যশোরে অ্যাম্বুলেন্স-ভ্যানের সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ নিহত ৩
Published: 19th, March 2025 GMT
যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের ঝিকরগাছা উপজেলার নবীবনগরে অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে ইঞ্জিনচালিত ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দুজন।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলু রহমান খান এই তথ্য দিয়ে বলেছেন, বুধবার (১৯ মার্চ) ভোর ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অ্যাম্বুলেন্সটি যশোর থেকে বেনাপোল যাচ্ছিল। এর বিপরীত দিক থেকে যাত্রীবাহী ইঞ্জিনচালিত ভ্যানটি আসার সময় মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন: ঝিকরগাছার গদখালী গ্রামের জেহের আলীর স্ত্রী নাজমা বেগম (৫০), সৈয়দপাড়া গ্রামের জামাল সরদারের ছেরে বাবলু (৫৫) ও বামন আলী গ্রামের হাসান ইকবালের শিশু কন্যা রত্না খাতুন (১২)।
আরো পড়ুন:
ঈদযাত্রায় রোডক্র্যাশ কমাতে তরুণদের ৯ সুপারিশ
হামজা চৌধুরীকে স্বাগত জানাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পা হারালেন যুবক
আহতরা হলেন: নিহত শিশুর বাবা হাসান ইকবাল (৩০) ও মা হালিমা খাতুন।
ঝিকরগাছা থানার ওসি বলেন, ঘটনার পরপরই অ্যাম্বুলেন্স চালক পালিয়ে যান। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মরদেহ উদ্ধার করেছেন। ঘটনাস্থলে হাইওয়ে পুলিশ উপস্থিত হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ঢাকা/রিটন/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত আহত ঝ করগ ছ
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়েকে ধর্ষণে বাবার ফাঁসি
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবা আলতাপ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত আলতাপ হোসেন (৪৬) সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ গ্রামের মৃত সাদেক আলী মৃধার ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা হুদাপাড়া গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করতেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পার্শ্ববর্তী গাংনী ইউনিয়নে ভুক্তভোগী কিশোরীর বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকদিন পর পেটে ব্যথা ও বমি বমি ভাব হলে পরীক্ষা করা হয়। এতে ২-৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি ধরা পড়ে।
ভুক্তভোগী জানায়, ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর তার মা বোনের বাড়িতে গেলে ওইদিন রাতে বাবা ঘরে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করে। হত্যার ভয় দেখিয়ে পরবর্তী ২-৩ মাসে আরও ৭-৮ বার ধর্ষণ করে তার বাবা। ২০২৪ সালের ৭ মার্চ ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধিত ২০২০)-এর ৯(১) ধারায় মামলা করেন।
তদন্ত শেষে আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাবর আলী গত ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর অভিযুক্ত আলতাপের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ৮ স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মামলায় রায় ঘোষণা করেন আদালত।
চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (স্পেশাল পিপি) এম এম শাহজাহান মুকুল বলেন, কিশোরী ধর্ষণ মামলায় বাবা আলতাপ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। জরিমানার আদেশ তার (দণ্ডিত ব্যক্তির) জীবদ্দশায় অথবা মৃত্যুর পরবর্তী পর্যায়ে প্রথম দায়-দেনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে, আদালত এটা রায়ে উল্লেখ করেছেন।’