বিটিভির জনপ্রিয় ঈদ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান আনন্দমেলা। বরাবরের মতো আসন্ন ঈদেও বিটিভিতে প্রচারিত হবে এই ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান। আনন্দমেলা অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হবে ঈদের দিন রাতে।
বিটিভি সূত্রে জানা গেছে, এবার আনন্দমেলায় নাচ পরিবেশন করবেন সাদিয়া ইসলাম মৌ, অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা ও চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী।
তিশা ও বুবলীর নাচের কোরিওগ্রাফি করছেন ইভান শাহরিয়ার সোহাগ। তবে সাদিয়া ইসলাম মৌ নিজের কোরিওগ্রাফিতে নাচ পরিবেশন করবেন। আনন্দমেলা অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করবেন মাসুমা রহমান নাবিলা এবং ইমন।
আরো পড়ুন:
মানুষকে কাছে টানতে পারিনি সংগীত দিয়ে: কবীর সুমন
আজ যীশুর জন্মদিন
২১ মার্চ থেকে এই অনুষ্ঠানের রিহার্সেল শুরু হবার কথা রয়েছে। ৫০ মিনিটের অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করছেন মাহবুবা ফেরদৌস, মো.
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সম্প্রীতির ইফতারে প্রাণোচ্ছল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
রমজান মাস জুড়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ইফতারের আয়োজন থাকে চোখে পড়ার মতো। রমজানে একাডেমিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় প্রায় সব শিক্ষার্থীই ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে আবাসিক হলগুলোর শিক্ষার্থীদের খাবারের আয়োজন করা হয়। তবে গত বছর ২৬ মার্চ রমজান মাসে হওয়ায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়, যা উৎসবের আমেজ তৈরি হয়। এবারো হলগুলোর পক্ষ থেকে এমন আয়োজন করবে বলে জানা গেছে।
পাশাপাশি রমজানে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী, জেলা ও অঞ্চলভিত্তিক সংগঠন এবং বিভিন্ন বিভাগের পক্ষ থেকে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এভাবে রমজান জুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশে একের পর এক ইফতার উৎসব চলতে থাকে।
আরো পড়ুন:
কুবিতে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তদন্তে শিক্ষার্থীদের ৫ দাবি
কুবিতে আপত্তিকর অবস্থায় ৪ বহিরাগত আটক
সারাদিন ক্লাস-পরীক্ষা ও টিউশনির ব্যস্ততা শেষে শিক্ষার্থীরা দলে দলে ভাগ হয়ে জড়ো হতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, শহীদ মিনার, মুক্তমঞ্চ, কাঁঠালতলা, ক্যাফেটেরিয়ার ছাদ, বিভিন্ন বিভাগের করিডোর ও অনুষদের হলরুম এবং ছাদের আঙিনায়। তখন এসব স্থানগুলোর পরিবেশ হয়ে উঠে প্রাণোচ্ছল।
পশ্চিমাকাশে সূর্য হেলে যাওয়ার মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বর, কৃষ্ণচূড়া রোড শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। সবুজ বিস্তৃত মাঠে ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে বন্ধুদের সঙ্গে কেউ ব্যস্ত গল্প-আড্ডায়। আবার কেউ ব্যস্ত ইফতার সাজাতে। তখন তাদের দেখলে মনে হবে সারাদিনের ক্লান্তি আর নেই। মসজিদে মোয়াজ্জিনের আজানের ধ্বনি শুনে খোলা আকাশের নিচে ইফতার করার ধুম পড়ে যায়।
বন্ধুদের সঙ্গে ইফতারে অংশগ্রহণ করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ১৩তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মুনিরা আক্তার। তিনি বলেন, “ক্যাম্পাসে ইফতার মানেই বন্ধুদের সঙ্গে এক অন্যরকম আনন্দের মুহূর্ত। যেখানে রমজানের পবিত্রতা ও ইফতারের মাহাত্ম্য একসঙ্গে অনুভূত হয়। সারাদিনের সিয়াম সাধনার পর একসঙ্গে ইফতার করা শুধু আনন্দই নয়, বরং পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও আত্মিক প্রশান্তির উপলব্ধি এনে দেয়। এই মিলনমেলা রমজানের শিক্ষা- সংযম, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধকে আরও গভীর করে তোলে।”
বাংলা বিভাগের ১৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী রেদোয়ান আহমেদ বলেন, “সারাদিন ক্লাস করার পর যখন বন্ধুরা সবাই একসঙ্গে মিলে ইফতার করি, তখন নিজের মধ্যে একটা প্রশান্তি কাজ করে। পরিবার ছাড়া রমজানের সময়টুকু ভালোই যাচ্ছে। রুমে একা ইফতার করতে ভালো লাগে না। তাই বন্ধুদের সঙ্গে প্রতিদিন ইফতার করি। ক্যাম্পাস থেকে চলে যাওয়ার পর এই সময়টুকু মিস করবো।”
ঢাকা/মেহেদী