নারায়ণগঞ্জে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ১
Published: 19th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়েছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসিব (৪০) নামে এক যুবদলের কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে।
বুধবার (১৯ মার্চ) ভোর সাড়ে ৪টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকায় সংঘর্ষ হয়। নিহত যুবদলের কর্মী হাসিব চনপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবদলের শামীম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের রব্বানীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে আজ ভোররাত সাতে ৪টার দিকে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবদলের কর্মী হাসিব নিহত হয়। আহত হয় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে গুলিবিদ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় চনপাড়া এলাকাজুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
আরো পড়ুন:
মাটিকাটা নিয়ে যুবদলকর্মীকে পিটিয়ে হত্যা
সিলেটে দুষ্কৃতকারীদের হাতে যুবক খুন
নিহতের বড় ভাই যুবদল কর্মী বাবু বলেন, ‘‘মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাতে মাদক ব্যবসায়ী রবিনকে এলাকার কয়েকজন আটক করে। এ সময় কায়েতপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী রব্বানী ও তার লোকজন এসে তাকে ছাড়িয়ে নেয়। পরে তারা লোকজন নিয়ে সকালে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার ছোট ভাই হাসিব গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।’’
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম বলেন, ‘‘আমি এলাকায় নেই। শুনেছি রবিন নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা নিয়ে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী রব্বানীর লোকজন আমার যুবদল কর্মী হাসিবকে গুলি করে। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় তার পরিবার আইনি ব্যবস্থা নেবে।’’
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। রব্বানী আমার সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক দল করে। দোষীদের ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
নারায়ণগঞ্জের এএসপি মেহেদী হাসান বলেন, চনপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শামীম ও রব্বানী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এক যুবক নিহত হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় অভিযান চলছে।
ঢাকা/অনিক/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য য বদল র ক ব যবস এ ঘটন য় রব ব ন স ঘর ষ এল ক য় এ সময় চনপ ড় উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের ওপর হামলা, ৪ মাদক কারবারি ছিনতাই
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ জেলার কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালিয়ে চার মাদক কারবারিকে ছিনিয়ে নিয়েছে সহযোগী মাদক কারবারিরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের মাসদাইর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাদক
কারবারি সেলিম কসাইয়ের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও দেশি অস্ত্র জব্দ করে। তবে ছিনিয়ে নেওয়া মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি তারা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ জেলার সহকারী পরিচালক রিফাত হোসেন জানান, তাঁর নেতৃত্বে একটি দল নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার মাসদাইর রোকেয়া খন্দকার উচ্চ বিদ্যালয়ের বিপরীত দিকের গলিতে রাসেল মাস্টারের বাড়ির ভাড়াটিয়া চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী কসাই সেলিমের বাসায় অভিযান চালায়। ঘটনাস্থল থেকে মাদক কারবারি কসাই সেলিম, রাসেল, পোড়া কাকন ও শাওনকে আটক করা হয়। এ সময় মাদক কারবারি কসাই সেলিমের সহযোগী ২০ থেকে ২৫ জন মিলে অভিযানে যাওয়া মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দলকে ঘিরে ফেলে। এক পর্যায়ে মাদক কারবারিরা হামলা চালিয়ে আটক চার মাদক ব্যবসায়ীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার পরপরই জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোনাব্বর হোসেনের নেতৃত্বে বিজিবি ও জেলা পুলিশ ফের অভিযান চালায়। তারা ২০ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা, ১ হাজার ৭০০ পিস ইয়াবা, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ১৪ বোতল ফেনসিডিল, হেরোইন, চাপাতি, ছুরি, সুইস গিয়ার চাকুসহ দেশি অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোনাব্বর হোসেন জানান, জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি। মাদক কারবারিরা হামলা চালিয়ে চার মাদক ব্যবসায়ীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।