Samakal:
2025-04-14@10:00:58 GMT

ছিটকে গিয়েও দলের পাশে মেসি

Published: 19th, March 2025 GMT

ছিটকে গিয়েও দলের পাশে মেসি

নেইমার ছিটকে গেছেন আরও আগে। এবার লিওনেল মেসিকেও একই ভাগ্য বরণ করতে হলো। চোটের কারণে তিনিও আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি ঘোষিত দলে জায়গা পাননি। ফলে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা লড়াইয়ে দেখা যাবে না দুই সেরা তারকাকেই।
বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা মার্চের বাছাই পর্বের দুটি ম্যাচ খেলবে মেসিকে ছাড়া। বাংলাদেশ সময় ২২ মার্চ ভোর সাড়ে ৫টায় মন্টিভিডিওতে উরুগুয়ের এবং ২৬ মার্চ সকাল ৬টায় বুয়েন্স আইয়ার্সে ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে তারা। ৩৩ জনের প্রাথমিক দলে থাকলেও সোমবার ঘোষিত ২৬ জনের দলে রাখা হয়নি মেসিকে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মেজর সকার লিগে আটালান্টা ইউনাইটেডের বিপক্ষে ইন্টার মায়ামির ২-১ গোলে জেতা ম্যাচে বাঁ ঊরুতে ব্যথা পান মেসি। এমআরআই স্ক্যানে ধরা পড়ে তাঁর পায়ের পেশিতে ‘লো-গ্রেড ইনজুরি’ রয়েছে। সুস্থ হয়ে উঠতে আপাতত যুক্তরাষ্ট্রেই থাকবেন তিনি।

জাতীয় দলের সঙ্গে গত দুই দশকের পথচলায় বিশ্বকাপ, দু’বার কোপা আমেরিকাসহ অনেক শিরোপা জিতেছেন মেসি। তার পরও এ দুটি ম্যাচ খেলতে পারছেন না বলে বেশ হতাশ ইতিহাসের অন্যতম সেরা এ ফুটবলার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই হতাশার কথা তুলে ধরে সমর্থক হিসেবে দলের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি, ‘জাতীয় দলের হয়ে উরুগুয়ে ও ব্রাজিলের বিপক্ষে দুটি খুবই স্পেশাল ম্যাচে খেলতে না পারা দুঃখজনক। বরাবরের মতো আমি সেখানে থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ছোট একটি চোট আমাকে আবার খেলা থেকে বিরতি নিতে বাধ্য করেছে। দল থেকে আমাকে ছিটকে দিয়েছে। আমি এখান থেকেই দলকে উৎসাহ দেব এবং অন্য আরেকজন ভক্তের মতো দলকে সমর্থন করব ও গলা ফাটাব। এগিয়ে চলো আর্জেন্টিনা.

..!’ মেসির পাশাপাশি আগামী দুই ম্যাচে পাওলো দিবালা, গঞ্জালো মন্তিয়েল ও জিওভান্নি লে সেলেসোকে পাচ্ছে না আর্জেন্টিনা। উঠতি তারকা ক্লদিও এচেভেরিও নেই। তাই আক্রমণভাগ নিয়ে কিছুটা চিন্তায় আছেন আর্জেন্টিনা বস স্কালোনি। অবশ্য ৫ পয়েন্টের ব্যবধানে শীর্ষে আছে বলে বাছাই পর্ব উতরানোর ব্যাপারে খুব একটা শঙ্কায় নেই তারা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন

এছাড়াও পড়ুন:

ঢালাইকার থেকে প্রথম মানুষ হিসেবে যেভাবে মহাকাশে পা রাখলেন গ্যাগারিন

দিনটি ছিল ১৯৬১ সালের ১২ এপ্রিল। কাজাখস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়ন পরিচালিত মহাকাশ বন্দর বাইকোনুর কসমোড্রমে শীতের চাদর ভেদ করে ভোরের আলো ফুটতেই শুরু হয়েছে প্রকৌশলীদের দৌড়ঝাঁপ। প্রতিটি যন্ত্র, প্রতিটি সংযোগ—দ্বিগুণ সতর্কতায় পরীক্ষা চলছে। লঞ্চপ্যাডে (যে স্থান থেকে রকেট উৎক্ষেপণ হয়) তখন উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। এর মধ্যে সেখানে অপেক্ষমাণ ভস্তক–১ রকেটের ককপিটে গিয়ে বসলেন এক তরুণ। গায়ে চাপানো কমলা রঙের স্পেস স্যুট আর চোখে বিস্ময়ের ঝিলিক।

সেই ঐতিহাসিক সকালে ২৭ বছর বয়সী ওই তরুণকে নিয়ে ছোট্ট মহাকাশ যানটি ছুটে গেল অসীম অজানার উদ্দেশ্যে। সামনে সীমাহীন অনিশ্চয়তা। আর কখনো চেনা ডেরায় ফিরতে পারবেন কি না, জানা নেই। যে গন্তব্যের উদ্দেশে ছুটে চলেছেন সেখানে পৌঁছাতে পারবেন কি না, তার ঠিক নেই। যাত্রাপথে উনিশ-বিশ হলে নেই বেঁচে ফেরার একরত্তি সম্ভাবনা। এরপরও এক অদম্য নেশায় পাড়ি দিলেন পৃথিবী নামক গ্রহের চৌহদ্দি। আর ফিরলেন ইতিহাসের খোলনলচে বদলে দিয়ে। মহাকাশে যাওয়া প্রথম ব্যক্তি হিসেবে পা রাখলেন পৃথিবীর বুকে।  

ইউরি গাগারিনের ছেলেবেলা কেটেছে সোভিয়েত রাশিয়ার স্মোলেনস্কক অঞ্চলের ক্লুশিনো গ্রামে, জন্মও সেখানেই। বাবা-মা দুজনই ছিলেন কৃষক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তাঁদের পরিবার নাৎসিদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। যুদ্ধের প্রভাব সংসারে এসে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সম্ভব সংসারের হাল ধরার তাড়না অনুভত করেন তিনি। ১৯৪৯ সালে বয়স যখন ১৫, ঠিক করলেন মাধ্যমিক স্কুলের পড়া ছেড়ে দিয়ে কাজে নেমে পড়বেন।

বলছি বিখ্যাত সোভিয়েত মহাকাশচারী ইউরি গ্যাগারিনের কথা। কৃষক পরিবারে জন্ম নেওয়া গ্যাগারিন কৈশোরে ছিলেন ঢালাইকার। আকাশে ওড়ার অদম্য নেশা তাঁকে ঢালাই কারখানা থেকে নিয়ে গেছে উড়োজাহাজের ককপিট পর্যন্ত। সময়ের আবর্তে সেই স্বপ্ন আকাশ ছাড়িয়ে ছুঁয়েছে মহাকাশের গণ্ডি। ইউরি গ্যাগারিনের দুঃসাহসী অভিযান খুলে দিয়েছে মহাকাশ গবেষণা নিয়ে অপার সম্ভাবনার দুয়ার।
প্রথম মানব হিসেবে এই তরুণের মহাকাশে পা রাখার ঘটনা সে সময় বিশ্বের বুকে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। বিশ্বদরবারে রাতারাতি তারকা বনে যান ইউরি গ্যাগারিন। তাঁকে দেওয়া হয় জাতীয় বীরের খেতাব। সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেতর-বাহির থেকে তাঁর ঝুলিতে যোগ হতে থাকে একের পর এক পুরস্কার-সম্মাননা।

সংসারের হাল ধরতে ঢালাইকারের চাকরি

ইউরি গ্যাগারিনের ছেলেবেলা কেটেছে সোভিয়েত রাশিয়ার স্মোলেনস্কক অঞ্চলের ক্লুশিনো গ্রামে, জন্মও সেখানেই। বাবা-মা দুজনই ছিলেন কৃষক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তাঁদের পরিবার নাৎসিদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। যুদ্ধের প্রভাব সংসারে এসে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সম্ভব সংসারের হাল ধরার তাড়না অনুভব করেন তিনি।

১৯৪৯ সালে বয়স যখন ১৫, ঠিক করলেন মাধ্যমিক স্কুলের পড়া ছেড়ে দিয়ে কাজে নেমে পড়বেন। বাবা-মা ছাড়তে না চাইলেও সিদ্ধান্তে অনড়, চলে গেলেন মস্কোয় চাচার কাছে। তাঁর পরামর্শে মস্কোর উপকণ্ঠে ল্যুবের্তস্কি শহরের কৃষিযন্ত্র বৃত্তি বিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন। তরুণ শ্রমিকদের সন্ধ্যাকালীন বিদ্যালয়ে তার ভবিষ্যৎ পেশা নির্ধারিত হলো ঢালাই কলঘরের ঢালাইকার।  

—‘পৃথিবী দেখছি’ শিরোনামে নিজের লেখা বইয়ে ইউরি গ্যাগারিন বলেছেন, ‘পেশাটা সহজ নয়। তাতে শুধু জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা নয়, রীতিমতো দৈহিক শক্তিও দরকার।’
আকাশে ওড়ার নেশা

মহাকাশে সফর অভিযানের পর বিশ্বদরবারে রাতারাতি তারকা বনে যান ইউরি গাগারিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ