প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক কেকেআরের মুখোমুখি হবে আরসিবি। তার আগেই হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এবারের আয়োজনে বিশেষ চমক রেখেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।

জানা গেছে, আগামী শনিবার এই আয়োজনে ইডেনে একসঙ্গে উপস্থিত থাকতে চলেছেন শাহরুখ খান ও সালমান খান। শাহরুখ আসবেন নিজের দল কেকেআরের খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিতে।

শ্রদ্ধা কাপুর। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন নয়, আগের সংবিধান সংশোধন করা যেতে পারে

সংবিধান সংস্কার কমিশনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বরিশালের প্রান্তিক প্রতিনিধিরা বলেছেন, নতুন কোনো সংবিধান নয়, সময়ের চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে আগের সংবিধানকে সংশোধন করা যেতে পারে। তবে সেটা করতে পারবে একমাত্র নির্বাচিত সংসদ।

গতকাল শনিবার বরিশাল নগরীতে ‘রাষ্ট্র সংস্কারে জাতীয় ঐকমত্য ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে সুজন প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন। সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলোর বিষয়ে মতামত নিতে জেলা ও মহানগর সুজন এ বৈঠক আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সুজনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া। জেলা, উপজেলা ও মহানগর সুজন প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নেন। 

সভায় অংশগ্রহণকারীদের সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও সংবিধানের বিদ্যমান ব্যবস্থার কপি দেওয়া হলে তার ওপর আলোচনা করেন। ৯০ সদস্য আলোচনায় অংশ নেন। প্রায় সব আলোচক বিদ্যমান সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান প্রণয়নের বিরোধিতা করেন। তারা বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা অক্ষুণ্ন রেখে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। 

সুজনের বরিশাল মহানগরের সভাপতি রফিকুল আলম বলেন, বর্তমান সংবিধান সমুন্নত রাখার শপথ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। এখন নতুন সংবিধান প্রণয়নের কথা বললে সেটা শপথ ভঙ্গের শামিল। সংবিধান অনুযায়ী দ্বৈত নাগরিক সংসদ সদস্য হতে পারবেন না এবং রাষ্ট্রীয় পদে থাকতে পারবেন না। অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা দ্বৈত নাগরিক। এমনকি সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজও দ্বৈত নাগরিক। তাঁর নেতৃত্বে কমিশন বৈধ নয়।

তবে বানারীপাড়া সুজনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান সোহেল বলেন, আগের দলীয় সরকারগুলোর ব্যর্থতার জন্য ইউনূস সরকারের আবির্ভাব হয়েছে। তাই তাঁর নেতৃত্বেই সংবিধান সংস্কার নিরাপদ হবে।
দিলীপ বড়ুয়া বলেন, সংবিধান সংস্কার বিষয়ে সারাদেশে তৃণমূলের মতামত নেওয়া হচ্ছে। এসব যথাযথ স্থানে উপস্থাপন করা হবে। জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে রাষ্ট্র সিদ্ধান্ত নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ