জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেওয়া সিদ্ধান্ত আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ রায় দেন।

নথিপত্রে দেখা যায়, রাজনৈতিক দল হিসেবে ২০১৪ সালের ২৪ জুলাই জাগপাকে নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন। তবে নিবন্ধনে আইনি বিধিবিধানের শর্ত পূরণ না করার অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি দলটির নিবন্ধন বাতিল করে ইসি। এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দলটির সভাপতি আইনজীবী তাসমিয়া প্রধান ওই বছরই রিট করেন।

রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে জাগপার নিবন্ধন বাতিল করে ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারির ইসির সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল যথাযথ (অ্যাবসলিউট) ঘোষণা করে আজ রায় দেওয়া হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে আবেদনকারী আইনজীবী তাসমিয়া প্রধান (বর্তমানে জাগপার সভাপতি) নিজেই শুনানি করেন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী তুরিন সিফাত ও আরিফুল ইসলাম। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ইয়াছিন খান।

রায়ের পর আইনজীবী তাসমিয়া প্রধান প্রথম আলোকে বলেন, জাগপার নিবন্ধন বাতিলের ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারির ইসির সিদ্ধান্ত আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। অর্থাৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে জাগপাকে ইতিপূর্বে ইসির দেওয়া নিবন্ধন বহাল থাকছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ২০২১ স ল র আইনজ ব

এছাড়াও পড়ুন:

ভুল টার্গেটে খুন আইনজীবী সুজন, গ্রেপ্তার ৫

মৌলভীবাজারে ভাড়াটে খুনিরা এক নিরাপত্তারক্ষীকে খুন করতে গিয়ে ভুলে আইনজীবী সুজন মিয়াকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। এ ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন– মূল পরিকল্পনাকারী নজির মিয়া ওরফে মুজিব (২৫), মো. আরিফ মিয়া (২৭), হোসাইন আহমদ সোহান (১৯), লক্ষ্মণ নাইডু (২৩) ও আব্দুর রহিম (১৯)।
 
পুলিশ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে জানিয়ে পুলিশ সুপার জানান, মূল পরিকল্পনাকারী মুজিবের সঙ্গে তার পাশের বাড়ির একটি ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড মিসবাহর পূর্বশত্রুতা ছিল। তাকে ‘শিক্ষা’ দিতে ভাড়াটিয়া খুনি নিয়োগ করে মুজিব। এ জন্য পূর্বপরিচিত লক্ষ্মণের মাধ্যমে অপর খুনিদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় এবং মুজিব মোবাইল ফোনে টার্গেটের (মিসবাহ) ছবি পাঠায়।

গত ৬ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে মৌলভীবাজার পৌরসভা এলাকার ফুটপাতে চটপটির দোকানের পাশে বসে থাকা অবস্থায় আইনজীবী সুজন মিয়াকে মিসবাহ ভেবে তাঁকে ভিডিও কলে দেখিয়ে নিশ্চিত করে খুনিরা। এরপরই চেয়ারে বসা অবস্থায় সুজন মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ১০ থেকে ১২ জন দুষ্কৃতকারী।

এসপি বলেন, এ ঘটনায় ৮ এপ্রিল মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় নিহতের ভাই এনামুল হক সুমন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পর সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত বুধবার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারীসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের পরিচয় উদ্ঘাটন করা হয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। এসব আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা, সদর মডেল থানার ওসি গাজী মো. মাহবুবুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি জাফর হোসেন উপস্থিত ছিলেন। 


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মডেল মেঘনা আলমের আটকাদেশ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
  • পয়লা বৈশাখের আয়োজন বাধাগ্রস্ত করার কোনো অধিকার নেই
  • ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ: যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের মুখে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী
  • ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভের কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের মুখে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী
  • ছাত্রীদের বহিষ্কারের বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নিতে হবে: আনু মুহাম্মদ
  • কান উৎসবে টম ক্রুজের চূড়ান্ত মিশন
  • চট্টগ্রামে মনোনয়ন ফরম নিতে পারেননি আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা
  • চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা মামলায় ১১ আসামির জামিন নামঞ্জুর
  • ভুল টার্গেটে খুন হন আইনজীবী সুজন: পুলিশ
  • ভুল টার্গেটে খুন আইনজীবী সুজন, গ্রেপ্তার ৫