ফিলিস্তিনের গাজায় ইজরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৯ মার্চ) তারা এসব কর্মসূচি পালন করেন।

বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন ইবি শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনে এ গণহত্যা বন্ধে বিশ্বের মুসলিম নেতৃবৃন্দদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। । 
 
ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আজ আমরা মুসলাম হিসেবে অনেক বেশি লজ্জিত। ফিলিস্তিনে আমাদের মুসলমান ভাই, বোন, শিশুদের নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে।  অথচ আমরা মুসলমান হিসেবে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারছি না। যে মুসলমানদের এক দেহের মতো থাকার কথা, আজ তারা বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত। মুসলমানদের এমন অবস্থা হয়েছে গাজায় হাজার হাজার মানুষ মারা যাওয়ার পরও তাদের বিবেকের কড়া নড়ছে না।

আরো পড়ুন:

কুবিতে প্রশ্নফাঁসে অভিযুক্ত শিক্ষকের কক্ষ সিলগালা 

সম্প্রীতির ইফতারে প্রাণোচ্ছল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

তারা আরো বলেন, মুসলমানদের আর বিভক্ত থাকার দিন নেই। আমরা যত বেশি বিভক্ত হব, আমাদের বিরোধী শক্তি তত বেশি শক্তিশালী হবে। পুরো মুসলিম জাতি যদি এক হয়ে হুংকার দেওয়া যায়, তাহলে শুধু নেতানিয়াহু নয়, পুরো ইসলাম বিরোধী শক্তির মসনদ ভেঙে যাবে। বিশ্বের মুসলিম নেতৃবৃন্দের কাছে আহবান জানাই, আপনারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফিলিস্তিনের মানুষের পাশে দাঁড়ান এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা পালন করুন।

অন্যদিকে, ইজরায়েলি দখলদার বাহিনীর সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনের লড়াইয়ের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কুবি শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে ‘বিপ্লবী ঐক্যজোট’। দুপুর ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে প্রধান ফটকে গিয়ে শেষ হয়। 

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সী’, ‘প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘লং লিভ প্যালেস্টাইন’, ‘থ্রোর এভরি হার্ড টাইম, লং লিভ প্যালেস্টাইন’, ‘অ্যাগেইনস্ট দ্য ক্রুয়েল টাইম’, ‘লং লিভ প্যালেস্টাইন’, ‘ফর পিচ্ ইন টাইম’, ‘ফ্রি ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘নো ম্যুর জেনোসাইড’, ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘নো জাস্টিস’, ‘নো পিচ্’, ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ লেখা সম্বলিত প্লাকার্ড হাতে নিয়ে স্লোগান দেন।

বিক্ষোভ মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মো.

হাছান অন্তর বলেন, “ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইসরায়েলের নরপিশাচরা পবিত্র রমজান মাসে বোমা হামলা করে নিরীহ মুসলমানদের হত্যা করছে। যা জঘন্য মানবতাবিরোধী অপরাধ। এই অপরাধের পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, তার বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে। দিনের পর দিন ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং এটা দ্রুত বন্ধের কঠিন আইনি পন্থা অবলম্বন করার আহ্বান জানাই।”

গণিত বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের মোহাম্মদ হান্নান রাহিম বলেন, “আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অনেকে মানবতার ধুয়ো তুলে। কিন্তু তাদের সেই মানবতা গাজার নারী, শিশুদের আত্মচিৎকারের জায়গায় পৌঁছায় না। তাদের সেই মানবতার প্রতি ধিক্কার, আপনারা সত্যিকারের মানবিক হোন।”

মুসলিম বিশ্বের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনারা মুনাফেকি আচরণ বাদ দিয়ে ন্যূনতম ঈমানী চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়ে ফিলিস্তিন সংকট দ্রুত নিরসনে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করুন।”

ঢাকা/তানিম/এমদাদুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প য ল স ট ইন ম সলম ন ম নবত

এছাড়াও পড়ুন:

শিশুকে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছেন হিটু শেখ

শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখ মাগুরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায়ের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। রোববার বিকেলে মাগুরা সদর থানার ওসির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মাগুরা পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা এ তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার বলেন, শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার চার আসামিকেই গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রধান আসামি হিটু শেখ এরই মধ্যে শনিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বাকি তিন আসামির জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ বিষয়ক আলামত ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য সিআইডি বিভাগে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় গত ৫ মার্চ রাতে আট বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। ঘটনার পর বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় হিটু শেখকে প্রধান করে মামলা করেন শিশুটির মা।

এদিকে, শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে সেভ দ্য উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন নামে একটি সামাজিক সংগঠন। রোববার বেলা ১১টায় মাগুরা জেলা প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দোষীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হবে। দেশে প্রচলিত আইনে ধর্ষণ মামলার কার্যক্রম ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করার বিধান রয়েছে। সেখানে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারিক কাজ শেষ দেখতে চাই। 


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নবাবগঞ্জ বিএনপির নিখোঁজ সভাপতির সন্ধান দাবিতে মানববন্ধন
  • নারীর প্রতি সহিংসতা ভয়াবহতায় রুপ নিয়েছে: মহিলা পরিষদ
  • বিনার মহাপরিচালকের অপসারণ চেয়ে কক্ষে তালা, মানববন্ধন
  • ড্যাপ বাতিল ও ইমারত বিধিমালা বাস্তবায়নে রিহ্যাবের মানববন্ধন
  • ধর্ষণ নিপীড়নের প্রতিবাদ
  • নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে সুহৃদ সমাবেশের মানববন্ধন
  • নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে ঢাবিতে মানববন্ধন 
  • মেডিকেল কলেজ বন্ধের প্রতিবাদে অবরোধ
  • শিশুকে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছেন হিটু শেখ