ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে আজ বুধবার আটক করেছে তুরস্কের পুলিশ। নিজ বাড়িতে পুলিশি তল্লাশির পর আটক হন তিনি। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ধরা হয় ইমামোগলুকে।

মেয়র ইমামোগলুর বাড়িতে তল্লাশির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানায়নি। দেশটির সংবাদমাধ্যমে খরব প্রকাশিত হয়েছে, দুর্নীতির তদন্তের অংশ হিসেবে এ তল্লাশি চালানো হয়েছে।

এএফপির স্থানীয় এক সহযোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মেয়র একরেম ইমামোগলুকে আটক করে পুলিশ সদর দপ্তরে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে ইমামোগলু সামজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লিখেন, ‘আমার বাড়ির দরজায় কয়েক শ পুলিশ এসেছে। আমি নিজেকে মানুষের কাছে সঁপে দিচ্ছি।’

মেয়রের দপ্তর থেকেও ইমামোগলুর আটক হওয়ার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানায়নি।

আটকের এক দিন আগেই ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয় ‘অনিয়মের অভিযোগে’ একরেম ইমামোগলুর ডিপ্লোমা ডিগ্রি বাতিল করেছে। ডিগ্রি না থাকায় ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা ঝুঁকির মুখে পড়ে গেছে। কারণ, তুরস্কের সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের অবশ্যই উচ্চতর শিক্ষার ডিগ্রি থাকতে হবে।

ইমামোগলু তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা। ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি এই দল থেকেই জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) নেতা ও ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন।

ইমামোগলু এবার নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইস্তাম্বুলের মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলার তদন্ত চলছে।

আরও পড়ুনইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুর ডিপ্লোমা ডিগ্রি বাতিল১০ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র আটক

এছাড়াও পড়ুন:

কুড়িগ্রামে বর্ষবরণে নানা আয়োজন

‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গানের মধ্য দিয়ে কুড়িগ্রামে নানা আয়োজনে নতুন বছর ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে বরণ করেছে নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।

আজ সোমবার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় বর্ষবরণের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এতে জেলা প্রশান, প্রচ্ছদ, হিজিবিজি, সরকারি কলেজ, উদীচী, এনসিটিএফ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জেলা বিএনপিসহ বিভিন্ন সংগঠন আলাদাভাবে শোভাযাত্রার আয়োজন করে।

জেলার ঐতিহ্য গরুর গাড়ি, পুতুল নাচ, চরের কৃষকদের নানা কথা উঠে আসে শোভাযাত্রার মোটিভগুলোতে। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি জেলা শহরের কুড়িগ্রাম সরোবরে গিয়ে শেষ হয়। এছাড়াও সেখানে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি কুড়িগ্রাম ইকো পার্কে পুতুল নাচ, ভেলাকোপা গ্রামে লাঠি খেলা, পাঁচগাছির ভেলুর বাজারে ঘোড়া খেলাসহ দিন্যবাপী বর্ষবরণের নানা আয়োজন জেলার বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিগত কয়েকবছর ধরে জেলায় বৈশাখী মেলা না হওয়ায় কিছুটা অখুশি দেখা যায় জেলা শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে।

জেলা শহরের বাসিন্দা হামিদুল হক বলেন, ‘প্রতিবছর কুড়িগ্রামে ধুম-ধাম করে বর্ষ বরণ হলেও, বিগত কয়েক বছর থেকে বৈশাখী মেলা হয় না, এটি হলে ভালো হতো।’

পুতুল নাচ দেখতে আসা জারা ইসলাম বলেন, ‘বাবার সঙ্গে প্রথম পুতুল নাচ দেখতে আসলাম, খুব ভালো লাগছে।’

হিজিবিজির সংগঠক রাজ্য জ্যোতি বলেন, ‘বর্ষ বরণের নানা আয়োজন কুড়িগ্রাম সরোবরে দিনব্যাপী চলবে। প্রশাসন থেকে সব ধরণের নিরাপত্তা দিচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ