হায়ার এসি: গ্লোবাল নম্বর ওয়ান মেজর অ্যাপ্লায়েন্স ব্র্যান্ড
Published: 19th, March 2025 GMT
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং হেভি-ডিউটি পারফরম্যান্সের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর ও পরিচ্ছন্ন সুশীতল বাতাসের নিশ্চয়তায় আধুনিক প্রযুক্তির এসি ‘হায়ার’। গরমের তীব্রতায় অন্যতম ভরসা হলো শক্তিশালী, বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ও স্বাস্থ্যকর এয়ারকন্ডিশনার। গ্লোবাল নম্বর ওয়ান মেজর অ্যাপ্লায়েন্স ব্র্যান্ড হায়ার এবার নিয়ে এসেছে হেভি-ডিউটি পারফরম্যান্স প্রযুক্তি, যা আরও দ্রুত ও শক্তিশালী কুলিং নিশ্চিত করে, পরিবেশ রাখে স্বাস্থ্যকর এবং আপনাকে দেবে সুশীতল আরামদায়ক বাতাসের নিশ্চয়তা।
হায়ার এসির বৈশিষ্ট্য১.
হেভি-ডিউটি পারফরম্যান্স: নতুন আপগ্রেডেড হেভি-ডিউটি পারফরম্যান্স প্রযুক্তি হায়ার এসির শীতল করার ক্ষমতা আরও বাড়িয়েছে। প্রচণ্ড গরমেও এটি দ্রুত ঠান্ডা বাতাস সরবরাহ করতে সক্ষম, ফলে যেকোনো পরিবেশে আরামদায়ক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত হয়।
২. সুপার আইএফডি এয়ার পিউরিফায়ার: সুপার আইএফডি ফিল্টার বাতাসের পিএম ২.৫ (PM 2.5) ধূলিকণা ও অ্যালার্জেন দূর করে, ফলে ঘরের বাতাস আরও বিশুদ্ধ হয়। এই প্রযুক্তি ধুলাবালি, ধোঁয়া এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক উপাদান ফিল্টার করে, যা শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়ক।
৩. ইউভিসি-প্রো জেনারেটর: ইউভিসি-প্রো জেনারেটর ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও অন্যান্য জীবাণু ধ্বংস করে বিশুদ্ধ বাতাস নিশ্চিত করে। এটি বিশেষভাবে কার্যকর; কারণ এটি বাতাস বিশুদ্ধ করার পাশাপাশি জীবাণুমুক্ত পরিবেশও তৈরি করে।
৪. সেলফ ক্লিনিং প্রযুক্তি: হায়ার এসির সেলফ ক্লিনিং ফিচার স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসির ভেতরের ধুলাবালি, ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস পরিষ্কার করে। এর ফলে এসির পারফরম্যান্স আরও ভালো হয় এবং দীর্ঘদিন পরিষ্কার বাতাস নিশ্চিত করে।
৫. ওয়াই-ফাই স্মার্ট কন্ট্রোল: হায়ার এসির স্মার্ট ওয়াই-ফাই কন্ট্রোল ফিচার আপনাকে যেকোনো স্থান থেকে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে এসি নিয়ন্ত্রণের সুবিধা দেয়। ফলে অফিসে বা বাইরে থাকলেও আপনি এসির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন, যা আরামের অভিজ্ঞতা আরও সহজ করে তোলে।
৬. ইনভার্টার প্রযুক্তি: হায়ার ইনভার্টার এসি শক্তিসাশ্রয়ী ও দ্রুত শীতল করার ক্ষমতাসম্পন্ন। এতে রয়েছে স্মার্ট ইনভার্টার কম্প্রেসর, যা দ্রুত কুলিং নিশ্চিত করে এবং বিদ্যুৎসাশ্রয় করে।
৭. ৪-ডি অটো সুইং: হায়ার এসির ফোর-ডি (4-D) এয়ারফ্লো ডিজাইন ঘরের প্রতিটি কোণে সমানভাবে ঠান্ডা বাতাস ছড়িয়ে দেয়। ফলে ঘর আরও দ্রুত শীতল হয় এবং দীর্ঘক্ষণ স্বাচ্ছন্দ্য বজায় থাকে।
৮. সুপার কোয়াইট অপারেশন: ঘুম বা কাজের সময় বাড়তি শব্দ একদমই পছন্দ নয়? হায়ার এসির সুপার কোয়াইট অপারেশন নিশ্চিত করে শব্দহীন কার্যক্ষমতা, যা বিশেষ করে রাতে আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করে।
পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত প্রযুক্তিহায়ার এসিতে ব্যবহৃত হেপা ফিল্টার ও হাইজিন ফিল্টার ৯৯.৯৮ শতাংশ ধুলাবালি ও অ্যালার্জেন অপসারণ করে। এ ছাড়া এতে ব্যবহৃত আর-থার্টিটু (r-32) রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস পরিবেশবান্ধব, যা ওজোনস্তরের ক্ষতি করে না এবং গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমায়।
নিরাপত্তা ও দীর্ঘস্থায়িত্ব
হায়ার এসিতে রয়েছে অটো-ডায়াগনোসিস সিস্টেম, যা যেকোনো সমস্যা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করে এবং এসির ডিসপ্লেতে ত্রুটির কোড দেখায়। এতে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা যায় এবং এসির স্থায়িত্ব বাড়ে। এ ছাড়া গোল্ড ফিন প্রযুক্তি মরিচা ও ক্ষয় প্রতিরোধ করে, ফলে এসির কার্যক্ষমতা দীর্ঘদিন বজায় থাকে।
বিদ্যুৎসাশ্রয় এবং স্মার্ট এনার্জি কন্ট্রোলহায়ার ইনভার্টার এসি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎসাশ্রয়ী, যা আপনার মাসিক বিদ্যুৎ বিল কমিয়ে আনবে। এতে রয়েছে ইকো মোড, যা প্রয়োজন অনুসারে বিদ্যুৎ খরচ নিয়ন্ত্রণ করে।
বিক্রয়োত্তর সেবাহায়ার এসির সঙ্গে থাকছে ১২ বছরের কম্প্রেসর ওয়ারেন্টি, চার বছরের স্পেয়ার পার্টস ওয়ারেন্টি এবং দুই বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি।
গ্লোবাল নম্বর ওয়ান মেজর অ্যাপ্লায়েন্স ব্র্যান্ড হায়ারের এসি এবার আরও শক্তিশালী হেভি-ডিউটি পারফরম্যান্স প্রযুক্তির মাধ্যমে এনে দিচ্ছে আরও আরামদায়ক শীতলতা।
তাই এখনই কিনুন এবং নিশ্চিত করুন শীতল, স্বাস্থ্যকর ও আরামদায়ক পরিবেশ।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রফরম য ন স হ য় র এস র স স ব স থ যকর ন শ চ ত কর ইনভ র ট র পর ব শ ক ষমত
এছাড়াও পড়ুন:
‘৮ নম্বর’ বিপৎসংকেতের অপেক্ষা
সৌদি আরবে বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি কেমন হলো? কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক প্রস্তুতি ম্যাচ ছাড়াই শিলংয়ে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স ভালো হবে তো? এসব প্রশ্ন কেউ করছে না। এসব নিয়ে যেন কারও কোনো ভাবনাও নেই।
শিলংয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বাংলাদেশ-ভারত এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচের আগে আপাতত সিগনেচার টাইপ প্রশ্ন একটাই– বাংলাদেশ দলে কোন পজিশনে খেলবেন হামজা? জামাল ভূঁইয়া, তপু বর্মণদের দলের অন্দরমহল থেকে যে খবর বাইরে আসছে, সে অনুযায়ী হোল্ডিং মিডফিল্ডার পজিশনেই খেলবেন হামজা।
তবে তাঁর খেলার ধরনে একটু স্বাধীনতা দিয়ে মাঝমাঠে অবাধ বিচরণের সুযোগ করে দিতে যাচ্ছেন হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। সব তথ্য জোড়া লাগালে যা হচ্ছে, ভারতের ৮ নম্বর বিপৎসংকেত হতে যাচ্ছেন হামজা। কারণ বাংলাদেশ দলে ৮ নম্বর পজিশনে খেলবেন শেফিল্ড ইউনাইটেডের এই মিডফিল্ডার।
ফুটবলে ‘ওয়ান ম্যান টিম’ কথায় আমার বিশ্বাস নেই। তবে দলে দু-একজন খেলোয়াড় থাকেন, যারা বিশেষ প্রতিভায় ম্যাচের কঠিন মুহূর্তগুলো সহজ করে নিতে পারেন। তাই তাদের ফুটবলীয় টেকনিক প্রতিভা ও ট্যাকটিকস মেধার মূল্য দিয়ে দলের কৌশল সাজিয়ে থাকেন কোচরা। স্বাভাবিকভাবে ইংলিশ লিগে খেলা হামজার সর্বোচ্চ ব্যবহারের দিকেই নজর রেখে কৌশল সাজাচ্ছেন বাংলাদেশের কোচ।
বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবল অবকাঠামোর মধ্যে হামজার বেড়ে ওঠা। খেলেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবল লিগেও। এমন একজন ফুটবলার দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল পর্যায়ে এসে গোলকিপার পজিশন বাদ দিয়ে যে কোনো পজিশনেই খেলতে পারবেন বলে মনে করি। কারণ আধুনিক ফুটবল দীক্ষার মধ্যে দিয়ে বেড়ে ওঠায় ফুটবল কীভাবে খেলতে হয়, সেই মৌলিক পাঠটা তাঁর ভালো করেই জানা। কোচের কৌশল কীভাবে বাস্তবায়ন করতে হয়, এই পর্যায়ে এসে হামজার চেয়ে ভালো আর কেই বা জানেন!
সাম্প্রতিক সময়ে ৪-৪-২ ডায়মন্ড ফরমেশনে দলকে খেলিয়েছেন ক্যাবরেরা। এই ফরমেশনে একজন মাত্র হোল্ডিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেছেন মোহাম্মদ হৃদয়। দলের অন্যতম সেরা পারফরমারও তিনি। হামজার অন্তর্ভুক্তিতে হৃদয়কে ছেঁটে না ফেলে দু’জনকে একসঙ্গে ব্যবহার করার জন্য দলের ফরমেশন বদলাতে যাচ্ছেন ক্যাবরেরা।
তাই ৪-২-৩-১ ফরমেশনে হৃদয় ও হামজা– ‘ডাবল পিভট’ দুই হোল্ডিং মিডফিল্ডার খেলানোর পথ বেছে নিতে যাচ্ছেন স্প্যানিশ এই কোচ। এতে রক্ষণভাগের ওপর সরাসরি চাপটাও কম পড়বে। আবার বাংলাদেশের ওপর চড়াও হওয়ার সুযোগ পাবে না ভারতের শক্তিশালী মাঝমাঠও।
‘ডাবল পিভট’-এ হৃদয় আপাদমস্তক প্রথাগত ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে খেললেও হামজার ভূমিকা হবে ভিন্ন। ৮ নম্বর পজিশনের মতো বক্স টু বক্স ওঠানামা করে খেলতে হবে হামজাকে। এতে রক্ষণভাগকেও যেমন সহায়তা করতে পারবেন, ঠিক তেমনি আক্রমণ গড়ার ক্ষেত্রেও সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারবেন ২৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার।
সোজাকথা, ৪ জনের রক্ষণভাগের সঙ্গে আক্রমণভাগের ৪ জনের মজবুত সেতুর সম্পর্ক গড়ে তোলাই হবে শেফিল্ড মিডফিল্ডারের কাজ। একই সঙ্গে বল বাংলাদেশ দলের দখলে থাকা অবস্থায় গোল এরিয়ায় থাকার অবাধ সুযোগ তো থাকছেই হামজার সামনে। এই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাতে খেলার জন্য শারীরিকভাবে যে সামর্থ্য থাকার প্রয়োজন, তার সবই তো আছে সিলেটের বাহুবলের ছেলের মধ্যে।
৪-২-৩-১ এর পাশাপাশি পুরোনো ৪-৪-২ ডায়মন্ড শেইপ ফরমেশনের ভাবনাও মাথায় রাখছেন ক্যাবরেরা। যদি পুনরায় ৪-৪-২ ফরমেশনে খেলে বাংলাদেশ, সে ক্ষেত্রে আক্রমণাত্মক সেন্ট্রাল মিডফিল্ডারের ডান প্রান্তের ৮ নম্বর পজিশনে খেলবেন সিলেটের বাহুবলের ছেলে। মূলত রক্ষণভাগ ও আক্রমণভাগের যোগসূত্র হিসেবে হামজাকে ব্যবহার করাটাই হতে যাচ্ছে ক্যাবরেরার কৌশলের গুরুত্বপূর্ণ দিক।
হোল্ডিং মিডফিল্ডার হলেও ডিফেন্ডারের মতো হামজার পায়ে আছে নিখুঁত ট্যাকল। সঙ্গে দুর্দান্ত কাভারিং। দুই প্রান্ত থেকে ভয় ধরানো সব ক্রস যখন ভেসে আসে বক্সে তখন তাঁর অনুমান-ক্ষমতাও চোখে পড়ার মতো। সঙ্গে লড়াকু মনোভাব। এগুলো দিয়েই ৯০ মিনিট বাংলাদেশকে আগলে রাখবেন হামজা; আমাদের ভালোবাসার ঝাঁকড়া চুলের হামজা।
লেখক: সাবেক ফুটবলার, বাংলাদেশ জাতীয় দল