মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ী থানায় ঢুকে ‌মেজর রায়হান' পরিচয় দিয়ে পুলিশকে হুমকি-ধমকি দেন এক ব্যক্তিকে। তার আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় খোঁজ নিয়ে থানাটির পুলিশ জানতে পারে এই ব্যক্তির পরিচয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

টংগিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহিদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে টংগিবাড়ী থানায় প্রবেশ করেন এই ব্যক্তি। 

টংগিবাড়ী থানা সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারে এই ব্যক্তির প্রকৃত নাম মোস্তফা কামাল। তিনি ছিলেন সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মেজর। অবসর নিয়েছেন তিনি। মোস্তফা কামালের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর ইসলামপুর মহল্লায়।

আরো পড়ুন:

সামরিক বাহিনীর ৮ সংস্থা ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন

টেকনাফে যৌথ অভিযানে অপহৃত উদ্ধার, আটক ৩

ওসি বলেন, দুপুরে টংগিবাড়ী থানায় এসে নিজেকে সেনাবাহিনীর ‌‌‌মেজর রায়হান' পরিচয় দিয়ে এসআই রহিমকে একটি মামলার ব্যাপারে হুমকি দেন। তার গতিবিধি সন্দেহজনক দেখে তার কছে পরিচয়পত্র চাইলে তিনি গড়িমসি শুরু করেন। পরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানা যায়, তিনি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত একজন সার্জেন্ট ক্লার্ক। তখন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

থানায় তাকে গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে একটি ওয়াকিটকি, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত একটি ক্যাপ জব্দ করা হয়, জানান ওসি।

বুধবার (১৯ মার্চ) তাকে আদালতে পাঠানোর কথা।

ঢাকা/রতন/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অবৈধ সম্পদ: মৃণাল কান্তি দাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

এক কোটি ৫৫ লাখ ১৭ হাজার ২৩০ টাকা ও এক কোটি ৪৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস ও তার স্ত্রী নীলিমা দাসের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন মামলার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।

নী‌লিমা দা‌সের মামলায় স্বামী মৃণাল কান্তি দাসকেও আসা‌মি করা হ‌য়ে‌ছে। তা‌দের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা, এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রথম মামলায় আসামি মৃণাল কান্তি দাসের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ৫৫ লাখ ১৭ হাজার ২৩০ টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এছাড়া ২০১৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে তার আটটি ব্যাংক হিসাবে এক কোটি ২২ লাখ টাকা জমা এবং এক কোটি ১৮ লাখ টাকা উত্তোলনসহ মোট দুই কোটি ৪০ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

দুর্নীতি ও ঘুসের মাধ্যমে অর্জিত অর্থের অবৈধ উৎস গোপন করতে তিনি এসব সম্পদ রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করে অপরাধ ক‌রে‌ছেন। মামলাটি ক‌রেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শাহজাহান মিরাজ।

দ্বিতীয় মামলায় আসামি নীলিমা দাস তার স্বামীর সহায়তায় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ৪৫ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া ২০১৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে তার ৩০টি ব্যাংক হিসাবে আট কোটি ১২ লাখ টাকা জমা এবং আট কোটি ছয় লাখ টাকা উত্তোলনসহ মোট ১৬ কোটি ১৯ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। দুর্নীতি ও ঘুসের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থের অবৈধ উৎস গোপন করতে তিনি এ সম্পদ রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করেছেন বলে দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অবৈধ সম্পদ: মৃণাল কান্তি দাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা