হাত, পা দুর্বল হওয়া মানেই কি স্ট্রোক?
Published: 19th, March 2025 GMT
অনেক সময় দেখা যায় যে হাত, পা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। এভাবে চার পাঁচ মাস ধরে চলতে থাকলে সেক্ষেত্রে স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে বলে মত দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু দেখা যায় যে একজন সুস্থ মানুষ হঠাৎ পড়ে গেছেন এরপর তার এক সাইড দুর্বল হয়ে গেছে, এটা স্ট্রোকের লক্ষণ। স্ট্রোকের প্রাথমিক লক্ষণগুলো সম্পর্কে জেনে নিন।
অধ্যাপক ডা: এম বাহাদুর আলী মিয়া, নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় বলেন, ‘‘প্রথম কথা হলো স্ট্রোকটা হঠাৎ করে শুরু হবে। যেমন শরীরের একদিকে হাত ও পা একসঙ্গে দুর্বল হয়ে যেতে পারে, অচল হয়ে যেতে পারে, মুখ বেঁকে যেতে পারে। এ ছাড়াও আরও কিছু লক্ষণ রয়েছে, যেমন মাথা ব্যথা, বমি হওয়া। স্ট্রোক হলে ব্রেনে রক্ত ক্ষরণ হয় এবং চাপ বেড়ে যায়। চাপ বেড়ে গেলে মাথা ব্যথাও হবে এবং চাপের কারণে বমিও হবে । খিঁচুনিও দেখা দিতে পারে।’’
এই চিকিৎসক জানান, এই লক্ষণগুলো নির্ভর করে ব্রেন স্ট্রোক মস্তিষ্কের কোন জায়গায় হচ্ছে, তার ওপর। একটা জায়গায় হলে হাত পা দুর্বল হয়ে যাবে আবার আরেকটা জায়গায় হলে মুখ বেঁকে যাবে। দেখা যাবে যে আক্রান্ত ব্যক্তির আচার আচরণে সমস্যা হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
ঈদের ছুটিতে হাসপাতালে সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের ১৬ নির্দেশনা
গরমে ডায়রিয়ার ঝুঁকি এড়াতে করণীয়
এমনটি হাত, পা চারটাই দুর্বল হয়ে যেতে পারে। ব্রেনের নিচের অংশে স্ট্রোক হলে হাত পা চারটা দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা বর্ষবরণ
উৎসব মুখর পরিবেশে খুলনায় সোমবার বাংলা নববর্ষ বরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী সকাল ৭টায় সার্কিট হাউজ সংলগ্ন টেনিস কমপ্লেক্সে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ছিল গান, নাচ, আবৃত্তি ও শোভাযাত্রা। অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
খুলনা জেলা প্রশাসন সকাল ৮টায় রেলওয়ে স্টেশন থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি শহীদ হাদিস পার্কে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল সোয়া ৭টায় বর্ষ আবাহন, সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় মাঠে মেলার উদ্বোধন, সকাল ১০টায় শোভাযাত্রা, পরে লাঠিখেলা ও ম্যাজিক শো এবং বিকালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও আশপাশের এলাকার লোকজন জড়ো হন।
বিএনপি সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পান্তা উৎসব ও ১০টায় র্যালির আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তর, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নগরীর পার্ক, নদীর ঘাটসহ বিনোদন স্পটগুলোতে দিনভর ছিল তরুণ-তরুণীদের উপচেপড়া ভিড়।