প্রতীকী ছবি

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ব্লেডের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত শিশু রাব্বীর শরীর

এগারো বছর বয়সী শিশু রাব্বীর পুরো শরীর ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে ব্লেডের আঘাতে। হাসপাতালে শুয়ে কাতরাচ্ছে শিশুটি। তার এ নির্মম ক্ষতচিহ্ন দেখে বাকরুদ্ধ অনেকে। তার চিকিৎসা চলছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। এ ঘটনায় এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে ওই কিশোরকে সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

মর্মস্পর্শী ঘটনাটি ময়মনসিংহের। সোমবার বিকেলে নগরের আকুয়া দারুস সালাম মসজিদ এলাকায় শিশুটিকে আটকে রেখে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্লেড দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে ওই কিশোর। সে নগরের আকুয়া চৌরঙ্গীর মোড় এলাকায় নানা নানির সঙ্গে থাকত। 

রাব্বীকে ডেকে আকুয়া দারুস সালাম মসজিদ এলাকায় নিয়ে শিশুটির চোখ বাঁধে ওই কিশোর। ব্লেড দিয়ে তার বুক, পিঠ, মাথা ও ঠোঁট কেটে দেয় সে। এক পর্যায়ে রক্তাক্ত শিশুটি সেখান থেকে পালিয়ে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ওই বাড়ির সদস্যরা শিশুটিকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাব্বীকে চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সোমবার রাত ১২টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে তৃতীয় তলায় ৩০৩ নম্বর শয্যায় চিকিৎসা চলছে তার। 

শিশুটির খালা লাকি আক্তার বলেন, চোখ, হাত পা বেঁধে মাথা, চোখ, বুক ও ঠোঁটে ব্লেড দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে রাব্বীর। ক্ষতস্থান দিয়ে এখনও রক্ত ঝরছে। কথা বলতেও কষ্ট হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সানকিপাড়া বাজারে শ্রমিকের কাজ করত অভিযুক্ত ওই কিশোর। দুই মাস আগে তার সঙ্গে রাব্বীর কথাকাটাকাটি হয়। ওই সময় থেকে শিশুটিকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় কিশোরটি। 
এ ঘটনায় সোমবার রাতেই কিশোরকে আসামি করে থানায় মামলা করেন রাব্বীর নানা নায়েব আলী। এতে অজ্ঞাতপরিচয় আরও দু’জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার পরপর কিশোরকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল বিকেলে ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শফিকুল ইসলাম খান বলেন, গ্রেপ্তার শিশুটি একাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে জানিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ