তৌসিফ-তটিনী জুটি হয়ে আজকাল অনেক গল্পেরই নায়ক-নায়িকা হচ্ছেন। পাচ্ছেন সফলতাও। তবে এই ঈদে খানিকটা ভিন্ন গল্পের আবহে পর্দায় হাজির হচ্ছেন তারা। দু’জনকে জুটি করে হাসিব হোসাইন রাখি নির্মাণ করেছেন ঈদের বিশেষ নাটক ‘মন দিওয়ানা’।

সিএমভি’র ব্যানারে সদ্য নির্মিত এই নাটকের সিনেমাটোগ্রাফিতে ছিলেন রাজু রাজ। একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাদের চৌধুরী। চিত্রনাট্য লিখেছেন নির্মাতা নিজেই। 

‘মন দিওয়ানা’র গল্প প্রসঙ্গে নির্মাতার সারসংক্ষেপ এমন, রুসু বাউণ্ডুলে ও বন্ধুপ্রেমী একটা ছেলে। ভার্সিটিতে পড়লেও সারাদিন বাইকে চেপে ঘুরে বেড়ায় আর বাউণ্ডুলে জীবন কাটায়। এদিকে গল্পের নায়িকা মারজান মাত্র কলেজ লাইফ শেষ করে ভার্সিটিতে পা দেওয়ার অপেক্ষায় আছে। একই ভার্সিটির সিনিয়র রুসু। মারজান ক্যাম্পাসে প্রথম পা দিয়েই টের পায়, চলছে নতুনদের র‌্যাগিং! তার সিরিয়াল পড়ে রুসুদের গ্রুপে। মজার বিষয়, সেদিন মারজানকে র‍্যাগ না দিয়ে ছেড়ে দেয় রুসু। এবং মারজানকে বলে দেয়, কেউ কিছু বললে বলতে যে, ‘আমি রুসুর গার্লফ্রেন্ড’!  

এভাবেই মজার ও ভয়ের একটি দৃশ্য দিয়ে শুরু হয় ‘মন দিওয়ানা’র গল্প। 

নির্মাতা হাসিব হোসাইন রাখির মতে, গল্পটা শুধু প্রেমের নয়, বন্ধুত্বেরও। যেখানে প্রেম ও বন্ধুত্বকে তুলে ধরা হয়েছে সমান্তরাল গতিতে। যা দেখে দর্শকরা ভিন্নতার স্বাদ পাবেন।

‘মন দিওয়ানা’র প্রযোজক-পরিবেশক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, এবারের ঈদ উৎসবে অন্তত ২০টি বিশেষ নাটকের পসরা সাজাচ্ছে সিএমভি। যা চাঁদরাত থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ হবে প্রতিষ্ঠানটির অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে।


 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার, ক্লাস শুরু ৪ মে 

সংঘর্ষের জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার রাতে কুয়েটের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া সভায় শিক্ষার্থীদের জন্য ২ মে হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে ৪ মে। 

কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহেদুজ্জামান শেখ জানান, সোমবার রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ১৯ ফেব্রুয়ারি গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠানো নির্দেশ দেওয়া হয়।

তিনি জানান, সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষা কার্যক্রম ৪ মে থেকে শুরু এবং সকল আবাসিক হল ২ মে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে এতে সন্তুষ্ট হয়নি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। 

হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থানের সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের: তবে হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। রোববার বেলা ৩টা থেকে তারা সেখানে অবস্থান করছেন। 

শিক্ষার্থীরা বলেন, তাদের দাবি ছিল আজ সোমবার রাত থেকেই হল খুলে দেওয়ার। এছাড়া সিন্ডিকেট সভা শেষে তারা অপেক্ষা করছিলেন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তের বিষয়গুলো তাদের জানাবে। কিন্তু কেউ তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্তগুলো জানাননি। হল খোলা ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর অনেক দিন দেরি রয়েছে। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়া হলে থাকতে না পারায় তাদের টিউশনি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।  

প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে শতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ