ড. ইউনূসের দুর্নীতির মামলা বাতিল ঠিক ছিল কি না, রায় ২৩ এপ্রিল
Published: 19th, March 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পরে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দুর্নীতির মামলা বাতিল করা সঠিক ছিল কি না, সে বিষয়ে আগামী ২৩ এপ্রিল রায় দেবেন আপিল বিভাগ।
বুধবার (১৯ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ রায়ের জন্য এ তারিখ ঠিক করেন।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মো.
আপিল বিভাগকে সংবিধানের ১০৪ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে অনুরোধ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
ড. ইউনূসের আইনজীবী বলেছেন, “হয়রানি করতেই এ মামলা করা হয়েছিল। কাজেই যখন তিনি ক্ষমতায় আসলেন, দ্রুত তা বাতিল হলো। এটি সঠিক হয়নি।” পরে আপিল বিভাগ রায়ের তারিখ ২৩ এপ্রিল ধার্য করেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ১১ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারে করে নেয় দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)।
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৩০ মে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। পরে ১২ জুন ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
ঢাকা/মামুন/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিদেশ যাওয়ার অনুমতির আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত
ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম ও তাঁর স্ত্রী আরজুদা করিমের বিদেশ যেতে অনুমতি দিয়ে ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে দুদকের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোহাম্মদ আলী ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
এর আগে ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত ১৬ মার্চ ওবায়দুল করিম ও তাঁর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে অনুমতি দিয়ে আদেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করে, যার ওপর আজ শুনানি হয়।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আসিফ হাসান। ওবায়দুল করিম ও তাঁর স্ত্রীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ১৬ মার্চ স্পেশাল জজ আদালতের দেওয়া আদেশ আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সেদিন হাইকোর্টে আবার শুনানি হবে।
দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আসিফ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তাঁর প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং–সংক্রান্ত অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। যে কারণে ওবায়দুল করিম, তাঁর স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়। প্রথমে স্পেশাল জজ আদালত বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেন। পরবর্তী সময়ে ওবায়দুল করিম, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে বিদেশে যাওয়ার জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। এতে ওবায়দুল করিমের চিকিৎসা ও ওমরাহ হজের জন্য এবং এ ক্ষেত্রে অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে স্ত্রী ও মেয়ের বিদেশযাত্রার অনুমতি চাওয়া হয়। স্পেশাল জজ ওবায়দুল করিম ও তাঁর স্ত্রীকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে ১৬ মার্চ আদেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে দুদক আবেদন করে। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দিয়ে স্পেশাল জজ আদালতের আদেশ আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করেছেন।
ওবায়দুল করিম ও তাঁর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে অনুমতি দিয়ে স্পেশাল জজ আদালতের ১৬ মার্চ দেওয়া আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানান দুদকের এই আইনজীবী।