ঘরের মাঠে আয়োজিত আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে গ্রুপ পর্বের কোন্ম্যাচ না জিতেই বাদ পড়েছে পাকিস্তান। টুর্নামেন্টে দলটির অধিনায়ক ছিলেন মোহাম্মদ রিজোয়ান। ব্যাট হাতে ও অধিনায়ক্ত্বের দায়িত্বে ব্যর্থ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই এই উইকেট কিপার ব্যাটসম্যানকে ঘিরে ছিল নানান সমালোচনা। সেই রেশ কাটতে না কাট্যেই রিজওয়ান জন্ম দিলেন আরেক বিতর্কের। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আয়োজিত আসরের পরিবর্তে অংশ গ্রহণ করেছেন ক্লাব ক্রিকেটে।

পাকিস্তানের সাদা বলের অধিনায় রিজওয়ান পিসিবি আয়োজিত জাতীয় টি-টোয়েন্টি কাপে খেলছেন না। তার পরিবর্তে ক্লাব ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। এই পদক্ষেপটি সমালোচিত হচ্ছে। পাকিস্তানের সাবেক পেসার সিকান্দর বখত পিসিবি চেয়ারম্যান মোহসিন নকভিকে পরামর্শ দিচ্ছেন রিজওয়ানের কেন্দ্রীয় চুক্তি বাতিল করার জন্য।

বখত বলেছিলেন যে, কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটাররা পিসিবির জন্য কাজ করেন এবং পিসিবি আয়োজিত সমস্ত টুর্নামেন্টে তাদের অংশগ্রহণ করতে বাধ্য। তিনি চান পিসিবি অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানের তিন ভেন্যুতে বাংলাদেশের ছয় ম্যাচ

কিংবদন্তি ইমরান খানকে সম্মান দেখিয়ে গুরু দন্ড আমিরের

বখত জিও সুপারকে এক সাক্ষতকারে বলেন, “পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা প্রতি মাসে ৬০ লাখ রুপি পান এবং তাদের পিসিবি আয়োজিত সমস্ত টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করা উচিত। পিসিবিকে নিশ্চিত করতে হবে যে  সমস্ত খেলোয়াড়দের এই আসরগুলোতে অংশগ্রহণ। যদি আপনি পিসিবি আয়োজিত টুর্নামেন্টের পরিবর্তে ক্লাব ক্রিকেট খেলেন, তাহলে আপনি পিসিবিকে অসম্মান করছেন।” বখত জিও সুপারে বলেছেন।

“এটা বন্ধ হওয়া উচিত এবং মোহসিন নকভিকে কঠোর হতে হবে। তিনি একজন ভদ্র ব্যক্তি, তবে তাকে তার রীতি পরিবর্তন করতে হবে। আপনি যা ঘটছে তা থামানোর জন্য কঠোর হতে হবে। আপনাকে তাদের কেন্দ্রীয় চুক্তি বাতিল করতে হবে।” যোগ করেন বখত।

রিজওয়ান আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ব্যর্থ হওয়ার পর টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়েন। এই কিপার-ব্যাটার ও আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান বাবর আজমকে ছাড়া নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে কুড়ি ওভারের সিরিজ খেলতে যায় পাকিস্তান। 

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বান্দরবানে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে সাংগ্রাই শুরু

বান্দরবান পার্বত্য জেলায় বসবাসরত ১১টি জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে অন্যতম প্রাণবন্ত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে ভরপুর ‘সাংগ্রাই’ উৎসব শুরু হয়েছে। 

রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৮ টার দিকে বান্দরবানের রাজার মাঠ থেকে শোভাযাত্রাটি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। 

উৎসব উদ্বোধন করেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি। তিনি শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে শুভ সূচনা করেন। 

বান্দরবানে বসবাসরত চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, চাক, ম্রো, খিয়াং, খুমি, বমসহ ১১টি জাতিগোষ্ঠী এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ তাদের নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে সারিবদ্ধভাবে হাতে ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে, গানের সুর ও তালের সঙ্গে আনন্দঘন পরিবেশে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে শোভাযাত্রাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে এসে শেষ হয়।

এই উৎসবটি প্রতিটি জাতিগোষ্ঠী নিজ নিজ নামে উদযাপন করে থাকে। মারমারা একে বলে সাংগ্রাই, চাকমারা বিজু, ত্রিপুরারা বৈসু, তঞ্চঙ্গ্যারা বিষু, আর অন্যান্যরা চাংক্রান নামে অভিহিত করে। বান্দরবানের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও সম্প্রীতির অনন্য প্রতীক এই উৎসব পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবনে এনে দেয় নতুন আনন্দ, মিলন ও আশাবাদের বার্তা।

বান্দরবান জেলা উৎসব উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে এ সাংগ্রাই উৎসব ১৩ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত সাপ্তাহব্যাপী নানা কর্মসূচী রয়েছে। সাংগ্রাই বর্ণাঢ্য র‍্যালি, বয়োজ্যেষ্ঠ পূজা, বুদ্ধস্নান, পাড়া ভিত্তিক পিঠা উৎসব, ঐতিহ্যবাহী বলী খেলা, তৈলাক্ত বাঁশে আরোহণ, সর্বশেষ টানা তিনদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মৈত্রীয় পানি বর্ষণ বা জলকেলি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। 

উৎসব উদযাপন পরিষদের কমিটির সভাপতি চনুংমং মার্মা বলেন, বর্ষবরণ ও বর্ষবিদায় উৎসব সাংগ্রাই। আজ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। সাংগ্রাই উৎসব উপলক্ষে আজ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। এসব অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাইসহ অনেকেই উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন।

ঢাকা/চাই মং/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ