বন্দরে তারাবি নামাজ পড়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে আব্দুল আহাদ (১৪) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্র নিখোঁজ হয়েছে।

নিখোঁজ ছাত্র আব্দুল আহাদ বন্দর থানার ১৯ নং ওয়ার্ডের লক্ষারচর উত্তরপাড়া এলাকার দিদার হোসের ছেলে। সে বিশ্ব নবী (সাঃ) ইসলামিয়া মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণী ছাত্র।

এ ব্যাপারে নিখোঁজের পিতা বাদী হয়ে বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে বন্দর থানায় একটি  নিখোঁজ জিডি এন্ট্রি করেছেন। যার জিডি নং- ১০১০ তাং- ১৯-৩-২০২৫ইং।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাতে বন্দর থানার মদনগঞ্জস্থ আল ফালা সিটি জামে মসজিদে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্য বাসা থেকে বের হয়ে ওই মাদ্রাসা ছাত্র নিখোঁজ হয়।

পুলিশ জিডি পেয়ে নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্রকে সন্ধান পাওয়া জন্য উদ্ধার অভিযান অব্যহত  রেখেছে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ১৩, দু’জন আশঙ্কাজনক 

চট্টগ্রামের রাউজানে ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পাঁচটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার নোয়াজিষপুরের ইউসুফ খাঁর দিঘি এবং বিকেল ৪টায় একই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মদন চৌধুরীবাড়ি জামে মসজিদ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। 

সংঘর্ষে বিএনপির চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী গুলিবিদ্ধ যুবদল কর্মী মো. কাইয়ুম এবং কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী যুবদল নেতা গাজী মোরশেদ গুরুত্বর আহত হয়েছেন। কাইয়ুম কপালে গুলিবিদ্ধ হন এবং কিরিচের কোপে গাজী মোরশেদের পেটের ভুঁড়ি বের হয়ে যায়। তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। 

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, নোয়াজিষপুর মদন চৌধুরী জামে মসজিদ মাঠে গোলাম আকবর খন্দকারের আনুসারী নোয়াজিষপুর ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও অংগসংগঠনে যৌথ ব্যবস্থাপনায় ইফতার মাহফিলের আয়োজন চলছিল। এতে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা ২০-২৫টি মোটরসাইকেল যোগে এসে হামলা চালায়। এতে ইফতার মাহফিল পণ্ড হয়ে যায়। এই সময় মো. কাইয়ুম নামের এক যুবদল নেতা গুলিবিদ্ধ হয়। পাশাপাশি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হুমায়ুন (২৮), যুবদলের সদস্য মো. রিফাত (২৭), যুবদলের সদস্য সচিব মো. সোহেল, বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফোরকান সিকদার (৪৪),  বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলমসহ অনেকে আহত হন। 

পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গিয়াস উদ্দিন কাদেরের অনুসারীরা চিকদাইর ইউনিয়নের ইফতার মাহফিল থেকে ফেরার পথে ইউসুফ খাঁর দিঘিতে গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারীরা পথ আটকে গুলিবর্ষণ ও কিরিচ দিয়ে হামলা চালায়। অনেকে মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। এ সময় পাঁচটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে যুবদল নেতা মোরশেদ, মো. সেকান্দর, মো. বাদশা ও মো. ফোরকান আহত হন। 

গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী নোয়াজিষপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফোরকান সিকদার বলেন, আমরা আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। সন্ধ্যায় তাদের ওপর কারা হামলা করেছে তা জানি না। 

গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী উত্তর জেলা যুবদল নেতা সেলিম উদ্দিন বলেন, ইফতার মাহফিল থেকে ফেরার পথে গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারীরা আমাদের মোটরসাইকেল বহরে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। 

রাউজান থানা পুলিশের উপপরিদর্শক নাছির উদ্দীন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সংঘর্ষের ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ