বিচ্ছেদের গুঞ্জন উড়িয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন তেজস্বী
Published: 19th, March 2025 GMT
সব জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন ‘বিগ বস’ তারকা জুটি তেজস্বী প্রকাশ ও করন কুন্দ্রা। টিভি শো সেলিব্রিটি মাস্টারশেফের সর্বশেষ পর্বে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তেজস্বীর মা।
সেলিব্রিটি মাস্টারশেফের বিচারকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এটি সঞ্চালনাও করছেন পরিচালক ফারাহ খান। এ অনুষ্ঠানে ‘নাগিন’খ্যাত অভিনেত্রী তেজস্বীর বিয়ের পরিকল্পনা তার মায়ের কাছে জানতে চান ফারাহ। জবাবে তেজস্বীর মা বলেন— “এই বছরই হবে।”
করনের সঙ্গে তেজস্বী প্রকাশ
আরো পড়ুন:
অলকার গানের ভক্ত লাদেন, শিল্পী কী বললেন?
কেন প্রেমে পড়লেন গৌরি-আমির?
এ খবর জানার পরই উপস্থিত সকলে কড়তালি দিয়ে অভিবাদন জানান। এতে করে তেজস্বীকে লজ্জা পেতে দেখা যায়। এরপর তেজস্বীকে খেপাতে করনের নাম স্মরণ করেন ফারাহ খান। এতে হেসে ফেলেন এই অভিনেত্রী। তারপর আর কোনো কথা বলেননি তেজস্বী।
পুরোনো এক ইপিসোডে তেজস্বী বলেছিলেন, “আমার জন্য সাধারণ কোর্ট ম্যারেজ ঠিক আছে। আমরা ঘুরে বেড়াব, আরাম করব।”
ভারতের জনপ্রিয় টিভি রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস’-এর ১৫তম আসরে বিজয়ী হন তেজস্বী প্রকাশ। জয়ী হওয়ার কয়েক দিন পরই তেজস্বীর বাবা ঘোষণা দেন— ‘অভিনেতা করন কুন্দ্রাকে বিয়ে করতে যাচ্ছে তেজস্বী।’ কিন্তু এর কিছুদিন পরই খবর চাউর হয় ভেঙে গেছে এ জুটির প্রেম! তবে এসব গুঞ্জন উড়িয়ে চুটিয়ে প্রেমে মজেন এই যুগল।
‘বিগ বস ১৫’ আসরে প্রতিযোগী ছিলেন করন কুন্দ্রা-তেজস্বী। এ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন তেজস্বী, তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন করন। বিগ বসের ঘরে করনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান তেজস্বী প্রকাশ। গ্র্যান্ড ফিনালে শেষ হলেও এ জুটির প্রেম শেষ হয়নি! বরং তারা তাদের প্রেম পরিণয় দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।
তেজস্বী প্রকাশ
সংগীত পরিবারের সন্তান তেজস্বী। কিন্তু পেশা হিসেবে অভিনয়কে বেছে নেন তিনি। এই টেলি সুন্দরী ছিলেন প্রকৌশলীর ছাত্রী। মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রনিকস আর টেলিকমিউনিকেশনস বিষয়ে ডিগ্রি নিয়েছেন। একটি সংস্থায় চাকরিও করতেন তেজস্বী। কিন্তু অভিনয়জগতের হাতছানি এড়াতে পারেননি তিনি। তাই একসময় চাকরি ছেড়ে পাকাপাকি অভিনয়জগতে পা রাখেন।
২০১২ সালে লাইফ ওকের ‘২০১২’-এর মাধ্যমে অভিনয়জীবন শুরু করেন তেজস্বী। এরপর ‘সংস্কার: ধরোহর আপনো কি’, ‘স্বরাগিনী: জোড়ে রিস্তো কে সুর’, ‘পহরেদার পিয়া কি আর সিলসিলা বদলেতে রিস্তো কা’ ধারাবাহিকে দেখা গেছে তাকে।
তথ্যসূত্র: দ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
রিতুর ব্যাটে নাটকীয় জয়, বিশ্বকাপের আরও কাছে বাংলাদেশ
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে রূপকথা লিখলেন বাংলাদেশের মেয়েরা। শেষ দশ ওভারে বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৫৯ রান। হাতে ছিল ৪ উইকেট। এমন জায়গা থেকে অনেকেই ম্যাচের আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে তখনও আশার প্রদীপ হয়ে এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলেন রিতু মণি। নিভু নিভু হয়ে জ্বলতে থাকা সেই রিতুতেই শেষ পর্যন্ত আলো খুঁজে পেলো বাংলাদেশ। তার অপরাজিত ফিফটিতে আয়ারল্যান্ডকে ২ উইকেটে হারিয়েছে টাইগ্রেসরা।
নারী বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচে লাহোরে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান সংগ্রহ করে আয়ারল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ডেলানি। জবাবে খেলতে নেমে ৪৮ ওভার ৪ বলে ৮ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। টাইগ্রেসদের হয়ে ৬১ বলে অপরাজিত ৬৭ রান করেছেন রিতু।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টসে হেরে বোলিং পেয়ে ভালো শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। দলীয় ৬ রানেই ৮ বল খেলে ৪ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন সারা। এই ওপেনারের বিদায়ে চতুর্থ ওভারে মাত্র ৬ রানের মাথায় ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।
তবে শুরুর সেই ধাক্কা সামাল দেন লুইস ও অ্যামি হান্টার। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ৫০ রান। ১৪তম ওভারে জান্নাতুল ফেরদৌসকে ফিরতি ক্যাচ দেওয়ার আগে ৪৩ বলে ২৪ রান করেছেন লুইস। অধিনায়কের বিদায়ের পর হান্টারের সঙ্গে যোগ দেন ওরলা পেন্ডারগেস্ট। তবে এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি হান্টার। ভালো শুরুর পর ফিরেছেন দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৮ বলে ৩৩ রান করেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার।
এরপর ৪র্থ উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে ৭২ রানের জুটি গড়েন পেন্ডারগেস্ট ও লরা ডেলানি। দলীয় ১৪৯ রানে রাবেয়া খানের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে ৪১ রানে ফেরেন পেন্ডারগেস্ট। এরপর লিহ পলকে নিয়ে ৩৩ রানের জুটি গড়েন ডেলানি। তার বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে ৭৫ বলে ৬৩ রান করেন ডেলানি। এরপর ছোট ছোট জুটিতে দলীয় স্কোর ২৩৫ রানে নিয়ে যায় আইরিশদের লোয়ার অর্ডার। ক্রিস্টিনা ১০, ক্যানিং ৪ রান করেন। ২৪ রানে কেলি ও ৭ রানে অপরাজিত থাকেন মাগুইরে।
বাংলাদেশের হয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন রাবেয়া। ২টি ফাহিমার ও ১টি নেন জান্নাতুল ফেরদৌস।