ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে সাতটি ম্যাচ খেলেছেন হামজা চৌধুরী। যার অর্থ ইংল্যান্ড জাতীয় দলের সিস্টেমে ছিলেন ডিফেন্সিভ এই মিডফিল্ডার। যে কোন খেলাধুলায় কেউ অনূর্ধ্ব-২১ খেললে জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখা খুবই স্বাভাবিক। হামজার জন্যও হয়তো গল্পটা আলাদা ছিল না।

ইংল্যান্ড জাতীয় দলে ডাক পেলে কী করতেন হামজা? তখন কি বাংলাদেশ দলে খেলার এই সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে খুব কৌশলী উত্তর দিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী ৫ ফিট ১০ ইঞ্চি উচ্চতার এই ফুটবলার।

তিনি বলেন, ‘আমি পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত (বাংলাদেশের হয়ে খেলার) নিয়েছি। ইংল্যান্ডের হয়ে কখনো ডাক পাইনি। ওই সুযোগ তাই আমার আসেনি। সুতরাং সিদ্ধান্তও নিতে হয়নি। তবে সুযোগ আসলে অবশ্যই পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করতাম। বাংলাদেশে খেলতে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা উৎসাহিত করেছে।’

হামজাকে পাওয়ার জন্য অনেকদিন ধরে চেষ্টা চালিয়েছে বাফুফে। জানা যায়, শুরুতে একবার বাফুফের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিলেন তিনি। বারবার আলোচনা ভেস্তেও গেছে। এরপর ফিফা ও ইংল্যান্ড ফুটবল ফেডারেশন থেকে অনুমতি পাওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। ক্লাবের থেকে অনুমতি পাওয়াও সহজ ছিল না।

শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলার অনুমিত পাওয়া প্রসঙ্গে হামজা বলেন, ‘কয়েক বছর ধরেই আলোচনা হচ্ছিল। সর্বশেষ নতুন (বাফুফে) প্রেসিডেন্ট তাবিথ আওয়াল আলোচনা শুরু করেন। পরিকল্পনা জানান। কোচের সঙ্গ কথা হয়। আমার মনে হয়েছে, এই দলটা সাফল্য পেতে চাই। আমারও পরিবার নিয়ে এখানে আসতে খুব ভালো লাগে। কোচ ও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলার পর আত্মবিশ্বাস পাই।’ 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

মিরপুর প্যারিস রোড মাঠের অবৈধ মেলা উচ্ছেদে অভিযান

রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের প্যারিস রোড মাঠের অবৈধ মেলা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে ডিএনসিসির অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান এবং সম্পত্তি কর্মকর্তা ফারজানা খানম এই অভিযান পরিচালনা করেন। 

অভিযানে মিরপুর প্যারিস মাঠের অবৈধভাবে আয়োজন করা মেলার সব স্টল ও রাইড গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযানে অন্তত ১৫০টি স্টল উচ্ছেদ করা হয়।

অভিযানকালে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান বলেন, আমরা জানতে পারি মিরপুর প্যারিস রোড মাঠে বিনা অনুমতিতে অবৈধভাবে মেলাটি চলছিল। বৈধ অনুমতি না থাকায় মেলার সব স্টল ও রাইড উচ্ছেদ করে মাঠটি দখলমুক্ত করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ডিএনসিসি এলাকায় অনুমতি ব্যতীত মাঠ, পার্ক দখল করে মেলা আয়োজনের কোন সুযোগ নেই। এই বিষয়ে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ঢাকা/আসাদ/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ