ঈদুল ফিতরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে শবনম বুবলী অভিনীত ‘জংলি’ সিনেমা। মুক্তিকে সামনে রেখে প্রচারের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন শিল্পী-কলাকুশলীরা। এবার নায়িকা বুবলী জানালেন, লুঙ্গি পরে নিজের অভিনীত ‘জংলি’ দেখতে চান।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুকে কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছেন বুবলী। ছবিতে লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় দেখা গেছে তাকে। বসে, দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ভঙ্গিতে পোজ দিয়েছেন তিনি। ক্যাপশনে এ অভিনেত্রী লিখেন, “হেই গাইজ, লুঙ্গি পরে ‘জংলি’ সিনেমা দেখতে গেলে কেমন হয়?”
আজাদ খানের গল্পে ‘জংলি’ সিনেমা নির্মাণ করেছেন এম.
আরো পড়ুন:
খন্দকার’স ফ্যাশনে বুবলী-দীঘির সিনেমার প্রচারণা
অপুর ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট নিয়ে সমালোচনা
সিনেমাটিতে সিয়াম-বুবলী ছাড়াও অভিনয় করেছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, সোহেল খান, দিলারা জামান, রাশেদ মামুন অপু, শহীদুজ্জামান সেলিম প্রমুখ।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মরুভূমির নিচে পাঁচ হাজার বছরের পুরোনো সভ্যতার সন্ধান দিল এআই
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে রাব আল-খালি মরুভূমির নিচে থাকা পাঁচ হাজার বছরের পুরোনো সভ্যতার সন্ধান পেয়েছেন আবুধাবির খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী। লোকচক্ষুর অন্তরালে বালুর নিচে থাকা প্রাচীন এ সভ্যতার সন্ধান পেতে নিজেরাই সিনথেটিক অ্যাপারচার রাডারে (এসএআর) তোলা ছবি পর্যালোচনা করতে সক্ষম এআই অ্যালগারিদম তৈরি করেন তাঁরা। সিনথেটিক অ্যাপারচার রাডারের মাধ্যমে পৃথিবীর পৃষ্ঠের ছবি তোলার সুযোগ থাকায় ছবিগুলো পর্যালোচনা করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সারুক আল-হাদিদ অঞ্চলে বালুর নিচে থাকা প্রাচীন এক মানববসতির খোঁজ দিয়েছে এআই অ্যালগরিদমটি।
খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ডায়ানা ফ্রান্সিস বলেন, জলবায়ুর কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অনেক অংশই মরুভূমি। মাটিতে মরুভূমির মধ্যে জরিপ করা খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। সেই কারণে স্যাটেলাইট থেকে ছবি তোলা ব্যবহার করেছি আমরা। সারুক আল-হাদিদ অঞ্চলের প্রাচীন স্থানের ছবি বিশ্লেষণ করে অজানা প্রাচীন মানববসতি সম্পর্কে জানা গেছে।
রুব আল-খালি বিশ্বের বৃহত্তম বালিময় মরুভূমির একটি। নতুন তৈরি মেশিন-লার্নিং অ্যালগরিদমটি স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে ভূপৃষ্ঠের গভীরে বালুর নিচে চাপা পড়ে থাকা লুকানো প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান শনাক্ত করতে পারে। রাডার ইমেজের মাধ্যমে পৃথিবীর পৃষ্ঠকে গভীরভাবে চিত্রিত করা যায়। আর তা বিশ্লেষণ করে দিচ্ছে এআই।
নতুন এই স্থান আবিষ্কার প্রত্নতত্ত্ব–সংক্রান্ত গবেষণার জন্য একটি বিশাল পদক্ষেপ হতে পারে। এআই ও রিমোট সেন্সিং ব্যবহার করে জটিল সব ভূখণ্ডে প্রাচীন বসতি খুঁজে বের করার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। মানুষের উপস্থিতি ছাড়াই দ্রুতগতি ও দক্ষতায় এআই বিপুল পরিমাণ ডেটা প্রক্রিয়া করে এসব তথ্য জানাতে পারে। বিজ্ঞানীরা আরব উপদ্বীপ ও বাইরের প্রাচীন সভ্যতা সম্পর্কে এআই দিয়ে আরও গভীরভাবে জানতে আগ্রহী এখন। উত্তর আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন মরুভূমিতে সভ্যতার অস্তিত্ব জানাতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া