংকটাপন্ন অঞ্চলটির মানবিক পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটিয়েছে।
এই সহিংসতার নতুন চক্র আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং প্রতিষ্ঠিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিগুলোর প্রতি গুরুতর অবহেলার বহিঃপ্রকাশ।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ (গাজার) ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর নির্বিচারে বিমান হামলায় দ্ব্যর্থহীনভাবে নিন্দা জানায়।
এ হামলা মানবিক দুর্ভোগকে আরো তীব্র করেছে এবং নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর বিপর্যয়কর প্রভাব ফেলেছে।
বিবৃতিতে অবিলম্বে সব সামরিক অভিযান বন্ধ করতে, সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করতে এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি সম্মান দেখাতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানায় বাংলাদেশ সরকার।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘের প্রতি জোরালো আহ্বান জানায়, যেন অবিলম্বে সংঘাত বন্ধ, বেসামরিক মানুষের জীবন রক্ষা এবং গাজার অবরুদ্ধ জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা নির্বিঘ্নে সরবরাহ নিশ্চিত করতে তারা কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বিচার ও মানবাধিকারের প্রতি বাংলাদেশ তার নীতিগত অবস্থান বজায় রেখে ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সঙ্গত অধিকারসমূহের প্রতি তার অকুণ্ঠ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে, যার মধ্যে রয়েছে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্তের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকার।
বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তৃত, ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই শান্তি আনয়নে পুনরায় সংলাপ শুরুর অপরিহার্যতা তুলে ধরে, যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা ভিত্তি। ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর চলমান বিবেকহীন সহিংসতা ও দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে কূটনীতি ও শান্তিপূর্ণ উপায়কে অগ্রাধিকার দিতে বাংলাদেশ সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানায় বিবৃতিতে।
আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের প্রস্তাবসমূহ এবং ফিলিস্তিনি জনগণের শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষার আলোকে ফিলিস্তিন প্রশ্নের একটি স্থায়ী ও ন্যায়সঙ্গত সমাধান অর্জনে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বিবৃতিতে।
হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধবিরতি আকস্মিকভাবে এক তরফা লঙ্ঘন করে ইসরায়েল বিপর্যস্ত গাজায় মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সেহরির সময় নির্বিচারে বিমান হামলা চালায়। এতে অঞ্চলটির অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ চার শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায়। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল জনগণ র
এছাড়াও পড়ুন:
ডিসেম্বরের মধ্যে সংসদ নির্বাচন চাই : কমিউনিস্ট পার্টি
কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় অফিস দখলের হুমকিদাতাদের গ্রেপ্তার, অব্যাহত ধর্ষণ, হত্যা, মব সন্ত্রাসের হোতাদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে সোমবার বিকাল তিনটায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিসিবি, নারায়ণগঞ্জ শহর কমিটি সমাবেশ ও মিছিল করে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ শহর কমিটির সভাপতি কমরেড আঃ হাই শরীফ। বক্তব্য রাখেন, জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড হাফিজুল ইসলাম, শহর কমিটির সাধারণ সম্মাদক সুজয় রায় চৌধুরী বিকু, জেলা কমিটির নেতা জাকির হোসেন, নারী নেত্রী শাহানারা বেগম, জেলা নেতা শিশির চক্রবর্তী ও শহর কমিটির নেত্রী মৈত্রী ঘোষ প্রমূখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ঢাকায় কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় অফিস জোর করে দখলের হুমকি দেওয়া হয়েছে। বাম ও প্রগতিশীল ছাত্র ও নারীদের ধর্ষণবিরোধী শান্তিপূর্ণ মিছিলে উস্কানিমূলকভাবে পুলিশী হামলা করা হয়েছে আবার আন্দোলনকারিদের বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়েছে।
এতে মনে করা সাভাবিক যে, সরকার ধর্ষক ও সন্ত্রাসীদের পক্ষেই থাকছেন। কমিউনিস্ট পার্টি অফিস দখলের হুমকিদাতাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
চাল, ডাল, তেলসহ সকল দ্রব্যমূল্য আগের আমল থেকে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন নতুন ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে। ২২হাজার কোটি টাকা কাগজের নোট ছাপিয়ে সরকার বাজারে ছেড়েছে এতে টাকার মূল্য আগের তুলনায় আরো কমেছে।
ঘুষ-দুর্নীতি কমেনি, হাত বদল হয়েছে কিছুটা। খুন, ধর্ষণ, লুটপাট ও চাঁদাবাজীর সাথে যুক্ত হয়েছে জনগণের বাড়ি ও সম্পদ দখলের উৎসব। শিশু ও নারীর কোন নিরাপত্তা নেই। বিশেষ করে দরিদ্র ও সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছে।
একটা নির্বাচিত সরকার ছাড়া এ পরিস্থিতির কোন উত্তোরণ সম্ভব নয়, তাই আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জোর দাবি জানাচ্ছি।