সমকালের সম্পাদক হলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শাহেদ মুহাম্মদ আলী। আজ বুধবার এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। 

শাহেদ মুহাম্মদ আলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি ভোরের কাগজে সহ-সম্পাদক হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। 

১৯৯৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোতে যোগ দেন। দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে তিনি প্রথম আলোর প্রধান প্রতিবেদক, বার্তা সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি কালের কণ্ঠে সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সমক ল

এছাড়াও পড়ুন:

আটাবের কমিটি বাতিল করে প্রশাসক বসানোর দাবি সংস্কার পরিষদের

অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) বর্তমান কমিটি বাতিল করে সেখানে প্রশাসক নিয়োগের দাবি জানিয়েছে আটাব সংস্কার পরিষদ।

পরিষদের পক্ষ থেকে এর আহ্বায়ক গোফরান চৌধুরী গতকাল মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে আলাদা চিঠি দিয়ে এই দাবি জানান। তাতে বলা হয়, আটাবের এই কমিটি ভৌতিক ভোটার তালিকা করে, কেন্দ্র দখল করে, জাল ভোট দিয়ে এবং প্রতিপক্ষকে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে বারবার নির্বাচনের ফল নিজেদের পক্ষে নিয়েছে। তাই এ কমিটিকে আজীবনের জন্য যেকোনো বাণিজ্য সংগঠনে নিষিদ্ধ করার দাবিও তোলা হয়েছে।

আটাব সংস্কার পরিষদের আহ্বায়ক গোফরান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আটাবের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আবদুস সালাম আরেফ কী কী ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আবেদনে আমরা সেসব বিষয় তুলে ধরেছি। সভাপতি হিসেবে তাঁর যেসব কাজ করার কথা নয়, তিনি সেসব কাজ করেছেন। তাই আমরা বর্তমান কমিটি বাতিল করে সেখানে প্রশাসক নিয়োগের কথা বলেছি।’

মন্ত্রণালয়ে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, আটাবের বর্তমান কমিটির সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা বাহাউদ্দিন নাসিমের আত্মীয় পরিচয়ে সন্ত্রাসী ও প্রশাসনের সহায়তায় ২০১১ সাল থেকে নিয়ম রক্ষার নির্বাচন দিয়ে দুইবার মহাসচিব হন। বর্তমানে আটাবের সভাপতির পদ দখল করে আছেন। আটাবের মহাসচিব আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে এই পদে আসেন। বর্তমান কমিটি ‘আটাব অনলাইন’ নামের একটি অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করেছিল, যা বাণিজ্য সংঘ বিধি ও আটাব সদস্যদের স্বার্থের পরিপন্থী। আটাব অনলাইনকে ব্যবহার করে সভাপতি ও মহাসচিবের প্রতিষ্ঠানের নামে চেক ইস্যু করে আটাবের টাকা আত্মসাৎ–বেহাত করা হয়েছে। পরে আটাব অনলাইনকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। তাঁরা শেয়ারহোল্ডারদের কোনো টাকা ফেরত দেননি।

এ বিষয়ে আটাবের সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ প্রথম আলোকে বলেন, আটাবের নির্বাচন স্বচ্ছ ও স্বতঃস্ফূর্ত হয়েছে। নির্বাচন করে যাঁরা হেরেছেন, তাঁরা ভোটে কারচুপির কথা ছড়াচ্ছেন। তাঁর দাবি, বিমানের টিকিটের দাম বাড়াতে না পেরে একটি পক্ষ আটাবের বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ