বোরকা পরে পালানোর সময় ‘ধর্ষক’ আটক
Published: 19th, March 2025 GMT
রংপুরের মিঠাপুকুরে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ধর্ষক আলম মিয়া বোরকা পরে পালানোর সময় জনতার হাতে আটক হন। পরে গণধোলাই দিয়ে তাকে পুলিশের কাছে হাতে তুলে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাতে পালানোর চেষ্টা করেন অভিযুক্ত আলম মিয়া। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী উপজেলার বড় মির্জাপুর ইউনিয়নের নিভৃত এক গ্রামের একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। পায়ে প্রতিবন্ধিতা রয়েছে মেয়েটির। রমজান উপলক্ষে তার বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। তবে ওই শিক্ষার্থী প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার দুপুরে প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফিরছিল। ওঁৎ পেতে থাকা একই এলাকার মৃত আবু মিয়ার ছেলে আলম মিয়া (৪০) মেয়েটিকে জাপটে ধরে ভুট্টাক্ষেতের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটির কান্না শুনে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
আরো পড়ুন:
বাকৃবির রাজিয়া হলে চার গণরুমে ১২৬ ছাত্রী, ৩২ জনের একটি বাথরুম
দেশের ১১৬তম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’
ধর্ষক ঘটনার পরই পালিয়ে যায়। সন্ধায় অভিযুক্ত আলম মিয়া বোরকা পরে আত্মগোপনে যাওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর হাতে আটক হয়। গণধোলাই দিয়ে রাতেই তাকে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়।
মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আসামি আলম মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রাত ৯টার দিকে তাকে বোরকা পরা অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মেডিকেল চেকআপের জন্য মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢাকা/আমিরুল/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক আলম ম য়
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবির ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হাইকোর্টে স্থগিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার রুলসহ এ আদেশ দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ‘একাধিক ভুল থাকায় সুষ্ঠু ফলাফল প্রকাশের জন্য পুনরায় পরীক্ষার আবেদন’ শীর্ষক ভিসি বরাবর ২০ ফেব্রুয়ারি একটি আবেদন দেয় এক পরীক্ষার্থী। এতে সাড়া না পাওয়ায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে ভিসি বরাবর তার (রিটকারীর) দেওয়া ওই আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়।