আগের দিন একটি মন্তব্য করে পরের দিনই ক্ষমা চাইতে হলো।

দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশনের (কনমেবল) প্রেসিডেন্ট আলেহান্দ্রো দমিনগেজ গত সোমবার ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলোকে টারজান নিয়ে বানানো সিনেমার শিম্পাঞ্জির সঙ্গে তুলনা করেন। পরদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন দমিনগেজ।

প্যারাগুয়েতে সোমবার দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশে ক্লাব পর্যায়ের শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে কোপা লিবার্তোদোরেসের ড্র শেষে সাংবাদিকদের দমিনগেজ বলেন, ব্রাজিলিয়ান দলগুলো ছাড়া এই ক্লাব টুর্নামেন্ট ‘যেন চিতা ছাড়া টারজান।’

আরও পড়ুনমেসির সঙ্গে নয়, আমার সঙ্গে লড়ো—লোগান পলকে আর্জেন্টাইন তারকার বডিগার্ড৬ ঘণ্টা আগে

আমেরিকান লেখক এডগার রাইস বারোজের লেখা বইয়ের বিখ্যাত চরিত্র টারজান। এই চরিত্র নিয়ে হলিউডে ১৯৩০ থেকে ১৯৬০–এর দশকে বানানো সিনেমা এবং ষাটের দশকে টিভি সিরিজে ‘চিতা’ নামে একটি শিম্পাঞ্জির চরিত্রও দেখা যায়। টারজানের সঙ্গী হিসেবে এই চরিত্র দেখা গেছে সিনেমা ও টিভি সিরিজে।

দমিনগেজ এরপর ক্ষমা চেয়ে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমার সাম্প্রতিক বিবৃতি নিয়ে ক্ষমা চাচ্ছি। আমি যেটা বলেছি, সেটা আসলে জনপ্রিয় একটি কথার কথা। এর মাধ্যমে কাউকে খাটো করা কিংবা অসম্মান করতে চাইনি। ১০টি সদস্য দেশের ক্লাবগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়া কনমেবলের লিবার্তোদোরেস ভাবাই যায় না।’

প্যারাগুয়েতে গত পরশু কোপা লিবার্তোদোরেসের ড্র অনুষ্ঠিত হয়.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মির্জা আব্বাস অসত্য বলেছেন: ইসলামী আন্দোলন

আওয়ামী লীগের সঙ্গে চক্রান্ত করে ইসলামী আন্দোলন বিএনপির পতন ঘটিয়েছে, চরমোনাই পীর সাহেব নিজেই তা বলেছেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের এমন বক্তব্য অসত্য ও মিথ্যাচার বলে দাবি করেছে ইসলামী আন্দোলন। দলটি বলেছে, এমন বক্তব্য সঠিক না হলে মির্জা আব্বাসকে ক্ষমা চাইতে হবে।

বুধবার ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চক্রান্তের রাজনীতি করে না; বরং সর্বদা দেশ-জাতি ও মানবতার পক্ষে দাঁড়িয়ে কথা বলে। বিগত ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, ইসলামী আন্দোলন তখন বিরোধী দলে ছিল। সে সময়ে ইসলামী আন্দোলন তৎকালীন বিএনপি সরকারের কার্যক্রমের বিরোধিতা করেছে।

গাজী আতাউর রহমান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস সবারই জানা। ২০০৬ সালে নবম জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপির ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার অশুভ চেষ্টার প্রতিফল হিসেবেই ১/১১-এর প্রেক্ষাপট তৈরি হয় এবং আওয়ামী ফ্যাসিজমের সূচনা হয়। এটা ইতিহাসের প্রতিষ্ঠিত সত্য। মির্জা আব্বাসের উচিত হবে এই সত্যকে স্বীকার করে শিক্ষা নেওয়া।’

ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব আমাদের অফিসে এসে যে সমঝোতা করেছেন, আমরা তা রক্ষা করে চলছি। আমরাও প্রত্যাশা করেছিলাম যে বিএনপির নেতারা সেই সমঝোতাকে সম্মান করবেন। সেখানে মির্জা আব্বাসের মতো একজন জ্যেষ্ঠ নেতা যখন এমন মিথ্যা কথা বলেন, তখন তাঁর বিবেচনাবোধ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ