রাঙামাটিতে ‘ধর্ষণচেষ্টার’ মামলায় গ্রেপ্তার ১
Published: 19th, March 2025 GMT
রাঙামাটির লংগদুতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় সোহাগ (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) মধ্যরাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (১৯ মার্চ) তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত সোহাগ লংগদু উপজেলার গুলশাখালী ইউনিয়নের মুর্শিদাবাদ এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।
ভুক্তভোগী জানান, গত সোমবার সন্ধ্যায় ভাইয়ের বাসায় যান। সেখান থেকে ধান ক্ষেতের ভেতর দিয়ে বাসায় ফেরার সময় পেছন থেকে সোহাগ চোখে মুখে চেপে ধরে তার। পরে তাকে ধান ক্ষেতে নিয়ে যায়। জোরাজুরির সময় তিনি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে।
আরো পড়ুন:
ঈদে বাসা-প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় ডিএমপির ১৪ নির্দেশনা
স্কুল ছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ অভিযোগে আটক ৪
ভিকটিমের বৃদ্ধ মা বলেন, “আমার মেয়ের সঙ্গে যেমনটা হয়েছে, এটা যেনো আর কারো মেয়ের সঙ্গে না হয়। আমি মা হিসেবে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। আমার মেয়ের জীবনের নিরাপত্তা চাই।”
ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, “ঘটনার সময় আমি বাজারে ছিলাম। খবর পেয়ে বাসায় গিয়ে দেখি, আমার স্ত্রীর অবস্থা খারাপ। সারাদিন রোজা রেখেছে, পরে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। স্থানীয় ফার্মেসিতে নিলে তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য লংগদু সদর হাসপাতালে পাঠান। আমরা হাসপাতালে কেন গেলাম, তাই এলাকার নেতারা বিচার করবেন না বলে আমাদের জানায়। আমি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার চাই।”
লংগদু থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, “ভুক্তভোগী এবং তার পরিবারের দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/শংকর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘সংস্কারের নামে কালক্ষেপণকারীরা দেশ ও মানুষের শত্রু’
বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ রিংকু বলেছেন, সংস্কারের নামে যারা কালক্ষেপণ করতে চায়; তারা দেশের ভাল চায় না, গণতন্ত্র চায় না। তারা দেশের শত্রু, মানুষের শত্রু। দেশের মানুষ ভোটের আশায় রয়েছেন। তিনি বলেন, এই যুবসমাজ গত ১৭ বছর তাদের ভোট দিতে পারেনি। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আত্মাহুতির মধ্য দিয়ে যে বাংলাদেশ পেয়েছি, তাকে ধ্বংস না করি।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনায় বুধবার বিকেলে ফরিদপুর শহরের অম্বিকা ময়দানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে জেলা যুবদল। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামা ওবায়েদ এসব কথা বলেন।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশে চুরি, ছিনতাই, হত্যা, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধ বেড়েছে। আর নারীদের নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে অন্তবর্তী সরকারকে গুরুত্ব দেওয়ার আহবান জানান তিনি।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, হাসিনা সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতিসহ দেশকে ধ্বংসস্তূপে রেখে গেছে। আবার ঘুরে দাঁড়াতে আমরা সকল ভেদাভেদ ভুলে তারেক রহমানের পরিকল্পনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী দলকে সরকার গঠনে সহযোগিতা করি।
শামা বলেন, ফ্যাসিবাদী হাসিনার পতন হয়েছে। কিন্তু তার দোসররা চারপাশে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বিএনপির কিছু সুবিধাবাদীর ঘাড়ে চরে আওয়ামী লীগের দোসররা একটি অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। সেখান থেকে সবাইকে সাবধান হতে হবে। গত ১৭ বছরে যুবদলসহ বিএনপির বহু নেতাকর্মী গুম, খুন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাই ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই। আমরা যদি নতুন বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ না থাকি, তবে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ঘণীভূত হবে।
জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেনের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ.এফ.এম. কাইয়ুম জঙ্গী, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল প্রমুখ। ইফতার মাহফিলের অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন যুবদল ফরিদুপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন।