ইউজিসির সাবেক অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ মারা গেছেন
Published: 19th, March 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ মারা গেছেন। ইউজিসি জানিয়েছে, কাজী শহীদুল্লাহ আজ বুধবার অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় তাঁর মেয়ের বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। তিনি দীর্ঘদিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছিলেন।
কাজী শহীদুল্লাহ স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এসএমএ ফায়েজ ও সদস্যসহ কর্মকর্তারা।
ইউজিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কাজী শহীদুল্লাহ ২০১৯ সালের ২৬ মে প্রথম মেয়াদে ইউজিসির চেয়ারমানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর ২০২৩ মে দ্বিতীয় মেয়াদে চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন। তবে ২০২৪ সালের ১১ আগস্ট ইউজিসি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।
কাজী কাজী শহীদুল্লাহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের এই সাবেক শিক্ষক বিভাগের প্রধান, কলা অনুষদের ডিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউজ স
এছাড়াও পড়ুন:
মোবাইল ফোনে কথা বলার ওপর শুল্ক–কর কমানোর সুপারিশ
মোবাইল ফোন সেবার ওপর ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ১ শতাংশ সারচার্জ কমানোর সুপারিশ করেছে দেশের মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো। তারা এ সুপারিশের পক্ষে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছে, সাধারণত অপ্রয়োজনীয়, অবাঞ্ছিত ও বিলাসবহুল পণ্য ও সেবায় এ ধরনের কর আরোপ করা হয়। মোবাইল অপারেটরের প্রতিনিধিরা সম্পূরক শুল্ক ও সারচার্জ পুরোপুরি তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
আজ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে বাজেট আলোচনায় এই দাবি করা হয়। আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে এই আলোচনা সভা হয়। এ ছাড়া সিম সরবরাহের ওপর মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহারের প্রস্তাবও করা হয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।
গত ৯ জানুয়ারি মোবাইল ফোনের সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে টেলিফোন সেবায় (টক টাইম, ইন্টারনেট ব্যবহার ইত্যাদি) সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করা হয়েছিল। ৯ দিনের মাথায় এই সম্পূরক শুল্ক হার এখন আগের জায়গায় ফেরত নেওয়া হয়েছিল। এখন তা প্রত্যাহার চায় এ খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
আজ বাজেট আলোচনায় করপোরেট কর কমানোর দাবি করেছেন মোবাইল অপারেটরের প্রতিনিধিরা। তাঁরা বলেন, বর্তমান করের হার স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত মোবাইল অপারেটরদের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ ও তালিকাহীন কোম্পানির জন্য ৪৫ শতাংশ। সাধারণ করপোরেট কর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৯ কোম্পানির জন্য সাড়ে ২৭ শতাংশ এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য ২০ শতাংশ। মোবাইল অপারেটরদের পৃথক শ্রেণিভুক্ত না করে অন্য কোম্পানির সারিতে পুনর্বিন্যস্ত করার সুপারিশ করেছে দেশের মোবাইল অপারেটরের প্রতিনিধিরা।
অ্যামটব মহাসচিব মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, বৈশ্বিক বিবেচনায় মোবাইল ফোন অপারেটরেরাই সবচেয়ে বেশি কর প্রদান করে থাকে। তদুপরি সরকার প্রায় প্রতিবছর এই খাতে কর বৃদ্ধি করে আসছে, যার বিরূপ প্রভাব গ্রাহকদের ওপর পড়ছে। কর বৃদ্ধির কারণে গত বছরের মাঝামাঝি থেকে দেশে উল্লেখযোগ্যভাবে মোবাইল ও ইন্টারনেট গ্রাহক আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে যা অব্যাহত রয়েছে।