ভাঙারি দোকান থেকে উদ্ধার করা মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনীর বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট
Published: 19th, March 2025 GMT
ছবি: সংগৃহীত
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে শিশু ধর্ষণের চেষ্টাকারীকে পুলিশে দিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
সিদ্ধিরগঞ্জে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আব্দুল হান্নান (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে উত্তম-মাধ্যম দিয়েছে সাধারণ ছাত্র-জনতা।
পরে ঘটনাস্থলে পৌছে জনতার রষানল থেকে আব্দুল হান্নানকে উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীর কদমতলী এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ধর্ষণের চেষ্টাকারী আব্দুল হান্নানকে আটক করে উত্তম-মাধ্যম দেয়। পরে খবর পেয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মেহরাব হোসেন প্রভাত ও যুগ্ম সদস্য সচিব ইমন আহমেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক ব্যক্তিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলো সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সংগঠক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যনাসির, তামিম, ফাহিম ও অন্তর।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মেহরাব হোসেন প্রভাত জানান, কিছুদিন আগে আমাদের ছোট বোন আছিয়া খুব কষ্টের মাধ্যমে পৃথিবী থেকে চলে গেছে। আজ আমার আরেকটি ছোট বোনের আছিয়ার মতো অবস্থা হতে নিয়েছিল। ভাগ্যিস ছাত্র জনতার হাতে ধরা পড়ে গিয়েছে লম্পট ব্যক্তিটি।
আজ দেশে ধর্ষকের কঠোর ও ভয়ানক শাস্তি নেই বলে দিন দিন ধর্ষকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ধর্ষকের শাস্তি জনসম্মুখে হতে হবে। যাতে কেউ কু-নজরে তাকানোর সাহস না পায় কোন লম্পট।
প্রশাসন আমাদের মা-বোনদের নিরাপত্তা দিতে না পারলে আমরাই আমাদের মা-বোনদের জন্য নিরাপত্তার দেয়াল হয়ে দাঁড়াবো। গড়ে তুলবো সামাজিক আন্দোলন।
যুগ্ম সদস্য সচিব মোঃ ইনন আহমেদ জানান, ধর্ষণের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলছে, চলবে। ধর্ষকের শাস্তি কঠোর ও ভয়ানক হতে হবে। ধর্ষকের বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই। দেশের মানুষকে নিরাপত্তা দিতে হলে প্রশাসনকে আরও চৌকশ হতে হবে।
এদিকে শিশুটির মা মুক্তা আক্তার বাদী হয়ে আটকৃত আব্দুল হান্নানকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন।
এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, বুধবার দুপুর ২টার দিকে তিনি তার বড় বোন রানী বেগমকে ডাক্তার দেখাতে যান। এসময় তার ৭ বছরের শিশু কণ্যা বাসায় ছিল। ডাক্তার দেখিয়ে বাসায় এসে মুক্তা আক্তার দেখেন তার মেয়ে বাসায় নাই।
পরে তিনি সহ পরিবারের লোকজন মেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে বিকাল সোয় ৩টার দিকে কদমতলী উত্তরপাড়াস্থ একটি নির্মাণাধীন বাড়ির ছাদে মেয়ের চিৎকার শুনেন।
সেখানে গিয়ে দেখেন আব্দুল হান্নান তার মেয়ের গালে ও ঠোঠে চুমু দিচ্ছে এবং শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীতাহানী করছে। এসময় মুক্তা আক্তার চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে আব্দুল হান্নানকে আটক করে মারধর করে।
মুক্তা বেগম এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, এসময় শিশুটি উপস্থিত সবার সামনে বলে, খেলা-ধুলা করার অবস্থায় তাকে চকলেট কিনে দেয়ার কথা বলে ছাদে নিয়ে যায় ওই লোকটি। এবং তার গালে এবং মুখে চুমু দেয়, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দে
য়। তখন সে চিৎকার করতে থাকলে বিবাদী আমার মেয়েকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি হুমকি প্রদান করে।