জাহিদ আকবর ও লুৎফর হাসান সবশেষ একসঙ্গে কাজ করেছিলেন ২০০৯ সালে। ক্লোজআপ ওয়ান তারকা সালমার একক অ্যালবামে জাহিদ আকবরের লেখা গানে লুৎফর হাসানের সুরে সেটাই ছিল সর্বশেষ কাজ। তার আগে দুই বন্ধু একত্রে কাজ করেছিলেন ফাহমিদা নবীর গানেও। এছাড়াও একসঙ্গে আরও বেশকিছু কাজ রয়েছে তাদের। তবে গত ১৬ বছরে তাদের আর একসঙ্গে কাজ করা হয়ে ওঠেনি।
১৬ বছর পর আবার আসছে জাহিদ আকবরের কথায় লুৎফর হাসানের গান। ‘আকাশ হয়ে যাই’ শিরোনামে গানটিতে সুর করার পাশাপাশি কন্ঠ দিয়েছেন লুৎফর হাসান। তরিকের সঙ্গীতায়োজনে গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন ফারহান আহমেদ রাফাত।
গানটি প্রসঙ্গে জাহিদ আকবর বলেন, ‘আকাশ হয়ে যাই’ গানটা আমি যে ধরণের গান লিখতে পছন্দ করি তেমনি একটা ঘোরলাগা প্রেমের গান। গানের বিষয়,শব্দ, বাক্য, উপমা সবকিছুতে প্রেম মিশে আছে। গানটার সুর শুনেছি বেশ আরামদায়ক একটা গান হয়েছে। বন্ধু লুৎফর হাসান নিজেও অসাধারণ গীতিকার। তার জন্য গান লেখা একটু কঠিন। এই কঠিন বিষয়গুলো করতে আমার ভালোলাগে। আকাশ হয়ে যাই সবার হোক।
তাদেরই আরেক বন্ধু সোমেশ্বর অলির লেখা ‘ঘুড়ি’ গান গেয়ে লুৎফর হাসান নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করেছেন। যুগ পেরিয়ে তার ক্যারিয়ারে সফল গানের সংখ্যাও বেড়েছে। অন্যদিকে, অডিও ইন্ডাস্ট্রিতে জাহিদ আকবরের লেখা বিভিন্ন গান জনপ্রিয় হয়েছে। পাশাপাশি সিনেমার গানেও তিনি রেখেছেন সফলতার স্বাক্ষর।
ধ্রুব মিউজিক স্টেশন (ডিএমএস) জানায়, এবারের ঈদ আয়োজনে ‘আকাশ হয়ে যাই’ গানটির ভিডিও প্রকাশ পাবে তাদের ইউটিউব চ্যানেলে। এর পাশাপাশি গানটি শুনতে পাওয়া যাবে দেশি ও আর্ন্তজাতিক সব মিউজিক প্ল্যাটফর্মে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: নত ন গ ন ল ৎফর হ স ন জ হ দ আকবর
এছাড়াও পড়ুন:
অহিংসবাদ সম্প্রীতি ও হিংসা-বিদ্বেষবিহীন দেশ গড়তে চাই: সেনাপ্রধান
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, অহিংসবাদ সম্প্রীতি, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, হিংসা-বিদ্বেষবিহীন দেশ, এটাই আমরা গড়ে তুলতে চাই। এদেশ সবার, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলমান সবার এই দেশ। এই সম্প্রীতি বজায় রেখে আমরা বাস করতে চাই।
আজ রোববার সকালে ঢাকার মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের ‘সম্প্রীতি ভবন’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত এবং এ জন্য যা কিছু প্রয়োজন, তা করতে তারা অঙ্গীকারবদ্ধ। সমগ্র দেশের সম্প্রদায় সম্প্রতি রক্ষার জন্য যা কিছু করতে হয়, সেটা করতে সদায় প্রস্তুত থাকবো।
ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আমরা সবাই মিলে এই দেশ ও জাতিকে একটা শান্তির জায়গা নিয়ে যেতে চাই। গৌতম বুদ্ধের বাণী এই সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা শান্তির দেশ চাই, শৃঙ্খলার দেশ চাই। আমরা এখানে হানাহানি, বিদ্বেষ চাই না। সবার সমস্ত বিভিন্ন মত থাকতে পারে। অবশেষে আমরা সবাই সবাইকে যেন শ্রদ্ধা করি। একে অপরের বক্তব্য, মতামতকে যেন শ্রদ্ধা করি। আমাদের নিজস্ব মতামত থাকবে সেই অনুযায়ী কাজ করব।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, অহিংসবাদ সম্প্রীতি, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, হিংসা-বিদ্বেষ বিহীন দেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই। আমরা চাই একসঙ্গে এখানে সুন্দরভাবে বসবাস করব। এই উদ্দেশ্যেই আমরা সবসময় কাজ করে যাচ্ছি।
সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, আমরা সবসময় এ দেশের ধর্ম, বর্ণ, গোত্র সব সম্প্রদায়ের সঙ্গে অত্যন্ত ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমরা একসঙ্গে বাস করি। বাংলাদেশ একটা সম্প্রীতির দেশ। এদেশে হাজার হাজার বছর ধরে সব ধর্ম-বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে আমরা শান্তিতে বসবাস করে আসছি। সেটারই একটা প্রতিফলন আজকের এই অনুষ্ঠান। এটা শুধু সম্প্রীতি ভবন ভিত্তিস্থাপন অনুষ্ঠান নয়, এখানে আমরা একটা সম্প্রীতির সমাবেশ করেছি। যেখানে সব ধর্ম-বর্ণ গোত্রের লোকজন আছে। আমরা আমাদের দেশটাকে এভাবেই দেখতে চাই।