রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থল ‘জিয়া উদ্যান’-এর নাম পুনর্বহাল করা হয়েছে। সম্প্রতি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নায়লা আহমেদ সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের ১২.

৩ অনুচ্ছেদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অবস্থিত ‘চন্দ্রিমা উদ্যান’-এর পরিবর্তিত নামকরণ ‘জিয়া উদ্যান’ পুনর্বহাল করা হলো।

এর আগে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ‘জিয়া উদ্যান’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘চন্দ্রিমা উদ্যান’ রাখা হয়। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পূর্বের নাম ‘জিয়া উদ্যান’ পুনর্বহাল করা হয়েছে।

রাজধানীর অন্যতম দর্শনীয় স্থান এই জিয়া উদ্যান, যা জাতীয় সংসদ ভবনের পাশেই ৭৪ একর জমির ওপর বিস্তৃত। এখানে অবস্থিত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একটি মাজার কমপ্লেক্স। প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী পরিবার-পরিজন নিয়ে এখানে ভ্রমণ ও জিয়ারত করতে আসেন।

ঢাকা/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কুড়িগ্রামে বর্ষবরণে নানা আয়োজন

‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গানের মধ্য দিয়ে কুড়িগ্রামে নানা আয়োজনে নতুন বছর ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে বরণ করেছে নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।

আজ সোমবার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় বর্ষবরণের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এতে জেলা প্রশান, প্রচ্ছদ, হিজিবিজি, সরকারি কলেজ, উদীচী, এনসিটিএফ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জেলা বিএনপিসহ বিভিন্ন সংগঠন আলাদাভাবে শোভাযাত্রার আয়োজন করে।

জেলার ঐতিহ্য গরুর গাড়ি, পুতুল নাচ, চরের কৃষকদের নানা কথা উঠে আসে শোভাযাত্রার মোটিভগুলোতে। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি জেলা শহরের কুড়িগ্রাম সরোবরে গিয়ে শেষ হয়। এছাড়াও সেখানে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি কুড়িগ্রাম ইকো পার্কে পুতুল নাচ, ভেলাকোপা গ্রামে লাঠি খেলা, পাঁচগাছির ভেলুর বাজারে ঘোড়া খেলাসহ দিন্যবাপী বর্ষবরণের নানা আয়োজন জেলার বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিগত কয়েকবছর ধরে জেলায় বৈশাখী মেলা না হওয়ায় কিছুটা অখুশি দেখা যায় জেলা শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে।

জেলা শহরের বাসিন্দা হামিদুল হক বলেন, ‘প্রতিবছর কুড়িগ্রামে ধুম-ধাম করে বর্ষ বরণ হলেও, বিগত কয়েক বছর থেকে বৈশাখী মেলা হয় না, এটি হলে ভালো হতো।’

পুতুল নাচ দেখতে আসা জারা ইসলাম বলেন, ‘বাবার সঙ্গে প্রথম পুতুল নাচ দেখতে আসলাম, খুব ভালো লাগছে।’

হিজিবিজির সংগঠক রাজ্য জ্যোতি বলেন, ‘বর্ষ বরণের নানা আয়োজন কুড়িগ্রাম সরোবরে দিনব্যাপী চলবে। প্রশাসন থেকে সব ধরণের নিরাপত্তা দিচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ