শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) শাখা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে পবিত্র কোরআন শরীফ বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেল ৩টায় ১৭ রমজান বদর বিদস উপলক্ষে দাওয়াহ অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে তারা শেকৃবির প্রায় ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থীকে কোরআন উপহার দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে ও বদরুদ্দোজা গবেষণাগারে একযোগে এ বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস উপলক্ষে শেকৃবি শাখা ছাত্রশিবির বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থীর মাঝে কোরআন বিতরণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ছেলেদের জন্য এবং বদরুদ্দোজা গবেষণা কেন্দ্রের সামনে ছাত্রীদের জন্য বুথ বসানো হয়। 

শিবিরের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন শেকৃবি শিক্ষার্থীরা। শিবিরসহ ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল সব ছাত্র সংগঠন থেকে এমন ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন প্রত্যাশা করছেন তারা।

শেকৃবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবুল হাসান বলেন, “শিক্ষার্থীদের মধ্যে কুরআনের জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে এ উপহার কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীর কাছে কোরআন নেই বা সহজ অনুবাদ নেই, যা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই সব শিক্ষার্থীর কাছে মহান আল্লাহর দেওয়া এ বিশেষ উপহার পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কুরআন বিতরণ করা হয়েছে। যাতে তারা কুরআনের শিক্ষা অনুধাবন করতে পারে।”

ঢাকা/মামুন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক রআন

এছাড়াও পড়ুন:

চারুকলায় আগুন দেওয়া ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে পুলিশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষের শোভাযাত্রা উদযাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফে আগুন দেওয়া ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তবে এখনও তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। 

রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) শেখ মো. সাজ্জাদ আলী বলেন, “আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফে আগুন দিয়ে পোড়ানোর ঘটনায় জড়িতকে শনাক্ত করেছে পুলিশ।  দ্রুতই তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।”

আজ রমনার বটমূলে নিরাপত্তা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।
কমিশনার বলেন, “চারুকলার ঘটনার রহস্য উদঘাটনে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। খুব সন্নিকটে পৌঁছে গেছি। আশা করছি, আগামীকালের মধ্যে একটি সুখবর দিতে পারবো। অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ।”

তিনি বলেন, “বর্ষবরণ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্কসহ পুরো ঢাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পোশাক পরিহিত পুলিশের সঙ্গে সাদা পোশাকের গোয়েন্দারা ঢাকার প্রধান সড়ক থেকে অলি গলিতে নজরদারি করছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। নগরবাসীকে সহযোগিতা করারও অনুরোধ করছি।” বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে কোনো ধরনের হুমকি নেই বলেও তিনি জানান।

শনিবার ভোরে চারুকলা অনুষদে নববর্ষের শোভাযাত্রা উদ্‌যাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফ আগুনে পুড়ে যায়। এর মধ্যে একটি ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি ও আরেকটি শান্তির পায়রা। গতকাল দুপুরেই এ ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।

ঢাকা/এমআর/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গানে-নাচে-আবৃত্তিতে বর্ষবিদায়
  • চট্টগ্রামে নববর্ষের পূর্ব নির্ধারিত সব অনুষ্ঠান হবে: জেলা প্রশাসন
  • মারমাদের মাহা সাংগ্রাই উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা
  • ‌‘তৌহিদী জনতার’ চিঠিতে বাতিল হলো শেষের কবিতা নাটকের প্রদর্শনী
  • চারুকলায় আগুন দেওয়া ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে পুলিশ
  • ‘কাল বৈশাখ, তাও বাজারে কাস্টমার কম’
  • রাষ্ট্র ও সমাজকে পথশিশুদের প্রতি মানবিক হতে হবে
  • চন্দনাইশের ‘হাতপাখা’ গ্রামে ১০ কোটি টাকার ব্যবসা
  • শহুরে পরিবারের দ্বন্দ্ব নিয়ে ‘ননসেন্স’
  • আমিরাতের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ