শেষ বলে ৪ মেরে মজিদের সেঞ্চুরি ও রূপগঞ্জের জয়
Published: 19th, March 2025 GMT
পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের দেওয়া ২২৪ রানের লক্ষ্য ছুঁতে রূপগঞ্জ টাইগার্সের শেষ ৬ বলে দরকার ছিল ১০ রান। ওপেনিংয়ে নেমে দলকে শুরু থেকে লড়াইয়ে রাখা আব্দুল মজিদ ব্যাটিং করছিলেন ৯২ রানে। তার সেঞ্চুরির অপেক্ষা এবং রূপগঞ্জের জয়ের রোমাঞ্চ ছুঁয়ে যাচ্ছিল বিকেএসপির-৩ নম্বর মাঠে। পাশের ৪ নম্বর মাঠ থেকেও ম্যাচের খোঁজ নিচ্ছিলেন অনেকে।
শুরুর ৫ বলে কোনো বাউন্ডারি আসেনি। মজিদ কেবল একটি ডাবলস নিতে পেরেছিলেন। এছাড়া ফয়সাল স্ট্রাইক রোটেট করতে পারছিলেন। শেষ বলে রূপগঞ্জের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩ রান। মজিদের অপেক্ষা ৪ রানের।
পারটেক্সের পেসার তৌফিকের শর্ট বল উইকেট থেকে সরে ফাইন লেগের ফাঁকা জায়গা দিয়ে চার মেরে দুই সমীকরণ মিলিয়ে ফেলেন মজিদ। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে যা তার নবম সেঞ্চুরি। টানা পাঁচ হারের পর রূপগঞ্জ টাইগার্স পায় প্রথম জয়ের স্বাদ। পারটেক্সকে তারা হারিয়েছে ৪ উইকেটে।
আরো পড়ুন:
সাব্বির-জাকিরের ফিফটির পর শামীম-ইরফান ঝড়ে প্রাইমের দারুণ জয়
রানে ফিরে শান্তর সেঞ্চুরি, জিতে টেবিল টপার আবাহনী
তাদের জয়ের নায়ক মজিদ ১২৩ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় খেলেন শতরানের ইনিংসটি। এছাড়া তিনে নামা আসাদুল্লাহ গালিব ৮০ বলে ৫০ করেন ৪ চার ও ১ ছক্কায়। শেষ দিকে আরিফুলের ৩০ বলে ৩৪ রানের ইনিংসে রূপগঞ্জের জয়ের কাজটা তুলনামূলক সহজ হয়ে যায়। বাকি কাজটা সারেন সেঞ্চুরিয়ান মজিদ।
পারটেক্সের হয়ে বল হাতে ৩২ রানে ২ উইকেট নেন আহরার আমিন। ১ উইকেট পেয়েছেন আলাউদ্দিন বাবু, তানভীর হোসেন ও জাওয়াদ রোয়েন।
এর আগে পারটেক্সের ব্যাটিং শুরুটা বেশ ভালো ছিল। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ৯৮ রানের জুটি গড়েন ২৩ ওভারে। জয়রাজ শেখ ৫৪ ও রুবেল মিয়া ৫২ রান করেন। কিন্তু তারা সাজঘরে ফেরার পর আর কেউ দলের হাল ধরতে পারেনি। ১২৫ রান যোগ করতেই গুটিয়ে যায় তারা। রান পাননি অধিনায়ক সাব্বির রহমান। ৭ বলে করেন ২ রান। জাওয়াদ ২৩ ও রাকিব ২৬ রান যোগ করায় তাদের রান দুইশ পেরিয়ে যায়।
রূপগঞ্জের বোলিংয়ের সেরা ছিলেন স্পিনার আল-আমিন জুনিয়র। ২.
লিগে প্রথম ম্যাচ জয়ের পর টাকা পাঁচ হারের তিক্ত স্বাদ পেল সাব্বির রহমানের পারটেক্স। অন্যদিকে পাঁচ হারের পর ষষ্ঠ রাউন্ডে জয়ের খাতা খুলল রূপগঞ্জ।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র পগঞ জ র জয় র জয় র উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
ব্লেডের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত শিশু রাব্বীর শরীর
এগারো বছর বয়সী শিশু রাব্বীর পুরো শরীর ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে ব্লেডের আঘাতে। হাসপাতালে শুয়ে কাতরাচ্ছে শিশুটি। তার এ নির্মম ক্ষতচিহ্ন দেখে বাকরুদ্ধ অনেকে। তার চিকিৎসা চলছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। এ ঘটনায় এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে ওই কিশোরকে সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
মর্মস্পর্শী ঘটনাটি ময়মনসিংহের। সোমবার বিকেলে নগরের আকুয়া দারুস সালাম মসজিদ এলাকায় শিশুটিকে আটকে রেখে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্লেড দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে ওই কিশোর। সে নগরের আকুয়া চৌরঙ্গীর মোড় এলাকায় নানা নানির সঙ্গে থাকত।
রাব্বীকে ডেকে আকুয়া দারুস সালাম মসজিদ এলাকায় নিয়ে শিশুটির চোখ বাঁধে ওই কিশোর। ব্লেড দিয়ে তার বুক, পিঠ, মাথা ও ঠোঁট কেটে দেয় সে। এক পর্যায়ে রক্তাক্ত শিশুটি সেখান থেকে পালিয়ে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ওই বাড়ির সদস্যরা শিশুটিকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাব্বীকে চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সোমবার রাত ১২টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে তৃতীয় তলায় ৩০৩ নম্বর শয্যায় চিকিৎসা চলছে তার।
শিশুটির খালা লাকি আক্তার বলেন, চোখ, হাত পা বেঁধে মাথা, চোখ, বুক ও ঠোঁটে ব্লেড দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে রাব্বীর। ক্ষতস্থান দিয়ে এখনও রক্ত ঝরছে। কথা বলতেও কষ্ট হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সানকিপাড়া বাজারে শ্রমিকের কাজ করত অভিযুক্ত ওই কিশোর। দুই মাস আগে তার সঙ্গে রাব্বীর কথাকাটাকাটি হয়। ওই সময় থেকে শিশুটিকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় কিশোরটি।
এ ঘটনায় সোমবার রাতেই কিশোরকে আসামি করে থানায় মামলা করেন রাব্বীর নানা নায়েব আলী। এতে অজ্ঞাতপরিচয় আরও দু’জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার পরপর কিশোরকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল বিকেলে ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শফিকুল ইসলাম খান বলেন, গ্রেপ্তার শিশুটি একাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে জানিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।