দেশের ১১৬তম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’ নামে নতুন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার (১৭ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুমোদন দেয়।

গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি হচ্ছে ঢাকায়। এর ঠিকানা বাড়ি-৬, মেইন রোড, দিয়াবাড়ী দক্ষিণ, তুরাগ, ঢাকা।

আরো পড়ুন:

সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ধর্মীয় নয়, রাজনৈতিক: প্রধান উপদেষ্টা

মার্কিন সিনেটরকে প্রধান উপদেষ্টা
সীমিত সংস্কারে ডিসেম্বরেই নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব

প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো.

আশরাফুল হাসান।

বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদনপত্রে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ৬ ধারা অনুযায়ী শর্ত প্রতিপালন সাপেক্ষে ‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’ স্থাপনের জন্য আইনের ৭ ধারা অনুযায়ী সাময়িক অনুমতি দেওয়া হলো।

বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার শর্তাবলির মধ্যে রয়েছে-

• সাময়িক অনুমোদনের মেয়াদ ৭ বছর।

• বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০-এর বিধান ও শর্ত মেনে চলতে হবে।

• পাঠদানের জন্য পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, লাইব্রেরি, ল্যাবরেটরি, মিলনায়তন, সেমিনার কক্ষ, অফিস কক্ষ, শিক্ষার্থীদের পৃথক কমনরুম এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো থাকতে হবে।

• বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ২৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের নিজস্ব বা ভাড়া করা ভবন থাকতে হবে।

• কমপক্ষে তিনটি অনুষদ এবং ছয়টি বিভাগ থাকতে হবে।

• শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন প্রয়োজন।

• প্রত্যেক বিভাগ, প্রোগ্রাম ও কোর্সের জন্য ইউজিসির নির্ধারিত সংখ্যক পূর্ণকালীন যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।

• বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে অন্তত ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা সংরক্ষিত তহবিল হিসাবে যেকোনো তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখতে হবে এবং সরকারের অনুমতি ছাড়া লভ্যাংশ উত্তোলন করা যাবে না।

• বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থের পরিপন্থি কোনো কার্যকলাপে জড়িত হতে পারবে না।

• সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদ বা এ ধরনের কোনো তৎপরতায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত হতে পারবে না।

• শুধু ইউজিসি অনুমোদিত অনুষদ, বিভাগ ও কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে এবং ক্যাম্পাসভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

• সরকার ও ইউজিসির অনুমোদন ছাড়া কোনো শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা যাবে না।

ইউজিসির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ১১৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তবে এগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটির শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে, কিছু বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন পেলেও কার্যক্রম শুরু করেনি।

ঢাকা/হাসান/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের ১১৬তম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’

 

দেশের ১১৬তম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’ নামে নতুন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার (১৭ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুমোদন দেয়।

গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি হচ্ছে ঢাকায়। এর ঠিকানা বাড়ি-৬, মেইন রোড, দিয়াবাড়ী দক্ষিণ, তুরাগ, ঢাকা।

আরো পড়ুন:

সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ধর্মীয় নয়, রাজনৈতিক: প্রধান উপদেষ্টা

মার্কিন সিনেটরকে প্রধান উপদেষ্টা
সীমিত সংস্কারে ডিসেম্বরেই নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব

প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল হাসান।

বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদনপত্রে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ৬ ধারা অনুযায়ী শর্ত প্রতিপালন সাপেক্ষে ‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’ স্থাপনের জন্য আইনের ৭ ধারা অনুযায়ী সাময়িক অনুমতি দেওয়া হলো।

বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার শর্তাবলির মধ্যে রয়েছে-

• সাময়িক অনুমোদনের মেয়াদ ৭ বছর।

• বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০-এর বিধান ও শর্ত মেনে চলতে হবে।

• পাঠদানের জন্য পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, লাইব্রেরি, ল্যাবরেটরি, মিলনায়তন, সেমিনার কক্ষ, অফিস কক্ষ, শিক্ষার্থীদের পৃথক কমনরুম এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো থাকতে হবে।

• বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ২৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের নিজস্ব বা ভাড়া করা ভবন থাকতে হবে।

• কমপক্ষে তিনটি অনুষদ এবং ছয়টি বিভাগ থাকতে হবে।

• শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন প্রয়োজন।

• প্রত্যেক বিভাগ, প্রোগ্রাম ও কোর্সের জন্য ইউজিসির নির্ধারিত সংখ্যক পূর্ণকালীন যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।

• বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে অন্তত ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা সংরক্ষিত তহবিল হিসাবে যেকোনো তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখতে হবে এবং সরকারের অনুমতি ছাড়া লভ্যাংশ উত্তোলন করা যাবে না।

• বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থের পরিপন্থি কোনো কার্যকলাপে জড়িত হতে পারবে না।

• সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদ বা এ ধরনের কোনো তৎপরতায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত হতে পারবে না।

• শুধু ইউজিসি অনুমোদিত অনুষদ, বিভাগ ও কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে এবং ক্যাম্পাসভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

• সরকার ও ইউজিসির অনুমোদন ছাড়া কোনো শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা যাবে না।

ইউজিসির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ১১৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তবে এগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটির শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে, কিছু বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন পেলেও কার্যক্রম শুরু করেনি।

ঢাকা/হাসান/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ