দেশের আরো ৩ প্রতিষ্ঠান পেল পরিবেশবান্ধব কারখানার সনদ
Published: 19th, March 2025 GMT
দিন যত যাচ্ছে, দেশে গ্রিন ফ্যাক্টরি বা পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানা ততই বাড়ছে। এবার আরো তিনটি প্রতিষ্ঠান পেয়েছে পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানার সনদ। নতুন যোগ হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে দেশে সবুজ কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪০টি।
বুধবার (১৯ মার্চ) তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এসব তথ্য জানিয়েছে।
নতুন স্বীকৃতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—গাজীপুরের চান্দুরায় অবস্থিত ইকোটেক্স লিমিটেড, বোর্ড বাজারে অবস্থিত এলিট গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও শ্রীপুরের ইউরো নিট স্পিন লিমিটেড। প্রতিষ্ঠান তিনটি পেয়েছে লিড প্লাটিনাম সনদ।
বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ১০০টি পরিবেশবান্ধব সুবজ কারখানার মধ্যে অর্ধেকের বেশিই বাংলাদেশে। এ তালিকায় সর্বশেষ যোগ হয়েছে আরো তিন প্রতিষ্ঠান। নতুন যোগ হওয়া পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানা নিয়ে মোট ২৪০টি লিড প্রত্যয়িত কারখানার মধ্যে ৯৮টি প্লাটিনাম রেটেড এবং ১২৮টি গোল্ড রেটেড, সিলভার ১০টি এবং সার্টিফাইড ৪টি।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) ‘লিড’ নামে পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। লিডের পূর্ণাঙ্গ রূপ—লিডারশিপ ইন অ্যানার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন। এ সনদ পেতে হলে একটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে নির্মাণ থেকে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে সর্বোচ্চ মান রক্ষা করতে হয়।
লিড সনদের জন্য ৯টি শর্ত পরিপালনে মোট ১১০ পয়েন্ট আছে। এর মধ্যে ৮০ পয়েন্টের ওপরে হলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০ থেকে ৭৯ হলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০ থেকে ৫৯ হলে ‘লিড সিলভার’ এবং ৪০ থেকে ৪৯ পয়েন্ট হলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ পাওয়া যায়।
লিড সনদপত্রের জন্য যোগ্যতা অর্জন করা সহজ কাজ নয়। এজন্য গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ প্রয়োজন। লিড প্রত্যায়িত হওয়ার জন্য বাংলাদেশের আরো ৫০০টি কারখানা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ঢাকা/এনএফ/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গার্মেন্টস গ্রুপ বন্ধ সংশ্লিষ্ট অনন্ত জলিলের দাবি মিথ্যা: প্রেস স
পোশাক কারখানা সংশ্লিষ্ট দেশের ২৪০টি গ্রুপ বন্ধ হয়ে গেছে বলে ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল যে দাবি করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ কথা জানান তিনি।
পোস্টে তিনি লিখেন, ‘অনন্ত জলিলের সরকার থেকে কিছু সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করার আগে সঠিক তথ্য জানা উচিত। পোশাক কারখানার ২৪০টি গ্রুপ বন্ধ হয়ে গেছে বলে তার যে দাবি তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এছাড়া, বাংলাদেশি কারখানা প্রতিদিন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, সেটিও অসত্য। হাজার হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছে বলে তার দাবি, তাও ভুল তথ্য।’
তিনি আরও লিখেন, ‘আমাদের রপ্তানির ৮৪ শতাংশ আসে পোশাক শিল্প থেকে, ৮৪ শতাংশ রেমিট্যান্স নয়, যা তিনি দাবি করেন। প্রকৃত তথ্য হলো- গত সাত মাসে বাংলাদেশের রপ্তানি ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও শিল্প পুলিশ রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সপ্তাহে গাজীপুর, আশুলিয়া ও সাভারের প্রায় ৯৯ শতাংশ কারখানা খোলা ছিল। যদি তিনি মনে করেন যে সরকার মিথ্যা দাবি করছে, তাহলে আমি বিনীতভাবে তাকে তার তথ্য এবং পরিসংখ্যান সরবরাহ করার জন্য অনুরোধ করব।’
ঢাকা/রাজীব