মহাকাশে পাঠানো এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপ হচ্ছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (জেডব্লিউএসটি)। মহাজাগতিক রহস্য অনুসন্ধানের পাশাপাশি মহাবিশ্বের প্রান্তে কী আছে, তা নিয়ে আশ্চর্যজনক ছবি প্রকাশ করে চলেছে টেলিস্কোপটি। এবার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ ব্যবহার করে ‘বিগ হুইল’ নামের বিশাল এক ছায়াপথের (গ্যালাক্সির) খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের অনুমান, সর্পিল ছায়াপথটি বিগ ব্যাং বিস্ফোরণের প্রায় ২০০ কোটি বছর তৈরি হয়েছে। এই আবিষ্কার ছায়াপথের বিবর্তন ও অতীতের মহাজাগতিক ঘটনার প্রভাব বোঝার জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

বিজ্ঞানীদের দাবি, বিগ হুইল ছায়াপথটি প্রায় ৯৮ হাজার আলোকবর্ষজুড়ে প্রসারিত। এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী থেমিয়া নানায়াক্কারা বলেন, ‘আমাদের নিজেদের ছায়াপথকে বিগ হুইলের চেয়ে বড় হতে আরও এক হাজার কোটি বছর বা তার বেশি সময় লাগবে। বিগ হুইল সর্বকালের সর্ববৃহৎ ছায়াপথ।’

আরও পড়ুনকৃষ্ণগহ্বর থেকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী রশ্মি২০ জানুয়ারি ২০২৫

নতুন গ্যালাক্সির অস্তিত্ব প্রমাণ করছে, একাধিক গ্যালাক্সির সংঘর্ষে বা দ্রুত একত্রিত হয়ে নতুন একটি বৃহৎ সর্পিল ছায়াপথ তৈরি হতে পারে। বিগ হুইল মহাকাশের এমন একটি অঞ্চলে অবস্থিত যেখানে বিভিন্ন গ্যালাক্সি একত্রিত থাকে। মহাবিশ্বের সাধারণ এলাকার তুলনায় সেখানকার এলাকা ১০ গুণ বেশি ঘন। বিজ্ঞানীরা জানান, এই ঘন পরিবেশ সম্ভবত ছায়াপথের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে।

আরও পড়ুনমহাবিশ্বের শুরু কখন২৩ নভেম্বর ২০২৪

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ এখন পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ। মহাকাশে থাকা টেলিস্কোপটি আমাদের মহাবিশ্বের প্রাচীনতম গঠন দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে। নতুন ছায়াপথ আবিষ্কারের তথ্য নেচার অ্যাস্ট্রোনমি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

সূত্র: মেইল অনলাইন

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ য় পথ

এছাড়াও পড়ুন:

ব্লেডের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত শিশু রাব্বীর শরীর

এগারো বছর বয়সী শিশু রাব্বীর পুরো শরীর ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে ব্লেডের আঘাতে। হাসপাতালে শুয়ে কাতরাচ্ছে শিশুটি। তার এ নির্মম ক্ষতচিহ্ন দেখে বাকরুদ্ধ অনেকে। তার চিকিৎসা চলছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। এ ঘটনায় এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে ওই কিশোরকে সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

মর্মস্পর্শী ঘটনাটি ময়মনসিংহের। সোমবার বিকেলে নগরের আকুয়া দারুস সালাম মসজিদ এলাকায় শিশুটিকে আটকে রেখে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্লেড দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে ওই কিশোর। সে নগরের আকুয়া চৌরঙ্গীর মোড় এলাকায় নানা নানির সঙ্গে থাকত। 

রাব্বীকে ডেকে আকুয়া দারুস সালাম মসজিদ এলাকায় নিয়ে শিশুটির চোখ বাঁধে ওই কিশোর। ব্লেড দিয়ে তার বুক, পিঠ, মাথা ও ঠোঁট কেটে দেয় সে। এক পর্যায়ে রক্তাক্ত শিশুটি সেখান থেকে পালিয়ে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ওই বাড়ির সদস্যরা শিশুটিকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাব্বীকে চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সোমবার রাত ১২টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে তৃতীয় তলায় ৩০৩ নম্বর শয্যায় চিকিৎসা চলছে তার। 

শিশুটির খালা লাকি আক্তার বলেন, চোখ, হাত পা বেঁধে মাথা, চোখ, বুক ও ঠোঁটে ব্লেড দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে রাব্বীর। ক্ষতস্থান দিয়ে এখনও রক্ত ঝরছে। কথা বলতেও কষ্ট হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সানকিপাড়া বাজারে শ্রমিকের কাজ করত অভিযুক্ত ওই কিশোর। দুই মাস আগে তার সঙ্গে রাব্বীর কথাকাটাকাটি হয়। ওই সময় থেকে শিশুটিকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় কিশোরটি। 
এ ঘটনায় সোমবার রাতেই কিশোরকে আসামি করে থানায় মামলা করেন রাব্বীর নানা নায়েব আলী। এতে অজ্ঞাতপরিচয় আরও দু’জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার পরপর কিশোরকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল বিকেলে ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শফিকুল ইসলাম খান বলেন, গ্রেপ্তার শিশুটি একাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে জানিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ