ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ মারা গেছেন। ইউজিসি জানিয়েছে, কাজী শহীদুল্লাহ আজ বুধবার অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় তাঁর মেয়ের বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। তিনি দীর্ঘদিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছিলেন।

কাজী শহীদুল্লাহ স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এসএমএ ফায়েজ ও সদস্যসহ কর্মকর্তারা।

ইউজিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কাজী শহীদুল্লাহ ২০১৯ সালের ২৬ মে প্রথম মেয়াদে ইউজিসির চেয়ারমানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর ২০২৩ মে দ্বিতীয় মেয়াদে চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন। তবে ২০২৪ সালের ১১ আগস্ট ইউজিসি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।

কাজী কাজী শহীদুল্লাহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের এই সাবেক শিক্ষক বিভাগের প্রধান, কলা অনুষদের ডিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউজ স

এছাড়াও পড়ুন:

চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় নিজের মেয়েকে (১৫) ধর্ষণের দায়ে বাবাকে (৪৬) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ড পাওয়া বাবা রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। রায়ের পর পুলিশি পাহারায় প্রিজন ভ্যানে আদালত থেকে তাঁকে জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।

চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি এম এম শাহজাহান প্রথম আলোকে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কিশোরী ধর্ষণ মামলায় তার বাবাকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। সমাজে এ ধরনের ঘৃণিত অপরাধ আর যেন না হয়, এটা তাঁর আশা।

২০২৪ সালের ৭ মার্চ ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে কিশোরীর বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অবিযোগে আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলা করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার পর ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে ওই কিশোরীর বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের কয়েক দিন পর স্বামীর বাড়িতে তার পেটে ব্যথা ও বমি বমি অনুভূত হয়। এরপর তাঁর স্বামী ওষুধ এনে খাওয়ালেও কোনো উপকার হয়নি। পরে পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারেন যে তিনি ২-৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরী তার মাকে জানায় যে ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর বাড়িতে গেলে বাবা তাঁকে ধর্ষণ করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ