যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের ঝিকরগাছা উপজেলার নবীবনগরে অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে ইঞ্জিনচালিত ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দুজন।

ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলু রহমান খান এই তথ্য দিয়ে বলেছেন, বুধবার (১৯ মার্চ) ভোর ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অ্যাম্বুলেন্সটি যশোর থেকে বেনাপোল যাচ্ছিল। এর বিপরীত দিক থেকে যাত্রীবাহী ইঞ্জিনচালিত ভ্যানটি আসার সময় মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

 নিহতরা হলেন: ঝিকরগাছার গদখালী গ্রামের জেহের আলীর স্ত্রী নাজমা বেগম (৫০), সৈয়দপাড়া গ্রামের জামাল সরদারের ছেরে বাবলু (৫৫) ও বামন আলী গ্রামের হাসান ইকবালের শিশু কন্যা রত্না খাতুন (১২)। 

আরো পড়ুন:

ঈদযাত্রায় রোডক্র্যাশ কমাতে তরুণদের ৯ সুপারিশ

হামজা চৌধুরীকে স্বাগত জানাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পা হারালেন যুবক

আহতরা হলেন: নিহত শিশুর বাবা হাসান ইকবাল (৩০) ও মা হালিমা খাতুন।

ঝিকরগাছা থানার ওসি বলেন, ঘটনার পরপরই অ্যাম্বুলেন্স চালক পালিয়ে যান। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মরদেহ উদ্ধার করেছেন। ঘটনাস্থলে হাইওয়ে পুলিশ উপস্থিত হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ঢাকা/রিটন/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত আহত ঝ করগ ছ

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁদপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, একজন গ্রেপ্তার

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় এক গৃহবধূকে (৩৫) ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই পুলিশ আসামি আবদুল মজিদকে গ্রেপ্তার করেছে।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। কয়েক দিন আগে তিনি পাওনা টাকা আদায় করার জন্য ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসেন। গত সোমবার রাত ১১টায় ওই নারী বসতঘর থেকে খানিকটা দূরে টয়লেটে যাচ্ছিলেন। তখন আসামি মো. মামুন (৪৫) মুখ চেপে ধরে বাড়ির পাশে একটি বাগানে নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন। এ কাজে তাঁকে সহায়তা করেন আবদুল মজিদ নামের এক ব্যক্তি।

প্রথমে ঘটনাটি চেপে যাওয়ার চেষ্টা করেন ওই নারী। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়। গতকাল রাত ১০টায় ওই নারী মো. মামুনকে এক নম্বর আসামি এবং তাঁর সহযোগী মজিদকে দুই নম্বর আসামি করে মতলব উত্তর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। গতকাল রাতে পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে মজিদকে গ্রেপ্তার করে।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, এতে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। মানসম্মানও হারিয়েছেন। পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে ওই দুই ব্যক্তি। তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।

অভিযোগের ব্যাপারে মামলার প্রধান আসামি মো. মামুনের সঙ্গে তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়। স্থানীয় মানুষের ভাষ্য, ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন মামুন।

মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল হক বলেন, মামলার আসামি মজিদকে গ্রেপ্তার করে আজ বুধবার সকালে চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রধান আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ