দিন যত যাচ্ছে, দেশে গ্রিন ফ্যাক্টরি বা পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানা ততই বাড়ছে। এবার আরো তিনটি প্রতিষ্ঠান পেয়েছে পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানার সনদ। নতুন যোগ হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে দেশে সবুজ কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪০টি। 

বুধবার (১৯ মার্চ) তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এসব তথ্য জানিয়েছে।

নতুন স্বীকৃতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—গাজীপুরের চান্দুরায় অবস্থিত ইকোটেক্স লিমিটেড, বোর্ড বাজারে অবস্থিত এলিট গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও শ্রীপুরের ইউরো নিট স্পিন লিমিটেড। প্রতিষ্ঠান তিনটি পেয়েছে লিড প্লাটিনাম সনদ।

বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ১০০টি পরিবেশবান্ধব সুবজ কারখানার মধ্যে অর্ধেকের বেশিই বাংলাদেশে। এ তালিকায় সর্বশেষ যোগ হয়েছে আরো তিন প্রতিষ্ঠান। নতুন যোগ হওয়া পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানা নিয়ে মোট ২৪০টি লিড প্রত্যয়িত কারখানার মধ্যে ৯৮টি প্লাটিনাম রেটেড এবং ১২৮টি গোল্ড রেটেড, সিলভার ১০টি এবং সার্টিফাইড ৪টি।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) ‘লিড’ নামে পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। লিডের পূর্ণাঙ্গ রূপ—লিডারশিপ ইন অ্যানার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন। এ সনদ পেতে হলে একটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে নির্মাণ থেকে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে সর্বোচ্চ মান রক্ষা করতে হয়।

লিড সনদের জন্য ৯টি শর্ত পরিপালনে মোট ১১০ পয়েন্ট আছে। এর মধ্যে ৮০ পয়েন্টের ওপরে হলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০ থেকে ৭৯ হলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০ থেকে ৫৯ হলে ‘লিড সিলভার’ এবং ৪০ থেকে ৪৯ পয়েন্ট হলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ পাওয়া যায়।

লিড সনদপত্রের জন্য যোগ্যতা অর্জন করা সহজ কাজ নয়। এজন্য গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ প্রয়োজন। লিড প্রত্যায়িত হওয়ার জন্য বাংলাদেশের আরো ৫০০টি কারখানা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ঢাকা/এনএফ/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

১১ আসামিকে আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার ১১ আসামিকে বিস্ফোরকসহ হত্যাচেষ্টা আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আলাউদ্দিন মাহমুদ এ আদেশ দেন। 

আসামিরা হলেন– প্রেমনন্দন দাস বুজা, রণব দাস, বিধান দাস, বিকাশ দাস, নর্মিত দাস, রাজ কাপুর, সামির দাস, শিব কুমার দাস, ওম দাস, অজয় দাস ও দেবী চরণ। এ মামলার বাদী নিহত আলিফের ভাই খানে আলম। গত ২৬ জানুয়ারি তারা গ্রেপ্তার হয়ে চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

চট্টগ্রাম মহানগর এপিপি মোহাম্মদ রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী জানান, আলিফ হত্যার ১১ আসামিকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আইনজীবী আলিফের ভাইয়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছিল পুলিশ। শুনানি শেষে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়। 

চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত বছরের ২৫ নভেম্বর রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। 

পরদিন তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিন ঘণ্টা তাঁকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আদালত এলাকায় আটকে রাখে তাঁর সমর্থকরা। এক পর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ওই সময়ের সংঘাতের ঘটনায় নিহত আলিফের ভাই একটি মামলা করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ