শেষ বলের চার ও সেঞ্চুরিতে নায়ক মজিদ

পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ৪ উইকেটে জয় পেয়েছে রূপগঞ্জ। শেষ বলের নাটকীয়তার ম্যাচে রূপগঞ্জের হয়ে সেঞ্চুরি করে নায়ক আব্দুল মাজিদ। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২২৩ রান করে পারটেক্স।

রান তাড়া করতে নেমে ১৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় রূপগঞ্জ। এরপর ১০৭ রানের জুটি গড়েন আব্দুল মাজিদ ও আসাদুল্লাহ আল গালিব। ৮০ বলে ৫০ রান করে গালিব আউট হওয়ার পর হঠাৎ ধস নামে রূপগঞ্জের ইনিংসে, ১২৬ থেকে ১৬৫ পর্যন্ত যেতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা।

কিন্তু একপ্রান্ত আগলে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নেন মজিদ। শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩ রান, চার মেরে রূপগঞ্জকে দারুণ এক জয় এনে দেন মজিদ। এর আগে পারটেক্সকে অলআউট করার পথে ৩ উইকেট করে নেন মাহমুদুল হাসান ও আল আমিন জুনিয়র। পারটেক্সের হয়ে জয়রাজ শেখ ৭১ বলে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন।

জিতেছে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব

বিকেএসপিতে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৪৬ রানে হারিয়েছে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯৪ রান তোলে অগ্রণী ব্যাংক। ৮৫ বল খেলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান সাদমান ইসলাম থামেন ৬৬ বলে ৫৩ রান করে।  

রান তাড়া করতে নেমে শাইনপুকুরের হয়ে একাই লড়েছেন রায়ান রাফসান রহমান। শেষের দিকে অবশ্য সঙ্গী হিসেবে পান মিনহাজুল আবেদীনকে। ১০৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর দুজন মিলে গড়েন অবিচ্ছিন্ন ১৪৫ রানের জুটি।

কিন্তু ম্যাচটা জেতা হয়নি তাদের। রাফসান ১৩০ বলে অপরাজিত ১০৬ ও মিনহাজুল ৬১ বলে অপরাজিত ৫১ রান করলেও শাইনপুকুর পুরো ৫০ ওভার খেলে থেমে যায় ৫ উইকেটে ২৪৮ রান করে।

বড় রান তাড়া করে জয় গুলশানের

মিরপুরে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ২৯১ রান তাড়া করতে নেমে ২ উইকেটে জয় পেয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। ৯ উইকেটে ২৯০ রান করে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। দলটির হয়ে ৭৫ বলে সর্বোচ্চ ৮৩ রান করেন বিশাল চৌধুরী। ৬১ বলে ৬৫ রান আসে আইচ মোল্লার ব্যাট থেকে, ৫৬ বলে ৫০ রান করেন মিজানুর রহমানও।

ব্রাদার্স ইউনিয়নের আইচ মোল্লার ৬৫ রানের ইনিংস বৃথা গেছে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উইক ট হ র য় র ন কর ন র পগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ১৩, দু’জন আশঙ্কাজনক 

চট্টগ্রামের রাউজানে ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পাঁচটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার নোয়াজিষপুরের ইউসুফ খাঁর দিঘি এবং বিকেল ৪টায় একই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মদন চৌধুরীবাড়ি জামে মসজিদ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। 

সংঘর্ষে বিএনপির চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী গুলিবিদ্ধ যুবদল কর্মী মো. কাইয়ুম এবং কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী যুবদল নেতা গাজী মোরশেদ গুরুত্বর আহত হয়েছেন। কাইয়ুম কপালে গুলিবিদ্ধ হন এবং কিরিচের কোপে গাজী মোরশেদের পেটের ভুঁড়ি বের হয়ে যায়। তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। 

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, নোয়াজিষপুর মদন চৌধুরী জামে মসজিদ মাঠে গোলাম আকবর খন্দকারের আনুসারী নোয়াজিষপুর ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও অংগসংগঠনে যৌথ ব্যবস্থাপনায় ইফতার মাহফিলের আয়োজন চলছিল। এতে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা ২০-২৫টি মোটরসাইকেল যোগে এসে হামলা চালায়। এতে ইফতার মাহফিল পণ্ড হয়ে যায়। এই সময় মো. কাইয়ুম নামের এক যুবদল নেতা গুলিবিদ্ধ হয়। পাশাপাশি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হুমায়ুন (২৮), যুবদলের সদস্য মো. রিফাত (২৭), যুবদলের সদস্য সচিব মো. সোহেল, বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফোরকান সিকদার (৪৪),  বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলমসহ অনেকে আহত হন। 

পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গিয়াস উদ্দিন কাদেরের অনুসারীরা চিকদাইর ইউনিয়নের ইফতার মাহফিল থেকে ফেরার পথে ইউসুফ খাঁর দিঘিতে গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারীরা পথ আটকে গুলিবর্ষণ ও কিরিচ দিয়ে হামলা চালায়। অনেকে মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। এ সময় পাঁচটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে যুবদল নেতা মোরশেদ, মো. সেকান্দর, মো. বাদশা ও মো. ফোরকান আহত হন। 

গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী নোয়াজিষপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফোরকান সিকদার বলেন, আমরা আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। সন্ধ্যায় তাদের ওপর কারা হামলা করেছে তা জানি না। 

গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী উত্তর জেলা যুবদল নেতা সেলিম উদ্দিন বলেন, ইফতার মাহফিল থেকে ফেরার পথে গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারীরা আমাদের মোটরসাইকেল বহরে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। 

রাউজান থানা পুলিশের উপপরিদর্শক নাছির উদ্দীন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সংঘর্ষের ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ