স্ত্রীর গলায় ‘ছুরি চালালেন’ স্বামী
Published: 19th, March 2025 GMT
নড়াইলে ঋণের টাকা তুলে না দেওয়ার কারণে স্ত্রী রেহেনা বেগমের (৩৫) গলায় ছুরিকাঘাত করে ‘হত্যাচেষ্টা’ করেছেন ভ্যানচালক স্বামী মাজারুল বিশ্বাস। আহত গৃহবধূকে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮মার্চ) দুপুরের দিকে মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে শালিখা থানার ওসি ওলি মিয়া বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আরো পড়ুন:
ঈদের ছুটিতে হাসপাতালে সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের ১৬ নির্দেশনা
ঠাকুরগাঁওয়ে ছুরিকাঘাতে চাচা-চাচিসহ ৪ জন হাসপাতালে
নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে আহতের স্বজন ইয়াসিন মুনসী বলেন, “স্থানীয় একটি সমিতির কাছে ১ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। এরই মধ্যে মাজারুল বিশ্বাস আবারো তাকে সমিতি থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ এনে দিতে চাপ দেন রেহেনাকে। এ নিয়ে মঙ্গলবার সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মাজারুল রেহেনাকে ধাক্কা দিয়ে মেঝেতে ফেলে দেন। পরে তিনি রেহানার গলায় ছুরি চালিয়ে তাকে হত্যাচেষ্টা করেন।
চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে মাজারুল পালিয়ে যান। পরে স্বজনরা রেহেনাকে উদ্ধার করে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতাল নিয়ে আসে।”
নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে সহকারী সার্জন ডা.
ঢাকা/শরিফুল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত অভ য গ
এছাড়াও পড়ুন:
মারমাদের মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব যে কারণে হয়, যেভাবে এল
মারমা জনগোষ্ঠীর সাংগ্রাইং উৎসবের এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে আছে ‘মৈতা রিলং পোয়ে’ বা মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব। এই উৎসবে পরস্পরের দিকে পানি ছিটিয়ে মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হন মারমারা। ‘সাংগ্রাইংমা ঞি ঞি ঞা ঞা রিকোজাই পামে’(এসো হে সাংগ্রাইংয়ে সবাই মৈত্রী পানিবর্ষণে) গানটিও দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আছে এই উৎসবের ‘থিম সং’।
গবেষক ও মারমা জনগোষ্ঠীর প্রবীণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবের শুরু গত শতকের সত্তরের দশকে। কিছু তরুণ মিয়ানমারে সাংগ্রাইং উৎসবে এ ধরনের আয়োজন দেখে দেশেও এর প্রচলন করেন। আর ‘সাংগ্রাইংমা ঞি ঞি ঞা ঞা রিকোজাই পামে’ উৎসবের থিম সং হয়েছে ১৯৮৪ সালে।
মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবকে অনেকেই ‘জলকেলি’ ও ‘পানি খেলা’ বলে থাকেন। তবে এসব নাম আপত্তিকর বলে মনে করেন মারমা সমাজের অনেকেই। তাঁদের দাবি, এর মধ্য দিয়ে ধর্মের যোগ থাকা অনুষ্ঠানটি ভুলভাবে উপস্থাপন হয়।
এবারের সাংগ্রাইং উপলক্ষে আজ বুধবার থেকে বান্দরবান জেলা শহরে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব শুরু হয়েছে। তবে জেলার অন্যান্য জায়গায় গতকাল মঙ্গলবার এই উৎসব শুরু হয়। খাগড়াছড়িতে কোথাও কোথাও সোমবার শুরু হয়েছে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব।
মারমা জনগোষ্ঠীর প্রবীণদের একজন শিক্ষাবিদ থোয়াইংচ প্রু। তিনি প্রথম আলকে বলেন, সাংগ্রাইং আখ্যেয়া বা মূল সাংগ্রাই দিনে বুদ্ধমূর্তি স্নানের আগে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব হয় না। এটা প্রথাসিদ্ধ রীতি। তাই মৈত্রী পানিবর্ষণের সঙ্গে ধর্মের যোগ বেশ স্পষ্ট। তিনি বলেন, পানিকে মারমারা পবিত্র মনে করে। তাই সাংগ্রাইং উৎসবে বন্ধুত্বের বন্ধন এবং পরস্পরের প্রতি মৈত্রী ভাবনা নবায়ন ও সুদৃঢ় করার জন্য একে-অপরের দিকে পানি ছোড়েন। পানি ছিটানোর পর কেউ বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখালে বোঝা যাবে, বন্ধুত্বের সম্পর্কে ও বন্ধনে টানাপোড়েন আছে। এটিই মৈত্রী পানিবর্ষণের মূল্যবোধ। এ কারণে অনেক সময় অযাচিত কাউকে পানিবর্ষণ করলে আগে সালিসের মুখোমুখিও হতে হতো।
মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবে মেতেছেন মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা। গতকাল বান্দরবানের ডলুপাড়ায়