ঈদুল ফিতরে ঢাকা মহানগরী এলাকায় বাসাবাড়ি, প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানের সার্বিক নিরাপত্তায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এছাড়া উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে ঈদ উদযাপনের জন্য নগরবাসীকে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বুধবার ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, পুলিশকে সহায়তা দিতে ইতোমধ্যে অক্সিলারি পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তারা কার্যকর ভূমিকা রাখবে। পুলিশের পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতনতাবোধ তৈরি করা গেলে, সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে ও অপরাধ দমনে আরও বেশি সফল হওয়া সম্ভব। ডিএমপির গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি ঈদে বাসাবাড়ি, প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানের অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিতে কিছু নির্দেশনা মেনে চলতে নগরবাসীকে অনুরোধ করেছে ডিএমপি। 
সেগুলো হলো- ১.

বাসাবাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, ব্যাংক-বিমাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রক্ষীদের ডিউটি জোরদার করতে হবে। যেকোনো ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা নজরদারির ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একসঙ্গে ছুটি না দিয়ে একটি অংশকে দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত রাখা যেতে পারে।
২. বাসাবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানের দরজা-জানালা সঠিকভাবে তালাবদ্ধ করে যেতে হবে। প্রয়োজনে একাধিক তালা ব্যবহার করা যেতে পারে। দরজা-জানালা দুর্বল অবস্থায় থাকলে তা মেরামত করে যথাসম্ভব সুরক্ষিত করতে হবে।
৩. বাসাবাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে এবং স্থাপিত সিসি ক্যামেরা সচল থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
৪. বাসাবাড়ির মূল দরজায় অটোলক ও নিরাপত্তা অ্যালার্মযুক্ত তালা ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫. রাতে বাসা ও প্রতিষ্ঠানের চারপাশ পর্যাপ্ত আলোকিত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. অর্থ, মূল্যবান সামগ্রী ও দলিল নিরাপদ স্থানে বা নিকট আত্মীয়ের হেফাজতে রেখে যেতে হবে। প্রয়োজনে ব্যাংক লকারের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।
৭. বাসাবাড়ি ত্যাগের আগে যেসব প্রতিবেশী-পাশের ফ্ল্যাটের অধিবাসী ঢাকায় অবস্থান করবেন তাদের বাসার প্রতি লক্ষ্য রাখতে অনুরোধ করতে হবে এবং ফোনে তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে।
৮. ভাড়াটিয়াদের আগেই বাসার মালিককে ঈদ উপলক্ষে বাসা ত্যাগের বিষয়টি জানাতে হবে।
৯. অনুমতি ছাড়া কেউ যেন বাসা বা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে না পারে এ বিষয়ে নিরাপত্তাকর্মীকে সতর্ক করতে হবে ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে হবে।
১০. বাসাবাড়ি বা প্রতিষ্ঠান ত্যাগের আগে লাইট, ফ্যানসহ অন্যান্য ইলেকট্রিক লাইনের সুইচ, পানির ট্যাপ, গ্যাসের চুলা ইত্যাদি বন্ধ করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।
১১. বাসা বা প্রতিষ্ঠানের গাড়ির গ্যারেজ সুরক্ষিত রাখতে হবে।
১২. বাসার জানালা-দরজার পাশে কোনো গাছ থাকলে অবাঞ্ছিত শাখা-প্রশাখা কেটে ফেলতে হবে যাতে অপরাধীরা গাছের শাখা-প্রশাখা ব্যবহার করে বাসায় প্রবেশ করতে না পারে।
১৩. মহল্লা বা বাড়ির সামনে সন্দেহজনক কাউকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানাকে জানাতে হবে।
১৪. ঈদে মহল্লা বা বাসায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকলে বা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িকে জানাতে হবে।
জরুরি প্রয়োজনে পুলিশি সহায়তার জন্য ডিএমপি কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০১৩২০-০৩৭৮৪৫; ০১৩২০-০৩৭৮৪৬, ২২৩৩৮১১৮৮, ০২৪৭১১৯৯৮৮, ০২৯৬১৯৯৯৯ এবং জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯ এ যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড এমপ ড এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদে নৌপথে নাশকতা রোধে ডজনখানের সুপারিশ

ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে নৌপথে পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি কুসুম দেওয়ান। তিনি বলেন, টার্মিনালসহ দূরপাল্লার লঞ্চে বিশেষ করে রাতে যাতে নাশকতা না হয়, সে জন্য নৌপুলিশ কাজ করছে। এতে সেনাবাহিনীও সহযোগিতা করছে।  বুধবার নৌপুলিশ সদরদপ্তর আয়োজিত আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নৌপথে আইনশৃঙ্খলা ও নৌ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সভার শুরুতেই নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে নৌপথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, পরিবেশ দূষণরোধ, টিকিট কালোবাজারি এবং চাঁদাবাজি প্রতিরোধে করণীয় উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উপস্থিত প্রতিনিধি ও অনলাইনে সংযুক্ত নৌপুলিশের ১১টি অঞ্চলের পুলিশ সুপারদের সঙ্গে আলোচনা হয়। সভায় বক্তারা নির্বিঘ্নে ও নিরাপদ নৌপথ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। ঈদে নৌপথ ব্যবহারকারী ঘরমুখো মানুষের যাত্রা সহজ ও নিরাপদ করতে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে নৌপুলিশ কাজ করছে।

মতবিনিময় সভায় নৌপথের নিরাপত্তায় সুপারিশ: লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা থেকে বিরত থাকা, ছোট ও ত্রুটিপূর্ণ লঞ্চে যাত্রী পরিবহনে বিরত থাকা, লঞ্চে যাত্রী সংখ্যার আনুপাতিক হারে লাইফ জ্যাকেট, বয়া প্রভৃতির ব্যবস্থা রাখা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে নৌযান চালানো, চাঁদাবাজি, চুরিসহ যেকোনো হয়রানি বন্ধে বিশেষ নজরদারি বৃদ্ধি করা, নির্ধারিত মূল্যে ভাড়া আদায়ে তদারকি, টার্মিনাল ব্যতীত নদীর যেকোনো জায়গায় অন্য কোনো ছোট নৌযান থেকে যাত্রী উঠানো বা নামানো বন্ধ নিশ্চিতকরণসহ সব নৌযানে পর্যাপ্ত ফায়ার ফাইটিং এবং সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা রাখার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঈদে বাসা-প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় ডিএমপির ১৪ নির্দেশনা
  • ঈদে নৌপথে নাশকতা রোধে ডজনখানেক সুপারিশ
  • পরীক্ষা বর্জন করে ময়মনসিংহে সড়ক অবরোধে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
  • ঈদে নৌপথে নাশকতা রোধে ডজনখানের সুপারিশ
  • ঈদে বাসাবাড়িসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় নগরবাসীকে ডিএমপির নির্দেশনা
  • ‘দেশ ও এলাকার জন্য কাজ করে যেতে চাই'
  • স্বাধীন দেশে প্রভাবমুক্ত পুলিশ বাহিনীই কাম্য
  • এনসিপি, অন্তর্বর্তী সরকার ও সম্ভাব্য জটিলতা
  • পান্থপথ–নিউমার্কেট এলাকার যানজট নিয়ন্ত্রণে ডিএমপির নির্দেশনা